আপনার ফাঁকা ঘর হতে পারে অন্যের আইসোলেশন সেন্টার
বেড়েই চলেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃতের সংখ্যা। সরকারিভাবে দেশের কয়েকটি স্টেডিয়াম প্রস্তুত করা হয়েছে করোনার কাজে ব্যবহার করার জন্য।
বেসরকারিভাবেও এগিয়ে এসেছে অনেক প্রতিষ্ঠান। তাদের পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবেও এগিয়ে আসতে পারেন যে কেউ। আপনার ফাঁকা ঘর হতে পারে অন্যের আইসোলেশন সেন্টার।
আইসোলেশন সেন্টার
আপনার ফাঁকা ঘরটি বা স্থাপনাটি হতে পারে আইসোলেশন সেন্টার। সেটা দিতে পারেন ভাড়া হিসেবে। করোনা আক্রান্ত অনেকেই আছেন; যাদের হোম আইসোলেশনে থাকার মতো ঘর নেই। তারা যদি ভাড়া হিসেবে একটি ফাঁকা ঘর পেয়ে যান, তাহলে সেটা সবার জন্যই নিরাপদ। মানুষের প্রয়োজনের স্বার্থে এগিয়ে আসতে পারেন আপনিও।
যেসব স্থাপনা ভাড়া দিতে পারেন
করোনার কারণে সব কিছুই প্রায় বন্ধ। তাই বন্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোকে আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে ভাড়া দিতে পারেন। যেমন-
১. কমিউনিটি সেন্টার
২. কনভেনশন হল
৩. বাংলো বাড়ি
৪. রিসোর্ট
৫. হোটেল-মোটেল
৬. অতিরিক্ত ঘর বা কক্ষ
৭. মেহমানখানা
৮. পড়ে থাকা কারখানা ইত্যাদি।
যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখবেন
এসব স্থাপনা ভাড়া দেওয়ার আগে কিছু বিষয়ে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে-
১. ভাড়া দেওয়ার আগে রোগীর পরিবারের সাথে অর্থসংক্রান্ত আলাপ সেরে নিতে পারেন।
২. বদ্ধ ও রুদ্ধ জায়গায় করোনা রোগীর আইসোলেশন সম্ভব নয়।
৩. নিজ পরিবারসহ আশেপাশের বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. ঘরটিতে কার্পেট বা বাড়তি আসবাবপত্র থাকলে সরিয়ে দিন।
৫. ঘরটিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে গুছিয়ে দিতে হবে।
৬. ঘর সংলগ্ন টয়লেট থাকা বিশেষ জরুরি।
৭. ঘরের দরজা বন্ধ রাখার ব্যবস্থা থাকতে হবে।
৮. পরিচর্যাকারী ছাড়া অন্য কেউ যেন সে ঘরে প্রবেশ না করে।
৯. রোগীর বিছানার চারপাশে কমপক্ষে ৩ ফুট জায়গা হলে ভালো হয়।
১০. আইসোলেশন শেষে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঘরটি জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে।
তাই আসুন, সব নেতিবাচক ভাবনা ছেড়ে সাহস আর ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও দায়িত্বশীল আচরণের মাধ্যমে করোনা মহামারীকে মোকাবেলা করি।
এসইউ/এএ/এমকেএইচ