দিনের পর দিন সাপের ছোবল খেয়েও বেঁচে আছেন কিভাবে?
গাঁজা, কোকেন, হেরোইনের বদলে তাঁরা খান সাপের ছোবল। তাও যেমন-তেমন সাপ নয়, খোদ গোখরার ছোবল দিনের পর দিন তাঁরা নিচ্ছেন। কিন্তু তার পরেও তাঁরা দিব্যি বেঁচে রয়েছেন। এমন ঘটনাকে কীভাবে ব্যাখ্যা করবে বিজ্ঞান?
রাজস্থানের দুই ব্যক্তিকে ঘিরে বিস্ময়ের ঢল নেমেছে বিজ্ঞানী মহলে। যে সাপের এক কামড়ে যা বিষ থাকে, তাতে ২০ জন মানুষ মারা যেতে পারে অনায়াসে, সেই সাপের কামড় খেয়ে দিনের পর দিন বেঁচে রয়েছেন রাজস্থানের এই দুই ব্যক্তি। খবর জিনিউজের
খবর পয়ে চণ্ডীগড়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ-এর গবেষকরা ওই দু’জনকে নিয়ে আসেন এবং তাঁদের উপরে গবেষণা শুরু করেন। এরই মধ্যে দু’জনের কেস হিস্ট্রি ‘ইন্ডিয়ান জার্নাল অব সাইকোলজিক্যাল মেডিসিন’-এ প্রকাশিত হয়েছে।
চিকিৎসক অসীম মেহরা, দেবাশিস বসু এবং সন্দীপ গ্রোভার এই দুই ব্যক্তিকে পরীক্ষা করে দেখতে চেয়েছেন, সাপের বিষকে নেশার বস্তু হিসেবে গ্রহণ করার মিথটি কতটা সত্য।
রাজস্থানের গ্রামাঞ্চলে সাপের ছোবল খেয়ে নেশা করার চল রয়েছে। বিশেষ করে উত্তর-পশ্চিম রাজস্থানে এমন কাণ্ড হামেশাই হয়ে থাকে। কিন্তু সেখানে গোখরার মতো বিষধরের ছোবল কতটা গৃহিত হয়, সেটাই বিস্ময়কর।
জানা গেছে, ওই দুই ব্যক্তি গত ১৫ বছর ধরে নেশা করে আসছেন। চিকিৎসক সন্দীপ গ্রোভার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ভারতে নেশার বস্তু হিসেবে সাপের বিষের ব্যবহার নিয়ে মাত্র চারটি রিপোর্ট রয়েছে। এই দুই ব্যক্তিকে পরীক্ষা করলে এই বিষয়ে আরও খানিকটা আলোকপাত ঘটতে পারে।
এএ