ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ফিচার

আজকের এই দিনে

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর জন্মদিন

ফিচার ডেস্ক | প্রকাশিত: ১০:৫৮ এএম, ২৩ জুন ২০২৩

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী একজন বাংলাদেশি লেখক, প্রাবন্ধিক ও শিক্ষক। দীর্ঘকাল তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। তিনি বিভাগটির ইমেরিটাস অধ্যাপক। ১৯৮০-এর দশকে ‘গাছপাথর’ ছদ্মনামে তিনি দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে সাপ্তাহিক প্রতিবেদন লিখে খ্যাতি অর্জন করেন।

সিরাজুল ইসলাম ১৯৩৬ সালের ২৩ জুন মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার বাড়ৈখালী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম হাফিজ উদ্দিন চৌধুরী ও মা আসিয়া খাতুন। বাবার চাকরিসূত্রে তার শৈশব কেটেছে রাজশাহীতে ও কলকাতায়। পড়াশোনা করেছেন ঢাকার সেন্ট গ্রেগরি স্কুল, নটরডেম কলেজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ইংরেজি সাহিত্যে উচ্চতর গবেষণা করেছেন যুক্তরাজ্যের লীডস বিশ্ববিদ্যালয় এবং লেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে। পড়াশোনা শেষে দেশে ফিরে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন ১৯৫৭ সালে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট কর্তৃক দুবার উপাচার্য হওয়ার জন্য মনোনীত হয়ন। কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি ২০০৩ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে ইউজিসি অধ্যাপক হিসেবে মনোনীত হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক। পত্রিকা সম্পাদনার সঙ্গেও তিনি দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত।

তিনি সম্পাদনা করেছেন ‘পরিক্রমা’, ‘সাহিত্যপত্র’, ‘সচিত্র সময়’, ‘সাপ্তাহিক সময়’, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পত্রিকা’, ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টাডিস’ প্রভৃতি। তার সম্পাদনায় নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে সাহিত্য-সংস্কৃতির পত্রিকা ‘নতুন দিগন্ত’। ‘নতুন দিগন্ত’ প্রগতিশীল, মুক্তচিন্তার মানুষের লেখালেখির জন্য পরিচিত। ভারতের টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের সিদ্ধান্তেরও প্রতিবাদ করেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।

তার উল্লেখযোগ্য কিছু রচনা হলো-ছোটগল্প: ভালো মানুষের জগৎ, দরজাটা খোলো। উপন্যাস: শেষ নেই, কণার অনিশ্চিত যাত্রা, বাবুলের বেড়ে-ওঠা। অনুবাদ: এ্যারিস্টটলের কাব্যতত্ত্ব, ইবসেনের বুনো হাঁস, হাউসম্যানের কাব্যের স্বভাব, হোমারের ওডেসি।

প্রবন্ধ-গবেষণা: অন্বেষা, জাতীয়তাবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও জনগণের মুক্তি, শরৎচন্দ্র ও সামন্তবাদ, আমার পিতার মুখ, বঙ্কিমচন্দ্রের জমিদার ও কৃষক, কুমুর বন্ধন, উপরকাঠামোর ভেতরই, বেকনের মৌমাছিরা, স্বাধীনতা ও সংস্কৃতি, একই সমতলে, ঊনবিংশ শতাব্দীর বাংলা গদ্যের সামাজিক ব্যাকরণ, স্বাধীনতার স্পৃহা, সাম্যের ভয় ইত্যাদি।

শিক্ষায় অবদানের জন্য তিনি ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত হন। এছাড়া অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন তিনি। উল্লেখযোগ্য কিছু হলো বাংলা একাডেমি পুরস্কার, লেখক সংঘ পুরস্কার, আবদুর রহমান চৌধুরী পদক, লেখিকা সংঘ পদক, মাহবুবউল্লাহ ফাউন্ডেশন পদক, অলক্ত সাহিত্য পুরস্কার, আবদুর রউফ চৌধুরী পুরস্কার, ঋষিজ পদক, শেলটেক পদক, প্রথম আলো বর্ষসেরা বই।

কেএসকে/জিকেএস

আরও পড়ুন