বলাইচাঁদের জন্ম ও হুমায়ূন আহমেদের প্রয়াণ
মানুষ ইতিহাস আশ্রিত। অতীত হাতড়েই মানুষ এগোয় ভবিষ্যৎ পানে। ইতিহাস আমাদের আধেয়। জীবনের পথপরিক্রমার অর্জন-বিসর্জন, জয়-পরাজয়, আবিষ্কার-উদ্ভাবন, রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজনীতি একসময় রূপ নেয় ইতিহাসে। সেই ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা স্মরণ করাতেই জাগো নিউজের বিশেষ আয়োজন আজকের এই দিনে।
১৯ জুলাই ২০২২, মঙ্গলবার। ৪ শ্রাবণ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
ঘটনা
১২৯৬- জালালুদ্দিন খিলজিকে হত্যা করে আলাউদ্দিন খিলজি দিল্লির সিংহাসন দখল করেন।
১৭৬৩- বক্সারের যুদ্ধে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর কাছে মীর কাসিমের পরাজয়।
১৯২৫- এডলফ হিটলারের ‘মাইন ক্যাম্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত হয়।
১৯৭২- বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় মাল্টা ও ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র।
জন্ম
১৮৬৩- বাঙালি কবি, গীতিকার, ও নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়।
১৮৯৯- বাঙালি সাহিত্যিক বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়। অবিভক্ত ভারতবর্ষের বিহার রাজ্যের মণিহারীতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাদের আদি নিবাস অধুনা পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার শিয়াখালা গ্রাম। ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি আইএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন হাজারীবাগ সেন্ট কলম্বাস কলেজ থেকে। কলকাতা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাশাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। তবে পাটনা মেডিক্যাল কলেজে থেকে ডিগ্রি লাভ করেন। প্যাথলজিস্ট হিসেবে ৪০ বছর কাজ করেছেন। কৈশোর থেকেই লেখালেখি শুরু করেন। শিক্ষকদের কাছ থেকে নিজের নাম লুকাতে তিনি ‘বনফুল’ ছদ্মনামের আশ্রয় নেন। ১৯১৫ খ্রিষ্টাব্দে সাহেবগঞ্জ স্কুলে পড়ার সময় ‘মালঞ্চ’ পত্রিকায় একটি কবিতা প্রকাশের মধ্য দিয়ে তার সাহিত্যিক জীবনের সূত্রপাত ঘটে।
১৯০০- বিশিষ্ট সংগীতজ্ঞ, রবীন্দ্র সংগীত প্রশিক্ষক, রবীন্দ্র সংগীতের স্বরলিপিকার এবং বিশ্বভারতীর রসায়ন বিজ্ঞানের শিক্ষক শৈলজারঞ্জন মজুমদার।
১৯১৩- তেভাগা আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী অমল সেন।
১৯৩৬- বাংলাদেশি লেখক, অনুবাদক, প্রকাশক এবং মাসুদ রানা সিরিজের স্রষ্টা কাজী আনোয়ার হোসেন।
১৯৫০- কিংবদন্তি অভিনেত্রী, চলচ্চিত্রনির্মাতা, সাবেক সাংসদ সারাহ বেগম কবরী।
মৃত্যু
১৯৭১- গুয়েতেমালীয় কবি, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী রোমেলিয়া অ্যালারকন ফোলগার।
২০০০- ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের নারী বিপ্লবী ও সাহিত্যিক কমলা দাশগুপ্ত।
২০০৮- বাংলাদেশি কবি, কলামিস্ট ও লেখক সমুদ্র গুপ্ত।
২০১২- বাংলাদেশি লেখক, নাট্যকার ও চলচ্চিত্র পরিচালক হুমায়ূন আহমেদ। ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ময়মনসিংহ জেলার অন্তর্গত নেত্রকোণা মহকুমার মোহনগঞ্জে তার মাতামহের বাড়িতে জন্ম তার। তিনি বিংশ শতাব্দীর জনপ্রিয় বাঙালি কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম। তাকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক বলে গণ্য করা হয়। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবেও তিনি সমাদৃত। তার রচিত প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ ১৯৭২ সালে প্রকাশিত হয়। তাঁর মধ্যাহ্ন, জোছনা ও জননীর গল্প, মাতাল হাওয়া, লীলাবতী, কবি, বাদশাহ নামদার ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। বাংলা সাহিত্যের উপন্যাস শাখায় অসামান্য অবদানের জন্য তিনি ১৯৮১ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। এ ছাড়া বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য ১৯৯৪ সালে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।
কেএসকে/এসইউ/জিকেএস