ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ফিচার

শওকত ওসমান ও শাহনাজ রহমতুল্লাহর জন্ম

ফিচার ডেস্ক | প্রকাশিত: ১০:৫২ এএম, ০২ জানুয়ারি ২০২৩

মানুষ ইতিহাস আশ্রিত। অতীত হাতড়েই মানুষ এগোয় ভবিষ্যৎ পানে। ইতিহাস আমাদের আধেয়। জীবনের পথপরিক্রমার অর্জন-বিসর্জন, জয়-পরাজয়, আবিষ্কার-উদ্ভাবন, রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজনীতি একসময় রূপ নেয় ইতিহাসে। সেই ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা স্মরণ করাতেই জাগো নিউজের বিশেষ আয়োজন আজকের এই দিনে।

২ জানুয়ারি ২০২৩, সোমবার। ১৮ পৌষ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

শওকত ওসমান
বিংশ শতাব্দীর বাংলাদেশের একজন স্বনামখ্যাত লেখক ও কথাসাহিত্যিক। ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি পশ্চিম বঙ্গের হুগলি জেলার সবল সিংহপুর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। জন্মসূত্রে তার নাম শেখ আজিজুর রহমান। তিনি মুক্তচিন্তার বুদ্ধিজীবী হিসেবে সমধিক পরিচিত ছিলেন। গল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাস, ছোট গল্প, নাটক, কবিতা, আত্মজীবনী, স্মৃতিখণ্ড, শিশুতোষ ইত্যাদি বিষয়ে লিখেছেন অনেক। তার গ্রন্থের সংখ্যা শতাধিক। ‘ক্রীতদাসের হাসি’ তার প্রসিদ্ধ উপন্যাস। বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কার, আদমজী সাহিত্য পুরস্কার, পাকিস্তান সরকারের প্রেসিডেন্ট পুরস্কার, একুশে পদক, স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার ইত্যাদি শীর্ষপর্যায়ী পুরস্কার ও পদকে ভূষিত হন। ১৯৯৮ সালের ১৪ মে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

শাহনাজ রহমতুল্লাহ
একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশি সংগীত শিল্পী। ১৯৫২ সালের ২ জানুয়ারি ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। দেশাত্মবোধক গান গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তার উল্লেখযোগ্য গানসমূহের মধ্যে রয়েছে এক নদী রক্ত পেরিয়ে, একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়ে, একতারা তুই দেশের কথা বলরে এবার বল্, প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ, আমায় যদি প্রশ্ন করে, যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়। প্রথমোক্ত তিনটি গান বিবিসির একটি জরিপে সর্বকালের সেরা বিশটি বাংলা গানের তালিকায় স্থান পায়। ১৯৯২ সালে তিনি একুশে পদক এবং ১৯৯০ সালে ছুটির ফাঁদে চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ নারী কণ্ঠশিল্পী হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও পেয়েছেন বাচসাস পুরস্কার, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার। ২০১৯ সালের ২৩ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

ঘটনা
১৭৫৭- ব্রিটিশদের কলকাতা দখল।
১৮৫৬- ফটোগ্রাফিক সোসাইটি অব বেঙ্গল প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৯০- সৈয়দ আমির আলী কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম মুসলমান বিচারপতি নিযুক্ত হন।
১৯৩৯- বোম্বাইয়ের (মুম্বাই) সাধারণ ধর্মঘটে দুই লাখ শ্রমিক অংশ নেয়।
১৯৪৬- ব্রিটিশ সরকার দেশ বিভাগ নিয়ে আলোচনা করতে নেহরু, বালদেভ সিং, জিন্নাহ ও লিয়াকত আলী খানকে আমন্ত্রণ জানায়।
১৯৫৪- ভারতের অসামরিক সম্মাননা- ভারতরত্ন পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ,পদ্মশ্রী মর্যাদাক্রম অনুসারে আজকের দিনে প্রবর্তিত হয়।

জন্ম
১৮৯২- প্রখ্যাত বাঙালি ভৌত-রসায়ন বিজ্ঞানী নীলরতন ধর।
১৮৯৬- শিশু সাহিত্যিক খগেন্দ্রনাথ মিত্র।
১৯১৭- বাংলাদেশি কবি ও শিশু সাহিত্যিক আহসান হাবীব।
১৯১৭- বাংলাদেশি ঔপন্যাসিক ও ছোটগল্পকার শওকত ওসমান।
১৯৫৩- বাংলাদেশি সংগীত শিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহ।

মৃত্যু
১৯৭২- বিশ্ব বিখ্যাত ভারতীয় কুস্তিগীর গোবর গোহ নামে সুপরিচিত যতীন্দ্র চরণ গুহ প্রয়াত হন।
১৯৭৫- বাংলাদেশি সমাজবাদী নেতা সিরাজ সিকদার।
১৯৭৬- ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক ও চলচ্চিত্র পরিচালক শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়।
১৯৭৭- বাঙালি সমাজবাদী সাংবাদিক প্রমথ ভৌমিক।
১৯৮৯- ভারতীয় নাট্যশিল্পী, নাট্যকার ও পরিচালক সফদার হাশমি।

দিবস
জাতীয় সমাজসেবা দিবস।
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ দিবস।

কেএসকে/জিকেএস

আরও পড়ুন