ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ফিচার

মোহিতলাল মজুমদার ও নীরা আর্যের প্রয়াণ

ফিচার ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৮:০০ এএম, ২৬ জুলাই ২০২২

মানুষ ইতিহাস আশ্রিত। অতীত হাতড়েই মানুষ এগোয় ভবিষ্যৎ পানে। ইতিহাস আমাদের আধেয়। জীবনের পথপরিক্রমার অর্জন-বিসর্জন, জয়-পরাজয়, আবিষ্কার-উদ্ভাবন, রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজনীতি একসময় রূপ নেয় ইতিহাসে। সেই ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা স্মরণ করাতেই জাগো নিউজের বিশেষ আয়োজন আজকের এই দিনে।

২৬ জুলাই ২০২২, মঙ্গলবার। ১১ শ্রাবণ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

ঘটনা
১৮৫৬- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রচেষ্টায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনাধীনে ভারতবর্ষের সকল বিচারব্যবস্থায় হিন্দু বিধবাদের পুনর্বিবাহ ‘দ্য হিন্দু উইডো’স রিম্যারেজ অ্যাক্ট,১৯৫৬ অনুসারে বৈধতা পায়।
১৮৭৬- কলকাতায় সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জীর নেতৃত্বে তার বন্ধু আনন্দমোহন বসু ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন বা ভারতসভা প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯৫৬- মিশর সরকার সুয়েজ খাল জাতীয়করণ করে।
১৯৬৫- যুক্তরাজ্য হতে মালদ্বীপ স্বাধীনতা লাভ করে।

জন্ম
১৮৬৫- বাঙালি কবি এবং সুরকার রজনীকান্ত সেন।
১৮৯৪- ইংরেজি উপন্যাসিক ও দার্শনিক অ্যালডাস হাক্সলি।
১৯২৭- ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার গুলাবরায় রামচাঁদ।
১৯৭১- বাংলাদেশি সাবেক ক্রিকেটার এবং কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন।

মৃত্যু
১৯৫৬- বাঙালি কবি মোহিতলাল মজুমদার। চব্বিশ পরগণা জেলায় মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার পৈতৃক বাড়ি ছিল অধুনা পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার চুঁচুড়া মহকুমার অন্তর্গত বলাগড় গ্রাম। চার-পাঁচ বছর বয়সে কাশীরাম দাসের মহাভারতের সঙ্গে পরিচিত হন। নয় বছর বয়সে তার রোমান্স পাঠে আগ্রহ জন্মায়। বারো-তেরো বছর বয়সে পলাশীর যুদ্ধ এবং মেঘনাদ বধ কাব্য পড়ে শেষ করেন। তিনি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রবন্ধকার ছিলেন। গভীর অন্তর্দৃষ্টি, নিপুণ বিশ্লেষণ ও ভাব-গম্ভীর ভাষার মহিমায় মোহিতলালের সমালোচনাধর্মী গ্রন্থগুলো ধ্রুপদী সাহিত্যের পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবদ্দশাতেই তার কাব্য আপন বৈশিষ্ট্যে প্রোজ্জ্বল হয়ে উঠেছিলেন। তিনি ‘কৃত্তিবাস ওঝা’, ‘চামারখায়-আম’, ‘সব্যসাচী’, ‘সত্যসুন্দর দাস’, ‘মধুকরকুমার কাঞ্জিয়াল’ এসব ছদ্মনামে লিখতেন।
১৯৮৭- ভারতীয় বাঙালি রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী চিন্ময় চট্টোপাধ্যায়।
১৯৯৯- আজাদ আজাদ হিন্দ ফৌজের রানি ঝাঁসি রেজিমেন্টের সৈনিক নীরা আর্য। ভারতের তৎকালীন যুক্তপ্রদেশের অধুনা উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের বাগপত জেলার খেকড়া শহরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জীবন বাঁচাতে তিনি নিজের স্বামীকে হত্যা করেন। নেতাজী তাকে ‘নীরা নাগিনী’ নামে অভিহিত করলে তিনি ‘নীরা নাগিনী’ নামেই পরিচিতি লাভ করেন। ব্রিটিশ সরকার তাকে একজন গুপ্তচর হিসেবে গণ্য করেছিল। নীরাকে স্বামী হত্যার কারণে দ্বীপান্তরের সাজা দেওয়া হয়েছিল। জেলে বন্দীদশায় সেখানে তাকে কঠোর শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়।
২০২০- ভারতীয় বাঙালি কবি বিজয়া মুখোপাধ্যায়।

কেএসকে/জিকেএস

আরও পড়ুন