নতুন পাসপোর্ট করতে চান?
বিদেশ যেতে পাসপোর্টের বিকল্প নেই। এছাড়া নানা কাজে পাসপোর্টের প্রয়োজন হয়। সময় পেলে এখনই করে রাখতে পারেন পাসপোর্ট।
পাসপোর্ট করার জন্য প্রথমেই দরকার সদ্য তোলা ছবি। ছবি অবশ্যই কোনো ‘ফটো ল্যাব’ থেকে প্রিন্ট করে নিতে হবে। তবে এই ছবি আপনার পাসপোর্টে যুক্ত হবে না।
এবার সাধারণ সময়ে (৩০ দিন) পাসপোর্ট পেতে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদের নাম অনুযায়ী নির্ধারিত ব্যাংকে তিন হাজার ৪৫০ টাকা জমা দিন। জমা রশিদটি ফটোকপিসহ সংরক্ষণ করুন।
এই ঠিকানা (https://bit.ly/2PWScxw) থেকে পাসপোর্ট ফরম ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে পূরণ করুন। চাইলে এই ওয়েবসাইটে (www.passport.gov.bd) গিয়ে অনলাইনেও ফরম পূরণ করতে পারবেন।
আরো পড়ুন - পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে যা করবেন
নমুনা ফরম দেখে সঠিকভাবে ফরম পূরণ করুন এবং একটি ‘ব্যাক টু ব্যাক’ ফটোকপি করে নিন। দুই সেট ফরমের উপর সদ্য তোলা ছবি আঠা দিয়ে যুক্ত করুন।
এরপর টাকা জমার মূল রশিদ মূল ফরমের উপরে ডান দিকে আঠা দিয়ে যুক্ত করুন। ফটোকপি রশিদটি ফটোকপি ফরমের উপর একইভাবে যুক্ত করুন।
এরপর ফরমে উল্লেখিত ব্যক্তিদের মাধ্যমে ছবি সত্যায়িত ও ফরমের নির্ধারিত অংশটুকু (তৃতীয় পৃষ্ঠা) পূরণ করুন। দুই সেট ফরমের সাথে জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্মনিবন্ধন সনদ সংযুক্ত করুন।
আরো পড়ুন - পাসপোর্টের তথ্য সংশোধন করতে চাইলে
প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক টেকনিক্যাল সনদসমূহের (যেমন- ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ড্রাইভার ইত্যাদি) সত্যায়িত ফটোকপি যুক্ত করুন। চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক প্রত্যয়নপত্র (এনওসি), পরিচয়পত্র, ভিজিটিং কার্ড যুক্ত করতে হবে।
এরপর আপনার নিকটস্থ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে ‘ফ্রন্ট ডেস্কে’ দুই সেট ফরম জমা দিন। তারা আপনার পূরণকৃত ফরম ও কাগজপত্র দেখে পরবর্তী কাজের নির্দেশনা দেবেন। সরকারি ছুটির দিন (শুক্র ও শনিবার) বাদে সপ্তাহের বাকি পাঁচদিন সব পাসপোর্ট অফিস খোলা থাকে।
এই নির্দেশনার মধ্যে থাকবে ফরমের তথ্য অনলাইনে লিপিবদ্ধকরণ, ছবি উঠানো, ডিজিটাল স্বাক্ষর প্রদান ও আঙুলের ছাপ গ্রহণ।
সব কাজ শেষ হলে আপনার পাসপোর্ট প্রদানের একটি সম্ভাব্য তারিখসহ স্লিপ দেয়া হবে। এটি ভালোভাবে সংরক্ষণ করুন। কারণ পাসপোর্ট গ্রহণের সময় এই স্লিপ জমা দিতে হবে।
এএ