বিশ্বের প্রথম সেলফি তোলা হয় যেদিন
স্মার্টফোন এখন আমাদের নিত্য সঙ্গী। সঙ্গে আর কিছু থাকুক বা না থাকুক, স্মার্টফোনটিকে এক মুহূর্তের জন্যই হাতছাড়া করেন না কেউ। একটু পর পর সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রোল করা, যে কোনো মুহূর্তকে ফ্রেমবন্দি করতে, বিল পেমেন্ট সব সব কাজই হচ্ছে স্মার্টফোনে। যে কোনো জায়গায় গেলেন, কিংবা কিছু খেতে সেলফি বন্দি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন।
বিভিন্ন ঢঙে একা কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে সেলফি তোলেন। কেউবা মুখ বাঁকিয়ে আবার পাউট করে ছবি তোলার কায়দা রপ্ত করেছে।হঠাৎ কারও সঙ্গে দেখা হয়ে গেলে একটি সেলফি তুলে রাখেন। তবে জানেন কি? যে সেলফি আর ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে তার প্রচলন হয়েছিল ১৮৩ বছর আগেই। আজ কিন্তু সেলফি দিবস। তাই আজকের দিনে চলুন জেনে নেওয়া যাক বিশ্বের প্রথম সেলফি কে তুলেছিলেন সে সম্পর্কে।
আরও পড়ুন: ১২ বছরে ১২ সন্তানের জননী তিনি
১৮৩৯ সালের প্রথম দিকে আমেরিকান রবার্ট কর্নেলিয়াস একটি সেলফি ক্লিক করেছিলেন। কর্নেলিয়াস তার ক্যামেরাটিতে টাইম সেট করেন এবং লেন্সের পেছনে গিয়ে দারান। এভাবেই বিশ্বের প্রথম সেলফি তোলা হয়। ১৯৫৭ সালে প্রথম ডিজিটালটি তোলা হয়। এর রেজোলিউশন ছিল ১৭৬ × ১৭৬। সে সময় ছবি তোলার কাজটি মোটেই সহজ ছিল না। তখন ছিল টাইপের জামানা। টাইপ ছিল ছবি তোলার এক ধরনের পদ্ধতি, যেটির উদ্ভাবক ছিলেন এক ফরাসি শিল্পী ও বিজ্ঞানী লুইস ডেগুইরে।
১৮৩৯ সালে, রবার্ট কর্নেলিয়াস যে বছর তার সেলফি তোলেন সে বছরই টাইপের আগমন ঘটে, ছবি তোলার সেরা পদ্ধতি হিসেবে যা টিকে ছিল প্রায় ২০ বছর। একদিন খেয়ালের বশে ক্যামেরার লেন্সের সামনের ঢাকনাটি সরিয়ে ক্যামেরার সামনে টানা ১৫ মিনিট নিজের ছবি তুলেছিলেন পেশাদার রসায়নবিদ কর্নেলিয়াস।
সেলফি নামকরণের ঘটনাও বেশ মজার। শব্দটির প্রথম ব্যবহার হয় ২০০২ সালে এক অস্ট্রেনীয় তরুণ ইন্টারনেটের একটি ফোরামে নিজের ২১তম জন্মদিনে তোলা একটি ছবি পোস্ট করে এটিকে সেলফি নাম দেন। ইনস্টাগ্রাম হ্যাশট্যাগ হিসেবে সেলফির প্রথম ব্যবহার হয় ২০১১ সালের ২৭ জানুয়ারি। এতে হয়তো ভাবতে পারেন, সেলফি নামে হালের এই হুজুগের বয়স বোধ হয় খুব বেশি নয়। তবে শুনে তাজ্জব হবেন বৈকি বিশ্বের প্রথম সেলফিটি তোলা হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ১৮৪ বছর আগে!
কেএসকে/জিকেএস