ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ফিচার

ওমিক্রন এড়াতে গণপরিবহনে কীভাবে চলাচল করবেন?

ইসমাম হোসাইন | প্রকাশিত: ১১:৫৫ এএম, ০৭ জানুয়ারি ২০২২

করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস। নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার চেয়েও অধিক সংক্রামক। এ কারণে এতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তুলনামূলক বেশি। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে বাড়তি সতর্কতার প্রয়োজন।

ওমিক্রনে বাড়তি সতর্কতায় কীভাবে থাকা যায় এ প্রসঙ্গে জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন শ্যামলী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট যক্ষা ও অ্যাজমা হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার শিল্পী। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ইসমাম হোসাইন-

জাগো নিউজ: ওমিক্রনের লক্ষণ কি কি?
ডা. আয়েশা আক্তার শিল্পী: ওমিক্রনের লক্ষণ একেক জনের শরীরে একেকভাবে প্রকাশ পায়। এটি হচ্ছে করোনা ভাইরাসের একটি ভ্যারিয়েন্ট। করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট যেমনটা ছিল ওমিক্রনের লক্ষণও অনেকটা তেমন।

অর্থাৎ গলা ব্যথা, একটু হালকা কাশি, জ্বর, সবকিছু মিলিয়ে সবাই সাধারণ সর্দি-কাশিই ভাবেন। দেখা যায়, কোভিডের ক্ষেত্রে জ্বর বেশি আসে না। শুরুতে একটু গলা ব্যথা, নাক দিয়ে পানি পড়া, একটু হালকা কাশি এগুলো দেখা যায়।

ওমিক্রনের ক্ষেত্রে ৩ ধরনের উপসর্গ দেখা যায় যেমন- মাইল্ড, মডারেট, সিভিআর বা মৃদু, মাঝারি ও মারাত্মক। মাইল্ড উপসর্গগুলো অনেকেই বুঝতে পারেন না। মাইল্ডের ক্ষেত্রে প্রথমে গলা ব্যথা করে তখন সবাই মনে করে ঠান্ডার জন্য এমনটি হয়েছে।

এই উপসর্গগুলো সবার ক্ষেত্রে দেখা যায় না। আসল উপসর্গ হলো গলা ব্যথা, কাশি, নাক দিয়ে পানি পড়া, নাকে গন্ধ না পাওয়া। শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যাটা পরের দিকে হয়। অনেক সময় জ্বর থাকে। এসব বিষয়গুলো কোভিডের উপসর্গ।

ওমিক্রনের ক্ষেত্রে দেখা যায় যারা শনাক্ত হয়েছে এ ধরনের উপসর্গ হয় মেজর ক্ষেত্রে। মাঝারি ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। মারাত্মকের ক্ষেত্রে হাসপাতলে ভর্তি হওয়া ও আইসিও দরকার হতে পারে।

জাগো নিউজ: গণপরিবহনে চলাচলে কীভাবে সতর্ক থাকতে হবে?
ডা. আয়েশা আক্তার শিল্পী: এ সময় গণপরিবহন এড়িয়ে চলা কিংবা সতর্কতার বিষয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বাস, ট্রেন কিংবা অন্য যে কোনো ধরনের পরিবহনের হাতল কিংবা আসনে করোনাভাইরাস থাকতে পারে।

কোভিডের ক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। গণপরিবহনে চলাচলের সময় অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। কারণ ভাইরাস ঢুকছে নাক-মুখ দিয়ে।

শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে নাক দিয়ে ভাইরাসটি ফুসফুসের ভেতরে চলে যাচ্ছে। এটি থেকে বাঁচতে আমাদের হালকা গরম পানি খেতে হবে। হালকা গরম পানি খেলে ও গরম পানির ভাঁপ নিলে অনেকটাই ভালো থাকে।

জাগো নিউজ: কর্মক্ষেত্রে কীভাবে সতর্ক থাকতে হবে?
ডা. আয়েশা আক্তার শিল্পী: অফিসে একই ডেস্ক ও কম্পিউটার ব্যবহার করা থেকে সতর্ক থাকতে হবে।

আর ব্যবহার করলেও ভালো করে পরিষ্কার করে ব্যবহার করতে হবে। কারণ একই ডেস্ক ও কম্পিউটার ব্যবহার করলে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে।

হাঁচি-কাশি থেকে ভাইরাস ছড়ায়। অফিসে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। কিছুক্ষণ পরপর স্যানিটাইজার অথবা সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।

নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করতে হবে। অফিসের ডেস্কে বসার আগে কম্পিউটার, কি-বোর্ড ও মাউস ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে।

জাগো নিউজ: ওমিক্রনের জন্য কি কোন ওষুধ আছে?
ডা. আয়েশা আক্তার শিল্পী: এই ভাইরাসের জন্য অ্যান্টিভাইরাল কোনো কিছু নেই। এজন্য ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়েছে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ভ্যাকসিন কার্যকরী ভূমিকা রাখছে।
এজন্য সবাইকে ভ্যাকসিন নিতে হবে। ভ্যাকসিন নিলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করতে হবে।

জাগো নিউজ: ওমিক্রনের জন্য কি আলাদা কোনো ভ্যাকসিনের প্রয়োজন আছে?
ডা. আয়েশা আক্তার শিল্পী: এখন যে ভ্যাকসিনটা দিচ্ছে এটাই ভ্যাকসিন নিলেই হবে। এখন উন্নত বিশ্বে যে বুস্টার ডোজ ভ্যাকসিন দিচ্ছে, বাংলাদেশেও দেওয়া শুরু হয়েছে। এই বুস্টার ডোজ অনেকটাই কাভার করে। এই বুস্টার ডোজ নিলে অনেকটাই কাজে দেবে।

জাগো নিউজ: আমাদের সময় দেবার জন্য ধন্যবাদ।
ডা: আয়েশা আক্তার শিল্পী: আপনাকেও ধন্যবাদ। জাগো নিউজের জন্য শুভকামনা।

জেএমএস/জিকেএস

আরও পড়ুন