ভিডিও EN
  1. Home/
  2. স্বাস্থ্য

সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ১০ হাজার নার্স নিয়োগ

প্রকাশিত: ০১:৩৫ পিএম, ২৯ আগস্ট ২০১৬

দেশের সব জেলায় স্বাস্থ্য সেবা জোরদারে লক্ষ্যে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই ১০ হাজার নার্সের নিয়োগ প্রদান সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। সোমবার শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সঙ্গে ঝালকাঠীর স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়ন সংক্রান্ত এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ঝালকাঠী সদর হাসপাতালকে আড়াইশ’ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে পরিণত করতে ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। দক্ষ সেবিকা তৈরি করতে এ জেলায় একটি নার্সিং কলেজ স্থাপনের কাজও চলছে।

বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার একসঙ্গে ছয় হাজার তিনশ’ ডাক্তার নিয়োগ দিয়েছে। নিয়োগকৃত ডাক্তাররা বাধ্যতামূলকভাবে ন্যূনতম দু’বছর কর্মস্থলে থেকে সেবা দিচ্ছেন। এর ফলে গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে।

তিনি স্বাস্থ্যসেবা জোরদারের লক্ষ্যে সরকার প্রদত্ত সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে সেবার মান বাড়াতে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সশরীরে পরিদর্শন ও মনিটরিং কার্যক্রম জোরদারের পরামর্শ দেন।

বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে শিল্প সমৃদ্ধ মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য অর্জনে দেশে সুস্থ ও মেধাবী জনগোষ্ঠি গড়ে তুলতে হবে। এ লক্ষ্যে তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য জোরদার করতে হবে।

আমির হোসেন আমু আরো বলেন, শিগগিরই সিরাজগঞ্জ শিল্পপার্ক প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের প্রস্তাবনা চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামী একনেক বৈঠকে অনুমোদনের পরপরই প্রকল্পের বাস্তবায়ন শুরু হবে।

বৈঠকে ঝালকাঠীর সদর হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নিয়োগ, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারিদের শূণ্য পদ পূরণ, চিকিৎসা যন্ত্রপাতির সংরক্ষণ, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর সংস্কার, স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে নিয়মিত তদারকিসহ অন্যান্য বিষয় আলোচনায় স্থান পায়।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলামসহ শিল্প ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

এমএ/আরএস/এবিএস