ভিডিও EN
  1. Home/
  2. স্বাস্থ্য

দেশে ১৬ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ও ১৮ শতাংশ শিশু মানসিক রোগী

প্রকাশিত: ০৬:৫৩ পিএম, ২৫ জানুয়ারি ২০১৭

দেশের ১৬ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠী ও ১৮ দশমিক ৪ শতাংশ শিশু কোনো না কোনো প্রকার মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত। কিন্তু জনসংখ্যার এই বৃহৎ অংশের সেবাদানের জন্য মাত্র ২১০ জন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও ৫০ জন চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী রয়েছেন। চাহিদার তুলনায় অত্যন্ত অপ্রতুল।

‘বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্যের বর্তমান অবস্থা ও সেবাসমূহ : প্রত্যাশা ও বাস্তবতা’ শীর্ষক এক জাতীয় সেমিনারে বক্তারা এ তথ্য জানান। বুধবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার কনফারেন্স হলে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারের আয়োজন করে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সমুন্নত করার কাজে নিয়োজিত যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা এডিডি ইন্টারন্যাশনাল।

বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্যসম্পর্কিত সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে আয়োজিত এই সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের এনসিডিসি প্রোগ্রামের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. ফারুক আহম্মেদ ভূইয়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি বেসড হেলথ কেয়ারের লাইন ডিরেক্টর ডা. মমতাজুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটির সভাপতি ড. মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান এবং সিবিএমর কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর মো. শাহনেওয়াজ কোরেইশী।

সেমিনারে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং এডিডি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মোট তিনটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কামাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী এবং এডিডি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক নাজমুন নাহার। সেমিনারে উপস্থাপিত প্রবন্ধসমূহে বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্যের বর্তমান অবস্থা ও সেবাসমূহের বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়।

জাতীয় পর্যায়ের এই সেমিনারের প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. মো. ফারুক আহম্মেদ ভূইয়া বলেন, মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলে মানসিক স্বাস্থ্য না থাকলে ও সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলে মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয় তবে সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করলে এবং বিষয়টি সরকারের কাছে জানালে মানসিক স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে সরকার আরও সচেতন হবে। মানসিক স্বাস্থ্যে মর্যাদাবোধ এবং সবার জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা এই দুই বিষয়কে মাথায়কে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

এমএসএস/বিএ