শিশুর নিরাপত্তা ও অধিকার: প্রয়োজন আলাদা মন্ত্রণালয়!

শৈশবে বেড়ে উঠার উপর নির্ভর করে আগামী। সুন্দর সেই আগামীর জন্য প্রয়োজন নিরাপত্তাও। শিশু যতো সুন্দর পরিবেশে বড় হবে, তার ভবিষ্যৎ ততোই সৌন্দর্য ও সুভাস ছড়াবে। তিক্ত হলেও সত্য, দেশের অনেক শিশুই বেড়ে উঠছে অনিরাপদ পরিবেশে। বঞ্চিত হচ্ছে অধিকার থেকেও। বিষয়টি সমাজের জন্য যেমন ক্ষতিকর তেমনি রাষ্ট্রের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের বাধা বলেও মনে করছেন মানবাধিকার কর্মীরা।
শিশুদের শিক্ষা স্বাস্থ্য বিনোদন ও ক্রীড়ার মতো মৌলিক অধিকার বাস্তবায়ন এবং মানসিক বিকাশে সুযোগ তৈরি, ছিন্নমুল শিশুদের পুর্নবাসন, শিক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং সব শিশুর সার্বিক নিরাপত্তা বিবেচনায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বিভক্ত করে ‘শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়’ গঠন প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
মাদকের সঙ্গে শিশুর পরিচয়
সদরঘাট এলাকায় একসঙ্গে জড়ো হয়ে কয়েজন শিশু পলিথিন ফুকঁছে, দেখে মনে হতে পারে তারা খেলা করছে। তবে এটা খেলা নয়! ড্যান্ডি নামক নেশা নিচ্ছে। ঢাকা শহর ঘুরে দেখা যায় গুলিস্তান, শাহবাগ, শ্যামলী, আগারগাঁও, মিরপুর, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনসহ বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্য পথ শিশুর নেশার আরেক জগত ড্যান্ডি। এই নেশায় আসক্ত শিশুদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জুতা-স্যান্ডেল তৈরি ফোমে ব্যবহৃত সলিশন বা স্যান্ডেল জোড়া লাগানোর কাজে ব্যবহৃত আইকা ও গাম হলো ড্যান্ডি নেশা তৈরির উপকরণ। দীর্ঘক্ষণ নাকে মুখে শ্বাস নিলে মাথা ঝিমঝিম করতে থাকে, নেশা হয়। পেটের ক্ষুধা দূর হয়। বিষয়টি নিয়ে কথা হয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহা পরিচালক মোঃ আজিজুল ইসামের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমরা শিশুদের এই মাদক নিয়ন্ত্রণে কাজ করি। ঢাকা শহরের কিছু এলাকার শিশুদের এই মাদকের প্রবণতা আছে। যদিও এটা পুরোপুরি মাদক না, তবে মাদক হিসেবেই আমরা বিবেচনা করি। এই মাদক নিয়ন্ত্রণে সচেতনার লক্ষ্যে প্রচার প্রচারণাও করি। শিশুদের মাদক নিয়ন্ত্রণে নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা পালন করা উচিত কি না এবং এসব নিয়ে আরও জোড়ালো ভাবে কাজ করতে শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রয়োজন আছে কি না জানতে চাইলে বিষয়টি সম্পর্কে মন্তব্য করতে রাজি হোন না এই কর্মকর্তা।
প্রযুক্তির অপশক্তি শিকার হচ্ছে শিশুরা
সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশের প্রযুক্তিখাতের উন্নয়ন হচ্ছে। ডিজিটাল থেকে দেশ এখন স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায়। প্রযুক্তির সহজলভ্যতায় প্রয়োজন সহজতর হওয়া পাশাপাশি বিপজ্জনকও। বিশেষ করে শিশুদের জন্য। অনলাইন গেমসে আসক্ত হওয়ার পাশাপাশি অপসংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে শিশুরা। টিকটক লাইকির মতো প্রশ্নবিদ্ধ হওয়া আরও অনেক নিষিদ্ধ ওয়েবসাইটে ধাবিত হচ্ছে। ইচ্ছাকৃতভাবে না হলেও বিজ্ঞাপনের লিংক নিয়ে যাচ্ছে বিপথে। এছাড়া সাইবার বুলিংয়ের মতো মারাত্মক সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে শিশুরা। বিষয়টি নিয়ে বিব্রতবোধ করেন অভিভাবকরাও। একজন অভিভাবক জানান, শিশুদের জন্য প্রযুক্তি ইতিবাচক হলেও এখন নেতিবাচক। ভয় হয়, হাতে ফোন দিতে। তবে আধুনিকতার সঙ্গে চলতেও তো হবে। এই নিরাপত্তা কে দিবে?
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: বেতার: আজ যেন শুধুই স্মৃতি!
স্কুলগামী হতে পারছে না শিশুরা
মৌলিক অধিকারের অন্যতম একটি শিক্ষা। করোনার শিক্ষা থেকে ঝড়ে পরেছে অসংখ্য শিশু। শিক্ষা বঞ্চিত বেদে শিশুদের সংখ্যাটাও বেশ বড়। যাযাবর জীবনযাপনের ফলে বেদে জনগোষ্ঠীর শিশুরা পড়াশোনা করতে পারে না। ফলে শিক্ষা অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তারা। এমনকি দেশের উপকূল অঞ্চলে শিক্ষার পরিবেশ ও স্কুল না থাকায়ও শিক্ষার মতো মৌলক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিশুরা। এছাড়া প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনও বাল্যবিয়ের প্রবণতা আছে ব্যপক ফলে এসএসসি পাসের আগেই অনেক মেয়ের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে, পরে স্কুলগামী হতে পারে না তারা। বিষয়টি নিয়ে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনামের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, সরকারের উচিত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত বেদে জনগোষ্ঠীর শিশুদের পরিসংখ্যান তৈরি করা, সেই জরিপ অনুযায়ী বয়স ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রমের উদ্যোগ গ্রহণ করা, নয়ত এক অনিশ্চিত জীবনের দিকে চলে যাবে বেদে জনগোষ্ঠী শিশুরা, ফলে বাড়ছে মানসিক বিকৃতি।
বিজ্ঞাপন
ধর্ষণ, অপহরণ, হত্যা ও আত্মহত্যায় বিপন্ন শিশুদের জীবন
এ বছর ২৪ জানুয়ারি মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ‘শিশু পরিস্থিতি প্রতিবেদন ২০২২’ উপস্থাপন করে। প্রতিবেদনটির তথ্যানুসারে, গত এক বছরে ১২টি ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ২৮ শতাংশ। সেগুলো হলো যৌন নির্যাতন, ধর্ষণ, ধর্ষণচেষ্টা, সড়ক দুর্ঘটনা, অন্যান্য দুর্ঘটনা, অপহরণ, হত্যা, নির্যাতন, আত্মহত্যা, অপরাধে সংশ্লিষ্ট শিশু, নিখোঁজ ও পানিতে ডুবে মৃত্যু। এসব ক্ষেত্রে ২০২১ সালে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুর সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৪২৬। ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৯৪ অর্থাৎ এক বছরে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুর হার বেড়েছে প্রায় ২৮ শতাংশ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২২ সালে সড়ক দুর্ঘটনার বাইরে ৩১১টি শিশু অন্যান্য দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। এই বছরে ৫৬০ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে, যা আগের বছরের (২০২১) তুলনায় প্রায় ৩২ শতাংশ কম। ২০২২ সালে ধর্ষণচেষ্টার শিকার হয়েছে ৯৮ শিশু, যা আগের তুলনায় কিছুটা বেশি। এছাড়া ২০২২ সালে ৯৬ শিশু যৌন নির্যাতনের শিকার, ৩০ শিশু অপহরণ, ৬৮ শিশু নির্যাতন, ৩৩ শিশু নিখোঁজ ও ৯টি শিশুর বিভিন্ন অপরাধে সংশ্লিষ্ট হওয়ার খবর প্রকাশিত হয়েছে। এই সময়ে ৪৪টি শিশুর আত্মহত্যা করার খবর এসেছে সংবাদপত্রগুলোতে।
অভাবের তাড়নায় ঝুকিঁপূর্ণ শ্রমে যাচ্ছে শিশুরা
এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকার শিশুশ্রম নিরসনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, ২০২১ সালের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম ও ২০২৫ সালের মধ্যে সব ধরনের শিশুশ্রম বন্ধের পরিকল্পনা সরকারের থাকলেও ২০২৩ সালে এর বাস্তবতা একদম ভিন্ন, দেশের জাতীয় শ্রম আইন-২০১৬ (সংশোধিত ২০১৮) অনুযায়ী ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের কোনো প্রকার কাজে নিযুক্ত করা যাবে না, যদি কেউ শিশুশ্রমিক নিয়োগ করে, তাকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হবে, ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত কিশোরদের হালকা কাজ করার কথা উল্লেখ থাকলেও দেশের চিত্র ও বাস্তবতা ভয়াবহ। রাজধানীর সবগুলো মহাসড়কে লেগুনা, বাসসহ বিভিন্ন যানবাহনে হেলপার অপ্রাপ্তবয়স্ক। গ্যারেজ, ওয়ার্কশপের দোকান, মিল কারখানা, সিগারেট বিক্রি, ফুল বিক্রি, ফুটপাতে পানি বিক্রি, বাদাম বিক্রি ও হোটেল রেস্টুরেন্টের কর্মচারী এবং মহাসড়কজুড়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাড়িতে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করে অনেক শিশু। এমনকি বহুতল ভবন নির্মাণের কাজেও ব্যবহার করা হচ্ছে শিশুদের।
বিজ্ঞাপন
রাজধানীতে শিশুরা শ্রমের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়াচ্ছে। মাদক বহনের মতো অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে শিশুদের। সরকার ৩৮টি ঝুঁকিপূর্ণ কাজের তালিকা করেছে, যার মধ্যে গণপরিবহন অন্যতম। এবছর দেশের ৬টি শিল্প খাতকে ‘শিশুশ্রম মুক্ত’ ঘোষণা করেছে সরকার। খাতগুলো হলো রেশম, ট্যানারি, সিরামিক, গ্লাস, জাহাজ প্রক্রিয়াজাতকরণ, রপ্তানিমুখী চামড়াজাত দ্রব্য ও পাদুকা শিল্প। শিশুশ্রম নিয়ে অনুসন্ধান করে দেখা যায়, শিশুদের ৬ খাতের শ্রম থেকে মুক্ত করলেও শিশুরা শ্রমে জড়িয়ে পড়ছে ভিন্নখাতে। যার প্রধান কারণ দারিদ্র্যতা।
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, শিশুদের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় অবশ্যই প্রয়োজন। মন্ত্রণালয় না হলে অন্তত শিশু বিষয়ক অধিদপ্তর হওয়া উচিত। আমরা বিষয়টি নিয়ে অনেকবার কথা বলেছি। অনেকদূর এগিয়েছিল। একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছিল সেখানে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনও ছিল। সেটি স্থগিত হয়ে গেছে এবং এখন এই বিষয় নিয়ে কোনো কথা হচ্ছে না। আলাদা একটা অধিদপ্তর না হওয়ার কারণে শিশুদের বিষয়গুলো চার পাঁচটা মন্ত্রণালয়ে ছড়ানো। শিশুদের কার্যক্রম বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত, শ্রম মন্ত্রণালয়, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় ইত্যাদি। আমি মনে করি নারী ও শিশুদের উন্নয়নের জন্য আলাদা মনিটরিং করা প্রয়োজন ছিল, কাজগুলো হচ্ছে কি না!
আরও পড়ুন: মানসিক-শারীরিক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে শিক্ষাবঞ্চিত বেদে শিশুরা
বিজ্ঞাপন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালমা আক্তার বলেন, শিশুদের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় হলে সবচেয়ে বেশি ভালো হয়। এতে শিশুরা তাদের নিরাপত্তা ও ন্যায্য অধিকার পাবে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় দুটি এক হওয়াতে নারীরাও পর্যাপ্ত সহযোগিতা পাচ্ছেন না আবার শিশুরাও পাচ্ছে না। আলাদাভাবে শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় হলে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে শিশুদের যাবতীয় অধিকার বাস্তবায়ন সম্ভব। আমি মনে করি দুটো কারণে মন্ত্রণালয় প্রয়োজন প্রথমত নারী ও শিশুকে এক জায়গায় করে দেওয়া হয়েছে। দুটোই কিন্তু বিশাল জনগোষ্ঠী, নারীরাও শিশুরাও। একসঙ্গে যখন বাজেটটা দিয়ে দেওয়া হয় তখন শিশুরা কতটা পাবে, নারীদের জন্য কতটুকু থাকবে সেটা কিন্তু সমন্বয় করা কঠিন হয়। গুরুত্বের জায়গায় নারীরা বেশি পাবে, না শিশুরা পাবে এটাও কিন্তু বড় ধরনের সমস্যা। শিশু বলতে কিন্তু আমরা মেয়ে শিশু ছেলে শিশু দুই ধরনের শিশুর কথাই বলছি। দ্বিতীয় শিশুদের যতো সমস্যা আছে সেটা খুব সহজে সমাধান করা সম্ভব হবে শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে। অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের ধারণা আলাদা নারী বিষয়ক বা শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এটা বেশি একটা প্রয়োজনীয় না, এটা ভুল। নারীরা এবং শিশুরা অত্যান্ত প্রয়োজনীয়।
একশন এইড বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির বলেন, শিশুদের অধিকার, অংশগ্রহণ, নেতৃত্ববোধের ও শিক্ষার জায়গাসহ সবকিছু চিন্তা করলে আলাদা মন্ত্রণালয় দরকার। প্রথমত যদি আলাদা করা হয় তাহলে শিশুদের জন্য কী কী প্রয়োজন, তাদের রক্ষার জন্য স্বাস্থ্য শিক্ষা মানসিক বিকাশ ক্রীড়া ইত্যাদি। শিশুদের জন্য সব ধরনের বিষয় আনা যেতে পারে। আইনপ্রয়োগ হচ্ছে কি না, বিনিয়োগ হচ্ছে কি না, বাজেটে আসছে কি না, তাদের উন্নয়নের বিষয়টা, অংশগ্রহণের বিষয়টা, তাদের প্রয়োজনটা মাথায় নিয়ে কাজ করছে কি না নীতিনির্ধারকরা এসব। বড় একটা সময় ধরে আমরা মহামারি পার করেছি নতুন করে চিন্তা করাটা খুবই প্রয়োজন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (শিশু ও সমন্বয় উইং) মোঃ মুহিবুজ্জামান বলেন, শিশুদের জন্য আলাদা অধিদপ্তর করার বিষয়ে আমরা কাজ করছি, সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছি। করোনার আগে বিষয়টির একটু অগ্রগতি ছিল, করোনার পর ধীর গতি চলছে।
বিজ্ঞাপন
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ হাসানুজ্জামান কল্লোল বলেন, আপনি যেসব সমস্যার কথা বললেন কিছু সমস্যা নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের শিশু পুর্নবাসন কেন্দ্র আছে। এর মাধ্যমে কাজ করা হচ্ছে। সারা দেশের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য আমরা প্রকল্পের কাজ শুরু করেছি। এর মাধ্যমে সুফল আমরা পাবো। আপনি যেসব সমস্যার কথা উল্লেখ করেছেন এককভাবে আমাদের মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়, অন্যান্য মন্ত্রণালয় জড়িত। আমরা শিশু বিষয়ক অধিদপ্তর চাই, কারণ মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর আছে। শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের বিষয় নিয়ে আমরা প্রাথমিক কাজ করেছি। শিশু বিষয়ক অধিদপ্তর করার চিন্তা ভাবনা আমাদের আছে। একটু সময় লাগবে সেই লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। সরকারি এই কর্মকর্তা মনে করেন শিশুদের জন্য আলাদা অধিদপ্তর হলে শিশুদের সমস্যা সমাধান, মেধা বিকাশ ও সার্বিক নিরাপত্তায় সুফল মিলবে।
কেএসকে/জিকেএস
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন