বাবা দিবস
ভালো থাকুক পৃথিবীর প্রতিটি ‘বাবা’
বাবা! দুই অক্ষরের এই নামের মাঝে মিশে আছে শত শত ভালোবাসা। বাবা মানে নির্ভরতার আকাশ, বাবা মানে ভরসার আশ্রয়স্থল, বাবা মানে নিরাপত্তার চাদর। বাবা শাশ্বত, বাবা’ই চির আপন। বটবৃক্ষ বাবা প্রখর রোদে সন্তানের শীতল ছায়া। একজন বাবা তার সন্তানকে নিজের জীবনের চেয়ে বেশি ভালবাসেন, ভালো রাখেন। বাবারা সারাজীবন থাকেন না, সবার কপালে বাবার ভালোবাসা জুটে না। তবুও বাবার প্রতি সন্তানের ভালোবাসা চিরন্তন, প্রতিদিনের-প্রতিক্ষণের। প্রতিবছর জুন মাসের তৃতীয় রোববার বিশ্বের ৫২টি দেশে বাবা দিবস পালিত হয়। সে হিসেবে এবারের বাবা দিবস ১৬ জুন। যদিও বাবা’কে ভালোবাসতে বিশেষ দিনের প্রয়োজন হয় না। এবারের বাবা দিবসে বাবাকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণ শিক্ষার্থীদের আবেগ, অনুভূতিগুলো তুলে ধরেছেন মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ।
সন্তানের মাথার ছায়া ‘বাবা’
বাবা! খুব সহজেই বলা যায় কিন্তু এর মর্ম বুঝতে গেলে খুঁজে পাওয়া যায় এই মানুষটির প্রকৃত বাস্তবতা। হাজার অসাধ্যকে সাধন করে যে হাসিমুখে তৃপ্তির ভাব দেখান তিনিই হলেন বাবা। বাবার মহত্ত্ব অনেক। বাবা কেবল একজন মানুষ কিংবা স্রেফ একটি সম্পর্কের নাম নয়, বাবার মাঝে জড়িয়ে আছে বিশালত্বের এক অদ্ভুত মায়াবী প্রকাশ। সন্তানের মাথার উপর ছায়ার মতো বাবারা প্রতিটা সময় অবস্থান করে। এজন্যই তো বাবা নামটা উচ্চারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যে কোনো বয়সী সন্তানের হৃদয়ে শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা আর ভালোবাসার এক অনুভব জাগে। বাবা কতোভাবে অবদান রেখে যান তা চুলচেরা বিশ্লেষণ করেও কেউ বের করতে পারবেনা। বাবার কাঁধটা অন্য সবার চেয়ে বেশি চওড়া বিধায় সমাজ-সংসারের এতো দায়ভার অবলীলায় বয়ে বেড়ান। বাবার ছায়া সবকিছু শক্ত করে আগলে রাখেন। পৃথিবীর ভাগ্যবান সন্তানরা যারা বাবার সাথে এ বাবা দিবস কাটাচ্ছেন, প্রাণ ভরে বাবাকে ভালোবাসুন, বাবাদের ভালো রাখুন। কারণ পৃথিবীর সব বাবা তার সন্তানদের জন্য অগণিত ত্যাগ স্বীকার করেছেন এবং করে যাচ্ছেন।
কাব্য সাহা
শিক্ষার্থী, ফার্মেসি বিভাগ
স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ
ভালোবাসার আশ্রয়স্থল ‘বাবা’
বাবাকে স্মরণের জন্য শুধু একটি দিন নয় বরং বছরের প্রতিটি দিনই প্রয়োজন। তবে যারা বাবা দিবস পালন করে তারা শুধু একদিনই স্মরণ করে বাকি সময় ভুলে থাকেন, বাস্তবতা এমন নয়। একদিন বিশেষভাবে স্মরণ করার মানে কখনোই ৩৬৫ দিন ভুলে থাকা নয়। অনেকক্ষেত্রে বাবাকে শুধুমাত্র খাবার যোগারকারী হিসেবে দেখা হয়। এক্ষেত্রে যে বাবারা অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছল, তারা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের শিকার হয়। বর্তমান একচেটিয়া পুঁজিবাদের যুগে সব সামাজিক সম্পর্কই অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা হচ্ছে। ফলে মূল্যবোধের অবক্ষয় কিংবা দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটছে। এতে দেখা যাচ্ছে বাবা বৃদ্ধ হলে সন্তানরা তাদের দেখভাল করে না, অবহেলা করে। বাবারা যেভাবে দিনরাত পরিশ্রম করে সন্তানের ভরণ-পোষণের চেষ্টা করছে, সেটাই শ্রদ্ধার যোগ্য। বাকি আর কিছু লাগে না। আশা রাখছি বাবা দিবস হয়ে উঠবে বাবার প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও বন্ধুত্ব প্রকাশ করার উপযুক্ত মাধ্যম এবং বাবাদের কষ্ট দেওয়া এই অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদের কণ্ঠ। বাবা দিবসে বিশ্বের সকল বাবাদের প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা, পৃথিবীর সকল বাবা ভালো থাকুক।
নাজমুন নাহার মুনা
শিক্ষার্থী, ড্রইং অ্যান্ড পেইন্টিং বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
আদর্শের প্রতিচ্ছবি ‘বাবা’
বাবার প্রতি ভালোবাসার কথা কখনো বলে শেষ করা যাবে না। সন্তানের বিশ্বাস, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, ভরসা সবগুলোর মাঝে যিনি বিদ্যমান থাকেন তিনিই বাবা। অথচ তার প্রতি ভালোবাসা কখনো প্রকাশ করা হয়ে উঠে না। প্রতিটা বাবা তার সন্তানের জন্য প্রতিটা মুহূর্ত, প্রতিটা সেকেন্ডে ভাবতে থাকেন। কোনো কিছু চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পূরণ করার চেষ্টা করেন। মাথার উপর ছাদ হয়ে আগলে রাখেন আমাদের। নিজের সমস্ত সুখ-আরাম বিসর্জন দিয়ে আমাদের মানুষ করার চেষ্টা করেন। আমরা ভুল পথে গেলে সঠিক পথটি দেখান। একদম ছায়ার মত সব সময় পাশে থাকেন। বাবার প্রতি ভালোবাসা এক পৃথিবী সমান লিখলেও শেষ হবার নয়। অথচ আমরা বড় হলে এই মহান চালিকাশক্তির কথা ভুলে যাই। এই বাবা দিবসে পৃথিবীর সকল বাবাকে জানাই শ্রদ্ধা, রইলো ভালোবাসা। আসলে শুধু একটা বিশেষ দিনে নয়, প্রতিটা দিনেই বাবার প্রতি ভালোবাসা-শ্রদ্ধা নিবেদন করতে হবে। বৃদ্ধ বয়সে তাদেরকে আগলে রাখতে হবে। কেননা বাবা হলো আদর্শের, শ্রদ্ধার ও সম্মানের প্রতিচ্ছবি।
রওশন জাহান সুমাইয়া
শিক্ষার্থী, ইংরেজি বিভাগ
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি
সফলতার বীজ রোপণকারী একজন ‘বাবা’
‘বাবা’ ছোট্ট একটি সুমধুর শব্দ। বাবা শব্দটি মস্তিষ্কে স্মরণ মাত্রই হৃদয় শীতল হয়ে যায়। বাবা যে এক নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র। বাবা মানে একজন আদর্শ সৈনিক। সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে একজন ন্যায়পরায়ণ প্রতিনিধি। বাবার কাছে সন্তান হলো সমতল ভূমির মতো। যিনি নিজের জীবন বাজি রেখে শুধু উৎসর্গ করেন সন্তানের জন্য। কোনো কিছুতেই কার্পণ্য করেন না। বাবা শুধু একটি শব্দই নয়। অদম্য উচ্ছ্বাস অনুপ্রেরণা ও অনিবর্তিত শক্তি। যে শক্তি রূপান্তরিত হয়ে সন্তানের সুন্দর জীবনমান উন্নয়নে অপরিসীম ভূমিকা পালন করছে। বাবারা তাদের আদর, সোহাগ, স্নেহ, ভালোবাসা প্রত্যেক সন্তানের কাছে সমানভাবে ছড়িয়ে দেয়। সর্বোপরি বাবা একজন সফলতার বীজ রোপণকারী। যিনি ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন দেখিয়ে চলছে। হোঁচট খেলে বুকে আগলে নিয়ে অনুপ্রেরণা উৎসাহিত করছে। নিজের হাজার ইচ্ছে ত্যাগ করে সন্তানের ইচ্ছে পূরণ করছে। বাবারা সন্তানদের জীবনযুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য উজ্জীবিত করেন। সন্তান যখন জীবন সংগ্রামে থমকে যায়, পেছন থেকে বাবা এসে হাল ধরেন। বাবার চোখ দিয়ে সন্তানেরা সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা খুঁজে। বাবা আপনাকে খুব ভালোবাসি, আকাশ সমান। কিন্তু বলা হয় না, অজানা এক ভয়ের কারণে। বাবা, খুব ইচ্ছে করে আপনাকে জড়িয়ে ধরে বলি ভালোবাসি, খুব ভালোবাসি।
শিরিন সুলতানা
শিক্ষার্থী, একাউন্টিং বিভাগ
ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ, গাজীপুর
ভালো থাকুক পৃথিবীর প্রতিটি ‘বাবা’
বাবা! খুব ছোট একটা শব্দ কিন্তু এর ব্যাপ্তি বিশাল। সন্তানের কাছে বাবারা হলো বটবৃক্ষের ছায়ার মতো। কখনো শাসন, কখনো আবার আদর, কখনো না প্রকাশ করা গভীর ভালোবাসায় যিনি নিজেকে উজাড় করে দেন তিনি সম্পর্কে বাবা হলেও তার মহত্ত্ব কখনো পরিমাপযোগ্য নয়। বাবাদের ভালোবাসায় যে শ্রম, ঘাম আর চিন্তার গভীরতা লুকিয়ে থাকে সচরাচর সেটা আমরা দেখিনা। তাইতো এই মানুষটির আড়ালে খুঁজে পাওয়া যায় একজন সত্যিকারের হিরোর প্রতিচ্ছবি। বাবা সবসময় সবার সাথে খুব কথা কম বলে, কিছু কিছু বিষয়ে মাঝে মাঝে খুব অভিমান হয়। কিন্তু বাবার দায়িত্ববোধ, আগলে রাখা, খেয়াল রাখার বিষয়টা আমরা অনেকে ভুলেই যাই। বাবা অনেক সময় তার সন্তানদের রাগ-অভিমানে পরিণত হয়। কিন্তু সত্যি বলতে বাবার ভালোবাসার ঋণ কখনো শোধ হওয়ায় নয়। সন্তানরা সারাজীবন তার বাবার স্নেহের পরশে থাকতে চায়। প্রতিবার বাবাকে সাথে নিয়েই বাবা দিবস পালন করতে চাই। ভালো থাকুক পৃথিবীর প্রতিটি বাবা।
ফজলে এলাহী ফুয়াদ
শিক্ষার্থী, ইনফরমেশন সাইন্স অ্যান্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
পরম পূজণীয় ‘বাবা’
বাবা! দুই অক্ষরের এই শব্দটির তাৎপর্য দুই কোটি শব্দ দিয়েও ব্যাখ্যা করা সম্ভব না। বাবা মানে আস্থার সাগর, ঝড়-ঝঞ্ঝাটে নির্ভরতা, শক্ত খুঁটির ভর। শরীরের রক্ত পানি বানিয়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, নিজের শারীরিক সুস্থতার তোয়াক্কা না করে সন্তানের মুখে হাসি ফোটানো, সন্তানের সকল চাহিদা পূরণ করার মানুষটি হচ্ছেন ‘বাবা’। বাবার স্নেহ অবারিত ধারায় শুধুই সন্তানের জন্য। বাবার প্রতি সন্তানের চিরন্তন ভালোবাসার প্রকাশ প্রতিদিনই ঘটে। তারপরও বাবার জন্য বিশেষ দিন হিসেবে প্রতিবছর বাবা দিবস পালন করা হয়। পৃথিবীর সব বাবাদের প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা প্রকাশের ইচ্ছে থেকেই শুরু এই দিবসের। এই পৃথিবীর প্রত্যেকটি বাবাই যেন এক একজন সুপার হিরো। আর এই সুপারহিরোদের জন্য শুধুমাত্র একটি দিন নিদিষ্টভাবে পালনের মধ্যে আমি কোনো যথাযথ কারণ খুঁজে পাইনা। বাবাকে ভালোবাসেনা এমন সন্তান খুঁজে পাওয়া ভার! বাবা সব সন্তানের কাছেই পরম পূজণীয়। সন্তানের সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয় স্থল হলো বাবা। বাবারা সবসময় ভালো থাকুক। পৃথিবীর সকল বাবাদের জানাই বাবা দিবসের শুভেচ্ছা।
মিথিলা দেবনাথ ঝিলিক
শিক্ষার্থী, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
‘বাবা’ ছাড়া জীবন অপূর্ণ
‘বাবা’ হলো স্রষ্টার জলজ্যান্ত রূপ। যে আমাদের সকল বাধা-বিঘ্ন থেকে রক্ষা করে। সন্তানের কাছে বাবা হলো তার আদর্শ। বাবা ছাড়া একটি দিনও কল্পনাই করা যায় না। প্রত্যেকের জীবনে বাবাই সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দু। জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে তিনি সন্তানের পাশে থাকেন। সন্তানেরা সবসময় ভালো কিছু করার অনুপ্রেরণা বাবার থেকেই পায়। সব পরিস্থিতিতে সব রকম ত্যাগ করা, সততার সাথে জীবন পরিচালনা করা শেখায় বাবা নামক শব্দটি। পড়াশুনার বাইরেও যেন তার সন্তান মানুষের মতো মানুষ হতে পারে, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে সেই পরামর্শই বাবা সবসময় দিয়ে থাকেন। যখন বাবা পাশে থাকে প্রতিটি মূহুর্তের পরিপূর্ণতা খুঁজে পাওয়া যায়। বাবাদের পরিশ্রম ও ত্যাগের মাধ্যমেই পরিবারের সমৃদ্ধি লুকায়িত থাকে, তাই সন্তানদের উচিৎ বাবাদের যথার্থ সম্মানের মাধ্যমে প্রতিটি দিনকে বাবা দিবসের সমতুল্য গণ্য করা। বাবারা ছোট-বড় যে কাজই করুক না কেন তারা তাদের সন্তানের দায়িত্ব ও কতর্ব্য পালনে কখনও অবহেলা করেন না। কিন্তু বর্তমান সমাজের প্রেক্ষাপটে দেখা যায়, সন্তানরা তাদের বাবার প্রতি অবহেলা ও অনাদরের ছবি যা কখনই কাম্য নয়। বাবা হলো আদর্শের, শ্রদ্ধার ও সম্মানের প্রতিচ্ছবি।
জুবায়েদুল হক রবিন
শিক্ষার্থী, ইংরেজি বিভাগ
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
বৃদ্ধ বয়সে সন্তানদের কোলে হোক বাবাদের আশ্রয়স্থল
বাবা তার ভালোবাসা প্রকাশে কখনও কমতি রাখেনি। যদিও বাবাদের ভালোবাসা প্রকাশের পদ্ধতি আলাদা। তারা মুখে ভালোবাসি না বললেও ছেলেমেয়েদের জন্য নিঃস্বার্থ ভাবে ত্যাগ করতে দ্বিধা বোধ করেন না। একজন বাবা তার সবটুকু দিয়ে আগলে রাখে পরিবারকে, নিঃস্বার্থভাবে পরিবারের সকলের চাহিদা পূরণ করে। তার জীবনের সমস্ত সুখ সন্তানের খুশির মধ্যে সমর্পণ করেন। যত কষ্টই হোক না কেন, সে সন্তানের চাহিদা পূরণ করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যান সর্বদা। বাবারা সন্তানের মুখের হাসির জন্য নিঃশব্দে কাজ করে যান। বাবা দিবসে সন্তানদের সামনে সুযোগ আসে বাবাকে ধন্যবাদ জানানোর। এ দিবসে ছেলেমেয়েদের থেকে গিফট পেয়ে বাবারাও বেশ অভিভূত হয়ে যান। অনেক সন্তানই আছে যারা পিতামাতার দেখাশোনার প্রতি খুব একটা মনোযোগী নয়। যার কারণে অনেক বাবা বা মায়েরা তাদের বৃদ্ধ বয়সে নিঃসঙ্গ থাকে। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, এই নিঃস্বার্থ বাবা-মায়ের অনেক সময়ে শেষ ঠিকানা হয় বৃদ্ধাশ্রম। বাবা দিবস এলেই সন্তানদের চোখের সামনের পর্দাটি খুলে ফেলে তাদের দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
শাহরিয়ার কবির রিমন
শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
বাবার জন্য আলাদা দিবসের প্রয়োজন নেই
বিশ্বের বুকে একটি অন্যতম দিবস হিসেবে পরিচিত হয়ে আছে বাবা দিবস দিনটি। অনেক গুরুত্বপূর্ণ এই দিবসের পরিপ্রেক্ষিতে সম্মান জানানো হয় সব বাবাদের। বাবার জন্য আলাদা কোনো দিবসের প্রয়োজন নেই। তবুও আনুষ্ঠানিকভাবে যদি কোনো উপায় থাকে, তাহলে মন্দ কী! এ চিন্তা থেকেই বিশ্ব মা দিবসের আদলে পালিত হয়ে আসছে বিশ্ব বাবা দিবস। মায়ের পাশাপাশি বাবাও যে সন্তানের প্রতি দায়িত্বশীল এটা বোঝানোর জন্যই এ দিবস পালনের শুরু। বাবার চোখে সব সন্তানই সমান। কিন্তু মেয়ে সন্তানরা বোধহয় একটু বেশিই আদর পেয়ে থাকেন। ফলে মেয়ের বিয়ের সময় সবচেয়ে বেশি কষ্ট পান বাবাই। হিন্দুরীতির বিয়েতে যখন বাবা ‘কন্যাদান’ করেন, তখন তার কান্নায় আর্দ্র হয়ে ওঠেন উপস্থিত সবাই। বাবার প্রতি মেয়েরও রয়েছে গভীর অনুভূতি। সব মেয়েই প্রথম যে পুরুষের ব্যক্তিত্বে আকৃষ্ট হয়, তিনি হলেন বাবা। আর সে জন্যই বিদায় বেলায় নিঃশব্দ অশ্রু গেয়ে ওঠে। ছেলেদের কাছেও বাবা অতুলনীয়। শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার সঙ্গে ভয়ের এক অম্ল-মধুর সম্পর্ক বাবা আর ছেলের। বাবার ভয়ে মায়ের আঁচলে মুখ লুকানোর পরমুহূর্তে বাবার কাছে গিয়ে আবারও আবদার করা। একটু বড় হয়ে বাবার সঙ্গে সংসারের নানা বিষয়ে আলোচনা করা। আর যুবক বয়সে বাবার দায়িত্ব তুলে নেয় ছেলেই। বাবাকে একটু আনন্দে রাখতে ছেলেরাও বিসর্জন দেয় নিজের সুখ শান্তি। সব মিলিয়ে বিশ্ব বাবা দিবসের জন্য অকৃত্রিম ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে সবাইকে।
পাপড়ি রাণী
শিক্ষার্থী, নৃবিজ্ঞান বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ/এমআইএইচ