চাইলেই হারিয়ে যেতে পারেন দিয়াবাড়ির কাশবনে
এখন শরৎকাল। শরতের শুভ্র আকাশের নিচে দক্ষিণা হাওয়ায় দুলে ওঠা থরে থরে কাশফুল মন্ত্রমুগ্ধ করে প্রকৃতিপ্রেমী থেকে শুরু করে একজন সাধারণ মানুষকেও। কিন্তু রাজধানী ভেতর এই অপরূপ সৌদর্য উপভোগ করার মত জায়গা নেই।
কর্মব্যস্ত নগরবাসীর বেশির ভাগেরই ফুসরত নেই দূরে কোথাও যাওয়ার। কারো কারো আবার সাধ্যও নেই। কিন্তু রাজধানীর ভেতরই এমন এক অপরূপ দৃশ্য দেখার জায়গা দিয়াবাড়ি।
আপনি চাইলে নিজে কিংবা প্রিয়জন নিয়ে হারিয়ে যেতে পারেন উত্তরার এই জায়গায়। তাছাড়া খুব কাছ থেকে উড়োজাহাজ উড়ে যেতে দেখতে চাইলে এটিই রাজধানীর একমাত্র স্থান। কারণ একটু দূরেই যে শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমানবন্দর।
এই দিয়াবাড়ি এখন শুধু প্রকৃতিপ্রেমীদের বেড়ানোর স্থান নয়, অনেক আগে থেকেই টিভি নাটকের শুটিং স্পষ্ট হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে। এর আসল সৌদর্য সবুজ প্রান্তর। আর বিশাল এক লেক ও লেকের বাধানো পাড়। এই লেকে উদাস হয়ে বসে থাকা ছাড়াও নৌকায় ঘুরতে পারবেন।
শরতের হু হু করা দখিণা ঠাণ্ডা হাওয়া আপনাকে চাঙ্গা করে তুলবে। কোথাও কোথাও ছোট ছোট জলাশয়ও চোখে পড়বে। আর যতদুর চোখ যাবে দেখা যাবে শুধুই কাশবন।
এখানে ‘দিয়াবাড়ি বটচত্বর’ নামে একটি জায়গাও আছে। এক বিশাল বটগাছ আর তার দুপাশে রাস্তা। আশেপাশে প্রায়ই থাকে বিভিন্ন শুটিং ইউনিট। তুরাগ নদীরই একটি শাখা মরা নদীও আছে এখানে।
ঘুরাঘুরি শেষে ক্ষুধা মেটাতে চলে যেতে পারেন বটতলা থেকে হেটে দুই মিনিটেই “বাতাস চাচার ধাবায়”। পেটপুজা করতে পারেন ইচ্ছামত। এছাড়া বেশ কয়েকটি ছোটখাটো দোকান আছে সেখানে।
যেভাবে যাবেন:
রাজধানী বা এর আশপাশ থেকে উত্তরার হাউজবিল্ডিং যেতে হবে। সেখানকার নর্থ টাওয়ার ও মাসকট প্লাজার সামনে থেকে লেগুনা পাওয়া যায়। এছাড়া সেখান থেকে রিকশা দিয়েও যাওয়া যায়। ব্যক্তিগত গড়ি বা সিএসজি দিয়েও হাউজবিল্ডিং হয়ে যেতে পারে অপরূপা দিযাবাড়িতে।
এইচএস/এসকেডি/আরআইপি