ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ফিচার

ব্ল্যাক ফাঙ্গাস : বাংলাদেশের অবস্থা ও আমাদের করণীয়

ফিচার ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৩:৫৭ পিএম, ২৯ মে ২০২১

অধ্যাপক ডা. কে সি গাঙ্গুলী, এমডি

ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা কালো ছত্রাক নিয়ে কয়েকদিন যাবৎ বেশ আলোচনা হচ্ছে সব মিডিয়ায়। তার কারণ ভারতে এটির হঠাৎ বাড়বাড়ন্ত অবস্থা এবং ভারতীয় ভ্যারিয়্যান্ট বলে কথিত করোনারভাইরাসটি আমাদের দেশেও দেখা দিচ্ছে। তাই সাধারণ আশঙ্কা হচ্ছে, এ ফাঙ্গাস সংক্রমণও ভারতের মতো হতে পারে।

ব্যাঙ্গালুরুর যে হাসপাতালে আগে মাসে এরকম ২-৩ জন রোগী পাওয়া যেত; সেখানে এখন তারা দৈনিক পাচ্ছেন ৪০-৫০ জন। যা অকল্পনীয় এবং চিকিৎসার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার কারণ হচ্ছে, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগটি দেখা দেয় করোনা থেকে সেরে ওঠার ২-৪ সপ্তাহ পর। অর্থাৎ রোগীরা কোভিড নেগেটিভ আর হাসপাতালগুলো সয়লাব হয়ে গেছে কোভিড পজিটিভ রোগীদের দ্বারা। ফলে তাদের পৃথক করে চিকিৎসা দেওয়া একটি চ্যালেঞ্জ। ওষুধের প্রাপ্যতা কম এবং মূল্য খুবই বেশি। এসব মিলিয়েই ‘পোস্ট কোভিড ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ একটি তীব্র চিকিৎসা সংকটের সৃষ্টি করেছে।

কেন এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস?
ফাঙ্গাস বা ছত্রাক সম্বন্ধে আমরা সবাই কম-বেশি অবগত আছি। মানবদেহে সংক্রমণজনিত রোগ সৃষ্টি করে যেসব অনুজীব তাদের মধ্যে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গাস ও প্যারাসাইট প্রধান। খুব কাহিল, দীর্ঘদিন রোগে ভোগা অনেকের মুখগহ্বর, জিহ্বা, গলদেশে সাদা লেয়ারসহ ঘা আমাদের পরিচিত একটি ফাঙ্গাস সংক্রমণ। যার নাম ক্যানডিডা আর এটিই ‘সাদা ফাঙ্গাস’। আর ক্ষতটিকে বলা হয় ক্যানডিডিয়াসিস বা থ্রাশ।

এখন ফাঙ্গাসটির নাম ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ কেন হলো? যদিও এর বৈজ্ঞানিক নাম ‘মিউকরমাইকোসিস’ এবং যে ফাঙ্গাস এটি করে তার নাম ‘মিউকরমাইসিটিস’। এ ফাঙ্গাস কালচার করলে ডিস্কে সাদার ওপর কালচে ডট পরে, সেটাই বোধহয় এর নামকরণের সাথে যুক্ত। অন্যটি হচ্ছে, এটি আক্রান্ত স্থানে ক্ষত সৃষ্টির সাথে সাথে সেখানকার রক্তনালীগুলো বন্ধ করে দেয়। ফলে সেখানের টিস্যু মারা যায় এবং কালো হয়ে গ্যাংগ্রিনের মতো হয়ে যায়, সেটাও ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নামের সাথে যুক্ত।

কীভাবে এটি শরীরে প্রবেশ করে?
এ ফাঙ্গাস যুগ যুগ ধরেই প্রকৃতিতে বিদ্যমান ছিল এবং আছে। এটি ভিজে মাটিতে, স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায়, পচা ফলমূল, জৈব আবর্জনা, খড়-কুটোর গাদা, পচা কাঠ, পচা পাতা, গোবর ইত্যাদির ওপর জন্মে এবং বাতাসে এদের স্পোর বা বীজ ভেসে বেড়ায়। উপযুক্ত জায়গায় পড়লে সেখানে জন্মে। মানুষের শরীরে এটি প্রবেশের পথ সাধারণত নাক ও মুখ দিয়ে কিংবা ত্বকের ক্ষত দিয়ে। ফলে নাক, সাইনাস, ম্যাক্সিলা (মুখের চোয়ালের হাড়), মুখগহ্বর, জিহ্বা, মূর্ধা বা মুখের তালু (প্যালেট), চক্ষুগোলক, চক্ষুর পাশের হাড় হয়ে মস্তিষ্কের ভেতরে সংক্রমণ করতে পারে। তখন একে বলা হয় রাইনো-সেরিব্রাল মিউকরমাইকোসিস।

এ ফাঙ্গাস সংক্রমণের লক্ষণ কী?
যেহেতু ফাঙ্গাসটি নাক ও মুখ দিয়ে প্রবেশ করে, তাই লক্ষণ মূলত এসব অঙ্গ কেন্দ্রিক ঘা, ব্যথা, নাক দিয়ে রক্ত বা লালচে বা কালচে শ্লেষ্মা বের হওয়া, দাঁত ব্যথা, জ্বর, চক্ষু ফোলা-ব্যথা ও মাথায় তীব্র যন্ত্রণা হতে পারে, দৃষ্টিশক্তি লোপ পেতে পারে। সাধারণত মুখের একদিকে হয়, উভয় পার্শ্বে নয়। এ ফাঙ্গাস রক্তের মাধ্যমে দেহের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যেমন ব্রেইন, হার্ট, প্লীহা, ত্বক ইত্যাদি আক্রমণ করতে পারে। তাকে Disseminated MUCORMYCOSIS বলে।
এছাড়াও ফুসফুসে সংক্রমণ হলে কাশি, শ্বাসকষ্ট ও জ্বর হতে পারে Pulmonary MUCORMYCOSIS, পেটের খাদ্যনালীতে সংক্রমণ করলে Gastro-Intestinal MUCORMYCOSIS বলা হয়। ত্বকের কোনো ক্ষত যেমন পোড়া, কাটা, ঘা ইত্যাদিতে সংক্রমণ হলে Cutaneous MUCORMYCOSIS বলা হয়। এসব সংক্রমণই হতে পারে। তবে সবচেয়ে বেশি হয় রাইনো-সেরিব্রাল ধরনের সংক্রমণ।

আমাদের দেশের অবস্থা কী?
আমাদের দেশে ইতোমধ্যেই ২-৩টি কেস পাওয়া গেছে। তবে নিশ্চিত কতজন সংক্রমিত আছেন, তা জানা যায়নি। বাংলাদেশে এ ফাঙ্গাস এবং আরও অনেক ফাঙ্গাস-সৃষ্ট রোগ যেমন এসপারজিলোসিস, ক্যানডিডিয়াসিস, কক্সিডিওডোমাইকোসিস, হিসটোপ্লাসমোসিস, ক্রিপটোকক্কোসিস ইত্যাদি নানা রকম ফাঙ্গাসের সংক্রমণ করোনার আগেও ছিল। তবে এ ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ ছিল সংখ্যায় খুবই কম এবং নির্ণয় হতো আরও কম। আসলে সারা পৃথিবীতে গড়পড়তা এর হার বছরে কোটিতে ১৭ জন। তবে ভারতে রোগটি গড়পরতা হারের ৮০ গুণ বেশি করোনার আগেই ছিল। তার অনেক কারণও আছে। জীবনমান, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, দারিদ্র্য, কুসংস্কার সবই যুক্ত এ ফাঙ্গাস সংক্রমণের অধিক হারের সাথে।

এটি সংক্রামক কি-না?
আশার কথা, এটি একজন রোগী থেকে সরাসরি আরেক জনের দেহে ছড়ায় না। রোগীর দেহ থেকে নির্গত ফাঙ্গাস পরিবেশে মিশে উপযুক্ত জায়গায় জন্ম নেয়। সেখান থেকে আবার স্পোর বাতাসে ছড়ায়। ফলে ভয়ের কিছু নেই, প্রয়োজন সতর্কতা।

এ ফাঙ্গাস সংক্রমণ কাদের হয়?
এটি একটি সুবিধাবাদী ছত্রাক। অর্থাৎ সুস্থ-স্বাভাবিক দেহে এটি ঢুকলেও রোগ সৃষ্টি করতে পারে না। যাদের শরীরে অন্য রোগের কারণে, চিকিৎসার কারণে কিংবা দীর্ঘদিন রোগভোগের কারণে যারা রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে, যেমন- ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, লিম্ফোমা, লুপাস, বাতরোগ, এইডস, অঙ্গ-প্রতিস্থাপন করা, এখন করোনা পরবর্তী রোগী ইত্যাদি রোগীর এটি হতে পারে। ইমিউনিটি ভালো থাকলে এটি রোগ সৃষ্টি করতে পারে না। তবে ইমিউনিটি কম হলে রোগ হতে পারে।

প্রকোপ বাড়ার কারণ
রোগটির বর্তমান প্রকোপ বাড়ার কারণগুলো একটু পর্যালোচনা করা যাক। করোনা, ডায়াবেটিস ও স্টেরয়েড এই তিন মিলে একটি ‘অসাধু ত্রিত্ব’ সৃষ্টি করেছে বর্তমানে। এটাই মূলত এ ফাঙ্গাসের প্রকোপ বাড়ার বেশিরভাগ কারণ। একটু বিশ্লেষণে যাওয়া যাক-

১. এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে এবং অনেক বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। আবার করোনার ব্যাপকতা ও ঝুঁকি এ ইমিউনিটি কমদেরই বেশি। অধিকন্তু করোনা নিজেই রোগীর ইমিউনিটি আরও কমিয়ে দেয়। ফলে ফাঙ্গাস সংক্রমণ বেশি হচ্ছে এবং সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ছে।

২. ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, লিউকেমিয়া বা লিম্ফোমা, বাত রোগী, ট্রান্সপ্লান্ট রোগী, লুপাস রোগী, এইডস রোগী, কিডনি ফেইলিউরের রোগী ইত্যাদির ইমিউনিটি কম বলে তাদের ঝুঁকি বেশি। তাই সাবধানতা বেশি প্রয়োজন। তাদেরই বেশি ফাঙ্গাস সংক্রমণ হচ্ছে।

৩. চিকিৎসার কারণে ইমিউনিটি কমে যেতে পারে-
ক. করোনা এবং অন্য অনেক রোগের চিকিৎসায় স্টেরয়েড ব্যবহার করা হয়- এটি পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার বিশ্লেষণের পর পরিমিত মাত্রায় স্বল্পমেয়াদী হওয়া আবশ্যক। দীর্ঘমেয়াদী স্টেরয়েড কিংবা বেশি মাত্রায় ব্যবহার ইদানিংকার ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের প্রাদুর্ভাব বাড়িয়েছে বলে ধারণা করা হয়। বিশেষত ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে। আবার অনেক রোগের চিকিৎসায় ইমিউনোসাপ্রেসিভ ওষুধ প্রয়োগ করতে হয়, তাতে ইমিউনিটি বা রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এদের ভেতর ফাঙ্গাস সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে।

খ. TOCILIZUMAB মারাত্মক করোনায় বেশ ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি এবং অন্যান্য MAB জাতীয় ওষুধ প্রয়োগের ফলে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটে। ফাঙ্গাস সংক্রমণ ঘটাও যুক্তিসঙ্গত, তবে গবেষণা চলছে।

গ. প্রয়োজনীয় কিংবা অপ্রয়োজনীয় ব্রড-স্পেক্ট্রাম এন্টিবায়োটিক দীর্ঘমেয়াদে প্রয়োগের ফলে জিহ্বায়, মুখগহ্বরে, গলায় খাদ্যনালীতে, শ্বাসনালীতে, মুত্রনালী ও যৌনাঙ্গে ক্যান্ডিডা নামক ‘সাদা ছত্রাক’ সংক্রমণ প্রায়ই দেখা যায়। আসলে এভাবে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করার ফলে দেহের প্রয়োজনীয় জীবাণু মারা পড়ে এবং অপেক্ষাকৃত সুবিধাবাদী জীবাণু দ্রুত এগিয়ে এসে সংক্রমণ ঘটায়। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণ তার ব্যতিক্রম নয়। তাই চিকিৎসকদের এ ব্যাপারে খেয়াল রাখা প্রয়োজন এখন অনেক বেশি। আর সাধারণ মানুষ বিনা প্রেসক্রিপশনে এন্টিবায়োটিক সেবন বন্ধ করুন।

৪. ব্ল্যাক ফাঙ্গাস মূলত পরিবেশেই আছে। ভেজা মাটি, স্যাঁতসেঁতে, পচা ফলমূল, জৈবিক পদার্থ, খড়ের গাদায়, গোবরে ফাঙ্গাস জন্মে এবং একটু বাতাসে তার স্পোরগুলো উড়তে থাকে এবং মানুষের নাক ও মুখ দিয়েই শরীরে ঢোকে। তবে ত্বকে ক্ষত থাকলে সেখান দিয়েও ঢুকতে পারে- যেমন পোড়া ক্ষত, কাটা ক্ষত, থেতলানো কিংবা ড্রেসিং করা জায়গা ভিজে গেলে সেটা পরিবর্তন করা না হলে ফাঙ্গাস জমতে পারে। তাই পরিবেশ সচেতন হতে হবে নিজের আশপাশের জায়গা শুকনো ও পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। স্বভাবতই জীবন-মান এখানে গুরুত্বপূর্ণ, দারিদ্র্যের সাথে অশিক্ষা মিশে গেলে সেসব মানুষের জীবনমান উন্নয়ন কঠিন হয়ে পড়ে। তাদের খাদ্যাভ্যাস, পরিচ্ছন্নতা, সচেতনতা সবই নিম্নস্তরের, তার সাথে রয়েছে কুসংস্কার (ভারতে শরীরে গোবর মাখা অত্যন্ত দুঃখজনক)। ফলে তাদের সচেতন করাও বড় চ্যালেঞ্জ। আর তাই এরাই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ভিকটিম হচ্ছে এবং হওয়ার আশঙ্কা আছে।

চিকিৎসার বিষয়টি কেমন?
চিকিৎসার মূল বিষয় হচ্ছে দ্রুত রোগ নির্ণয়, আগেভাগে ওষুধ শুরু, দ্রুত ক্ষতটি সার্জারি করে সরিয়ে ফেলা এবং শরীরের বিপাকীয় (যেমন ডায়াবেটিস, অন্যান্য ওষুধ ইত্যাদি) বিষয় সংশোধন করা। বিলম্বের ফলাফল খারাপ হওয়ারই সম্ভাবনা বেশি।

এর চিকিৎসা অত্যন্ত দীর্ঘমেয়াদী ও ব্যয়বহুল। যে ইনজেকশন ব্যবহার করা হয় (এমফোটেরিসিন বি, পোসাকোনাজল ইত্যাদি) তার মূল্য যেমন বেশি; তেমনই মজুতও খুবই স্বল্প। ফলে সহসাই দুষ্প্রাপ্য হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তার ওপর প্রয়োজন হয় ৪-৬ সপ্তাহের চিকিৎসার। আবার অনেক ক্ষেত্রেই এর সাথে সার্জারির প্রয়োজন হয়। চক্ষুতে সংক্রমণ ঘটে গেলে অনেক ক্ষেত্রে চক্ষু উৎপাটন করতে হয়। মস্তিষ্কে সংক্রমণ ঘটলে মৃত্যুর সম্ভাবনা ৯০% এর বেশি। নাকের সাইনাসের সংক্রমণেও ৪০-৫০% মারা যায়। ফুসফুসের সংক্রমণে মৃত্যুহার ৭০-৮০%। ফলে চিকিৎসার দিক থেকেও খুব সহজলভ্য ও আশাপ্রদ নয়। তাই প্রতিরোধ করার দিকেই নজর দিতে হবে।

প্রতিরোধের উপায়
যেকোনো উপায়ে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। যাদের ডায়াবেটিস আছে, তা সুনিয়ন্ত্রিত রাখতে হবে। স্টেরয়েড এবং অন্যান্য ওষুধ প্রয়োগের ক্ষেত্রে সাবধান হতে হবে। সর্বোপরি কোভিড আক্রমণ ঠেকাতে হবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং টিকার মাধ্যমে। তাহলেই আপনার ফাঙ্গাস সংক্রমণ ঠেকানো যাবে। নিষেধ না থাকলে স্বাভাবিক খাবারের সাথে মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, ঘি ইত্যাদি খাওয়ার সুযোগ হলে ভালো। পরিমিত ব্যায়াম করা, ওজন কমিয়ে রাখা, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা, নাক-মুখের হাইজিন বা স্বাস্থ্য সুরক্ষা করা, বিশেষ করে বারবার ধুয়ে পরিষ্কার রাখা। নিজের চারপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত রাখার মাধ্যমে এবং কোভিড যাতে না হয় সেজন্য মুখের মাস্ক যথাযথ ব্যবহার করা, হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজ করা, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে ভিড় পরিহার করা ও প্রাপ্তি সাপেক্ষে দ্রুত কোভিড ভ্যাকসিন বা টিকা নেওয়ার মাধ্যমে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের আক্রমণ থেকে সবাই সুরক্ষা পেতে পারেন। সবশেষে স্টেরয়েড এবং এন্টিবায়োটিক নিজে নিজে কিনে খাবেন না। সচেতন হোন, সুস্থ থাকুন।

লেখক: অধ্যাপক, রেসপিরেটরি মেডিসিন, সিনিয়র কনসালট্যান্ট, হেড অব মেডিসিন অ্যান্ড চেস্ট ডিজিজ, ইমপালস হাসপাতাল, ঢাকা।

এসইউ/এমকেএইচ

আরও পড়ুন