ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ফিচার

যে কারণে পালিত হয় ‘সুখ দিবস’

ফিচার ডেস্ক | প্রকাশিত: ০১:১২ পিএম, ২০ মার্চ ২০২৩

গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটল বলেছিলেন, ‘সুখই হলো জীবনের মূল অর্থ, উদেশ্য, লক্ষ এবং সমাপ্তি।’ সুখে থাকলে যেমন জীবনে আনন্দ থাকবে, তেমনি নিজে আনন্দে থাকলে আশপাশের মানুষকেও আনন্দে রাখতে পারবেন। প্রতিবছর ২০ মার্চ সারাবিশ্বে পালিত হয় সুখ দিবস।

দিবসটির প্রতিষ্ঠাতা জাতিসংঘের উপদেষ্টা এবং শান্তি ও নিরাপত্তা অর্থনীতিবিদদের প্রতিনিধি জেম এলিয়েন। প্রতিবছর ২০ মার্চ আন্তর্জাতিক সুখ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয় জাতিসংঘ। জেম ২০১১ সালে এই দিবস পালনের প্রস্তাব দেন। পরবর্তীতে ২০১২ সালের ২৮ জুন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের এক অধিবেশনে এই সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়। অধিবেশনে জাতিসংঘের ১৯৩টি দেশের প্রতিনিধিরা দিবসটিকে স্বীকৃতি দেন। এরপর থেকে প্রতিবছর বিশ্বের একাধিক দেশ নানা আয়োজনে দিনটি পালন করে আসছে।

জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের প্রস্তাবে বলা হয়, মানুষের জীবনের মূল উদ্দেশ্য সুখে থাকা। ভারসাম্যপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণসহ পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের সুখ-সমৃদ্ধি নিশ্চিতে দিবসটি পালন করা হবে। এ ছাড়া সদস্যভুক্ত দেশগুলোর ওপর পূর্ণ এক বছর জরিপ পরিচালনা করে এই দিবসে সুখী দেশের তালিকা প্রকাশ করে থাকে জাতিসংঘ।

আরও পড়ুন: বিশ্ব পাই দিবস আজ 

জাতিসংঘের মতে বিশ্বের সব দেশে সুখ সমৃদ্ধীর জন্য ১৭টি টেকসই উন্নয়ন দরকার। যেমন-দারিদ্র্য দূরীকরণ, ক্ষুধামুক্ত, সুস্বাস্থ্য, মানসম্পন্ন শিক্ষা, লিঙ্গ সমতা, বিশুদ্ধ পানি, সাশ্রয়ী ও পরিচ্ছন্ন শক্তি এবং আরও কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

তবে আন্তর্জাতিক সুখ দিবস প্রচলনের প্রচারটি শুরু হয় মূলত ভুটানের হাত ধরে। ভুটানের ৪র্থ রাজা এই দিবস পালন শুরু করেন। দেশটিতে এরই মধ্যে সুখ-সূচকের ভিত্তিতে জাতীয় সমৃদ্ধির পরিমাপের প্রচলন করা হয়েছে। তারা জাতিসংঘের কাছে বছরের একটি দিন সুখ দিবস হিসেবে পালনের আহ্বান জানায়। এই প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে ‘আন্তর্জাতিক সুখ দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

একজন মানুষের সুখী হওয়ার পেছনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ভালো মানের সম্পর্ক। প্রিয়জনের সঙ্গে আনন্দে থাকলে তিনি সুখ অনুভব করবেন। সুখী হওয়া ব্যাপারটা এমন নয় যে, এটা এমনি এমনি ঘটে গেল। আপনাকে এজন্য অভ্যাস করে করে দক্ষ হয়ে উঠতে হবে- বলেছেন, লুরি স্যান্তোস নামে মনোবিদ্যার একজন অধ্যাপক। মনোবিদ্যার এই নারী অধ্যাপক সুখী হওয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস দিয়েছেন। বিবিসি সংবাদমাধ্যমে তা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করা হয়েছে। স্যান্তোস যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান তার নাম ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়। ইয়েলের ৩ শতকের ইতিহাসে তার ক্লাস ‘মনোবিদ্যা এবং সুখী জীবন’ হচ্ছে সবচেয়ে জনপ্রিয় কোর্স, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকাভুক্তির রেকর্ড ভেঙে ১২০০ শিক্ষার্থী নিজেদের নাম লিখিয়েছেন।

সূত্র: ডেজ অব দ্য ইয়ার

কেএসকে/জিকেএস

আরও পড়ুন