জীবনানন্দ দাশ ও বিনয় মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণ
মানুষ ইতিহাস আশ্রিত। অতীত হাতড়েই মানুষ এগোয় ভবিষ্যৎ পানে। ইতিহাস আমাদের আধেয়। জীবনের পথপরিক্রমার অর্জন-বিসর্জন, জয়-পরাজয়, আবিষ্কার-উদ্ভাবন, রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজনীতি একসময় রূপ নেয় ইতিহাসে। সেই ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা স্মরণ করাতেই জাগো নিউজের বিশেষ আয়োজন আজকের এই দিনে।
২২ অক্টোবর ২০২২, শনিবার। ০৬ কার্তিক ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
জীবনানন্দ দাশের প্রয়াণ
তার জন্ম ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি। তিনি ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান আধুনিক বাঙালি কবি, লেখক ও প্রাবন্ধিক। তিনি বাংলা কাব্যে আধুনিকতার পথিকৃৎদের মধ্যে অন্যতম। তার কবিতায় পরাবাস্তবের দেখা মেলে। সম্ভবত মা কুসুমকুমারী দাশের প্রভাবেই ছেলেবেলায় পদ্য লিখতে শুরু করেন। ১৯১৯ সালে ব্রহ্মবাদী পত্রিকার ১৩২৬ সনের বৈশাখ সংখ্যায় তার লেখা একটি কবিতা প্রকাশিত হয়। কবিতাটির নাম বর্ষা আবাহন। গ্রামবাংলার ঐতিহ্যময় নিসর্গ ও রূপকথা-পুরাণের জগৎ জীবনানন্দের কাব্যে হয়ে উঠেছে চিত্ররূপময়। তাতে তিনি ‘রূপসী বাংলার কবি’ অভিধায় ভূষিত হয়েছেন। বুদ্ধদেব বসু তাকে ‘নির্জনতম কবি’ বলে আখ্যায়িত করেন। অন্যদিকে অন্নদাশঙ্কর রায় তাকে আখ্যায়িত করেন ‘শুদ্ধতম কবি’ বলে। সাহিত্যে অবদানের জন্য পেয়েছেন রবীন্দ্র-স্মৃতি পুরস্কার, সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার। তার উল্লেখযোগ্য কবিতাগুলো হলো- আবার আসিব ফিরে, জীবন অথবা মৃত্যু, বনলতা সেন, শঙ্খমালা, আকাশলীনা, মকরসংক্রান্তির রাতে, সময়ের কাছে ইত্যাদি।
১৯৫৪ সালে ২২ অক্টোবর মারা যান।
বিনয় মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণ
একজন বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক , সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক। কর্মজীবনে ‘যাযাবর’ ছদ্মনামে তার লেখা ‘দৃষ্টিপাত’ গ্রন্থটি পঞ্চাশের দশকে বাঙালি পাঠক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। ১৯০৮ সালের ১০ জানুয়ারি ব্রিটিশ ভারতের অধুনা বাংলাদেশের ঢাকার ফেগুনামার গ্রামে জন্ম। দৈনিক ‘যুগান্তর’ পত্রিকায় সাংবাদিকতার কাজ নিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। সেখানে ‘শ্রীপথচারী’ ছদ্মনামে রাজনৈতিক কলমে লিখতেন। ছোটগল্প, উপন্যাস ও প্রবন্ধ সংকলন মিলিয়ে তার গ্রন্থের সংখ্যা ছয় এবং প্রত্যেকটি গ্রন্থই সুরচিত ও সুখপাঠ্য। এছাড়া ক্রিকেট খেলা নিয়ে বাংলা ভাষায় তার স্বনামে লেখা গ্রন্থ দুটি হলো- খেলার রাজা ক্রিকেট, মজার খেলা ক্রিকেট। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের নরসিংহ দাস পুরস্কার এবং বিদ্যাসাগর পুরস্কার লাভ করেন। ২০০২ সালের ২২ অক্টোবর দিল্লিতে মারা যান।
ঘটনা
১৭৬৪- বাংলা ও বিহারে নবাবি আমলের অবসান হয় এবং ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন শুরু হয়।
১৭৭৪ - কলকাতায় প্রথম সুপ্রিম কোর্ট প্রতিষ্ঠিত হয়।১৮৬২- আব্রাহাম লিংকন ক্রীতদাস মুক্তির ঘোষণায় স্বাক্ষর করেন।
১৯৩৫- হাইতিতে প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড়ে দুই হাজারের বেশি লোকের প্রাণহানি ঘটে।
১৯৭৩- বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় বেনিন।
১৯৯৫- জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্বনেতাদের সর্ববৃহৎ সম্মেলন শুরু।
জন্ম
১৮১১- ঊনবিংশ শতকের হাঙ্গেরিয়ান কম্পোজার, পিয়ানো বাদক, শিক্ষক এবং একজন সংগীতজ্ঞ ফ্রান্ৎস লিস্ট।
১৮৭০- নোবেল পুরস্কার বিজয়ী রাশিয়ান লেখক ও কবি ইভান বুনিন।
১৯০০- স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ বিপ্লবী আসফাকউল্লা খান।
১৯৫০- কবি, সমালোচক ও গবেষক ময়ুখ চৌধুরী।
১৯৫১- বাঙালি পদার্থবিদ, বাংলা সাহিত্যের রহস্য রোমাঞ্চ ও কল্পবিজ্ঞানের লেখক অনীশ দেব।
মৃত্যু
১৯০৬- ফরাসি চিত্রশিল্পী পল সেজাঁ।
১৯২২- খ্যাতনামা হোমিওপ্যাথিক ও হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা প্রতাপচন্দ্র মজুমদার।
১৯৭৫- ইংরেজ ঐতিহাসিক আর্নল্ড টয়েনবী।
দিবস
জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস। আন্তর্জাতিক তোতলামি সচেতনতা দিবস। ক্যাপস লক ডে।
কেএসকে/এমএইচআর