ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ফিচার

১০০০ টাকার নোট চেনার উপায়

প্রকাশিত: ০৯:৩৬ এএম, ০২ অক্টোবর ২০১৪

চলছে হিন্দু ধর্মালম্বীদের দুর্গাপূজা। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই মুসলমাদের পুবিত্র ঈদুল আযাহা। এদিকে এই উৎসবকে কেন্দ্র করে স্বক্রিয় জাল টাকা চক্র। বিশেষ করে ১ হাজার ও ৫০০ টাকার নোটের দিকেই নজর বেশি। পশুর হাটগুলোতে জাল টাকা সনাক্তকরণ মেশিন থাকলেও অন্যান্য স্থানে তা নেই। নিচের বিষয়গুলো স্মরণ রাখলে নিজেই চিনে নিতে পারবেন জাল এবং আসল টাকার পার্থক্য।

কাগজ
নোটটি সিনথেটিক ফাইবার মিশ্রিত অধিক টেকসই কাগজে মুদ্রিত।

রং পরিবর্তনশীল হলোগ্রাফিক সুতা
নোটের বাম পাশে ৪ মিলিমিটার চওড়া নিরাপত্তা সূতা আছে, যাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো আছে। সরাসরি তাকালে লোগো ও কত টাকার নোট তা সাদা লেখায় দেখাবে, কিন্তু পাশ থেকে দেখলে বাঁ ৯০ ডিগ্রি তে নোটটি ঘুরালে তা কালো দেখাবে।

অতি ছোট আকারের লেখা
১০০০ টাকা নোটে নিরাপত্তা সুতার বাম পাশে খালি চোখে পরপর ২টি সরলরেখা দেখা যাবে যেগুলোর একটিতে 1000 TAKA এবং অন্যটিতে BANGLADESH BANK পুনঃ পুনঃ মুদ্রিত আছে। লেখাগুলো অতি ছোট আকারের হওয়ায় আতশি কাঁচ ব্যতীত খালি চোখে দেখা যাবে না।

ইরিডিসেন্ট স্ট্রাইপ
নোটের পিছনের দিকে ইরিডিসেন্ট ব্যান্ড বাঁ স্ট্রাইপে BANGLADESH BANK লেখা আছে। নোটটি নাড়াচাড়া করলে এর রং পরিবর্তন হয়।

জলছাপ
কাগজে জলছাপ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি। প্রতিকৃতির নিচে অতি উজ্জ্বল ইলেক্ট্রোটাইপ জলছাপে 1000 লেখা আছে এবং জলছাপের বামপাশে বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রামের উজ্জ্বলতর ইলেক্ট্রোটাইপ জলছাপ রয়েছে।

লুকানো ছাপা
নোটের নিচের বর্ডারে সুপ্ত বা লুকানো অবস্থায় ১০০০ মুদ্রিত আছে, নোটটি অনুভূমিকভাবে ধরলে লুকানো লেখাটি দেখা যাবে।

রং পরিবর্তনকারী কালি
উপরের ডানদিকের কোণায় (Optically Variable Ink) OVI অংশে 1000 লেখাটি সরাসরি তাকালে সোনালী এবং তির্যকভাবে তাকালে সবুজ রং দেখা যাবে।

অন্ধদের জন্য বিন্দু
নোটের ডানদিকে অন্ধদের জন্য ৫টি ছোট বিন্দু রয়েছে যা হাতের স্পর্শে উঁচু-নিচু অনুভূত হবে।

এই বিষয়গুলোর যে কোন একটি যদি অনুপস্থিত থাকে তবে সেই টাকাটি নিকটস্থ অভিজ্ঞ ব্যক্তির দ্বারা পরীক্ষা করিয়ে নিন।