বার্ন ইনস্টিটিউটের নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ
রাজধানীর চানখাঁরপুলে নির্মাণাধীন বিশ্বের সর্ববৃহৎ বার্ন হাসপাতাল ‘শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি’র কাজ আগামী বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
মঙ্গলবার রাজধানীর চানখাঁরপুলে নির্মাণাধীন বার্ন ইনস্টিটিউটের নির্মাণকাজ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন করবেন জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অগ্নিদগ্ধ মানুষের সেবাদানের ক্ষেত্রে ৫০০ শয্যার এই হাসপাতাল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় শীর্ষস্থানে পৌঁছাতে সক্ষম হবে।
তিনি বলেন, ২০১৩ ও ২০১৪ সালে বিএনপি-জামায়াতের জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতি এবং আগুন সন্ত্রাসের শিকার দগ্ধ নিরীহ মানুষের আর্তনাদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিমূঢ় করে তুলেছিল।তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ছুটে গিয়েছিলেন অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে।
‘তারই নির্দেশে দেশে প্রথম আন্তর্জাতিকমানের এ বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার কাজ হাতে নেয়া হয়।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম বলেন,এই হাসপাতালে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত চিকিৎসক ও নার্সরা চিকিৎসা সেবা দেবেন।প্রতিষ্ঠানটিকে মানসম্মত করে গড়ে তোলা হবে, যাতে বিদেশ থেকেও রোগীরা এখানে সেবা নিতে আসে।
পরিদর্শনকালে ইনস্টিটিউটের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে মন্ত্রীকে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনের মাধ্যমে ধারণা দেয়া হয়।
এ সময় কর্মকর্তারা মন্ত্রীকে জানান, সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের আন্তর্জাতিকমানের চিকিৎসক ও নার্সদের তত্ত্বাবধানে এরই মধ্যে বাংলাদেশের চিকিৎসক ও নার্সদের প্রশিক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে।
গত এপ্রিলে এক ব্যাচের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। তিনবছর মেয়াদে ধাপে ধাপে এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।
উপস্থাপনা দেখে নির্মাণ কাজ যেন ক্রটিমুক্ত ও বিশ্বমানের হয় সেদিকে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন মন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি ইনস্টিটিউটে গবেষণা ও দক্ষ জনবল সৃষ্টিতে শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টির উপরও গুরুত্বারোপ করেন।
এ সময় প্রকল্প সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন, ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজালুর রহমান,ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দিলীপ কুমার রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমইউ/এমএমএ/এমএস