পশুর মতো মুখ করলেই মিলবে পুরস্কার!
বিশ্বে কত অদ্ভুত প্রতিযোগিতাই না রয়েছে। কোথাও আছে স্ত্রীকে কাঁধে নিয়ে স্বামীদের দৌড় প্রতিযোগিতা কোথাও মরিচ খাওয়ার প্রতিযোগিতা। আবার কোথাও হয় মুরগি দৌড়।
এমন আরও সব অদ্ভুত প্রতিযোগিতা রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। যা বেশ ঘটা করেই পালন করা হয় সেখানে। এগুলো শুধুই আনন্দ দেওয়ার জন্য নয়, মিশে আছে দেশের সংস্কৃতির সঙ্গেও।
একটু ইতিহাস ঘাটলে জানা যায়, এই সব খেলার জন্ম সভ্যতার একঘেয়েমি থেকে উদ্ধার পেতেই। আর খেলা যত উদ্ভট, মন সেরে ওঠে তত।
প্রতি বছর ৬ সেপ্টেম্বর মাসে তেমনই এক আজব প্রতিযোগিতার আসর বসে ইংল্যান্ডে। যার নাম ‘গার্নিং চাম্পিয়ানশিপ’। ঘটা করেই আয়োজন করা হয় এই খেলার। দক্ষিণ-পশ্চিম ইংল্যান্ডের কুম্ব্রিয়া প্রদেশের ‘এগ্রিমন্ট ক্র্যাব ফেয়ার’-এর কথা নিশ্চয়ই জানেন। যা হয় প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে। এই উৎসবেরই অন্যতম অংশ ‘গার্নিং চাম্পিয়ানশিপ’৷ সোজা বাংলায় মুখ বিকৃতির প্রতিযোগিতা।
অদ্ভুত এই খেলার শুরু কিন্তু ৮০০ বছর আগে। তবে এগ্রিমন্ট ক্র্যাব ফেয়ার বড় উৎসব। যার একাধিক অংশ রয়েছে। যেমন এই উৎসবে স্থানীয় মৌসুমী ফল ক্র্যাব আপেল নিয়ে একটা কাণ্ড হয়। রাস্তায় রাস্তায় বের হয় শোভাযাত্রা। পথের দুইপাশে ভিড় করেন উৎসাহী মানুষ।
তাদের দিকে একটি চলন্ত ট্রাক থেকে এগ্রিমন্ট ক্র্যাব ফেয়ারের উদ্যোক্তারা আপেল ছুড়ে মারেন। সেই আপেল কুড়িয়ে খাওয়াই উৎসবের রীতি। এছাড়াও হয় শাকসবজির শো, ঘোড় দৌড়, তেল মাখানো লোহার পোলে চড়ার প্রতিযোগিতা, এক ধরনের কুস্তি প্রতিযোগিতাও হয়ে থাকে। তবে এগ্রিমন্ট ক্র্যাব ফেয়ারের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ গার্নিং চাম্পিয়ানশিপ বা মুখ বিকৃতির প্রতিযোগিতা।
এই খেলায় অংশ নিতে পারেন যে কোনো বয়সী নারী-পুরুষ। এমনকি শিশুরাও। সবার জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা বিভাগ। খেলার নিয়ম অনুযায়ী গলায় ‘ব্রাফিন’ বা হর্স কলার পরে মুখ বিকৃত করাই নিয়ম। যে যত বেশি বিকৃত করতে পারবে, সে তত বেশি পয়েন্ট পাবে।
যদি কেউ তার মুখটিকে কোনো পশুর মতো করে তুলতে পারে, তবে পয়েন্ট পাবে সবচেয়ে বেশি। জয়ীর জন্য থাকে দামি পুরস্কার। গার্নিং চাম্পিয়ানশিপের ট্রফি তো আছেই। এছাড়া এই খেলায় বিজয়ী প্রথম ৭ জন পাবেন পুরস্কার। বাকিদের জন্যও রয়েছে পুরস্কারের ব্যবস্থা। তবে সেই পুরস্কার হয় অন্য কিছু। যা হচ্ছে একঘেয়েমির শেষ, অন্যরকম আনন্দের পুরস্কার।
সূত্র: পিপা নিউজ
কেএসকে/জিকেএস