ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ফিচার

কেমন কাটলো ২০১৭

ইমরাত হোসেন রিমেন , সালাহ উদ্দিন মাহমুদ | প্রকাশিত: ০৭:১৭ এএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭

আজ ৩১ ডিসেম্বর। সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে বিদায় নেবে একটি বছর। মুছে যাবে অনেক স্মৃতি। হারিয়ে যাবে আশাজাগানিয়া রাত। সূর্যালোকিত ভোর। বিদায় নিচ্ছে ২০১৭। বছরের ৩৬৫ দিনের হিসেব-নিকেশ চলবে অনন্তকাল। বিদায়ের সুর বেজে ওঠে নতুনের গানে গানে।

প্রচলিত আছে, ‘যায় দিন ভালো; আসে দিন মন্দ’। তবে আমদের বিগত সময়গুলো ভালো-মন্দ মিলিয়েই অতিবাহিত হয়েছে। তবে আমাদের যেদিন গেছে; তা হোক সফলতার কিংবা ব্যর্থতার। আমরা অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী দিনগুলো সাজাবো নির্ভুলভাবে। প্রবাদ থাকুক প্রবাদের মতো; আমরা চলবো নিজেদের বুদ্ধিমত্তায়।

গত একবছর আমাদের জন্য অনেক কারণেই আলোচিত-সমালোচিত। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, ধর্মীয় সহিংসতা, জঙ্গিবাদ, আন্তর্জাতিক কুদৃষ্টি, রোহিঙ্গা স্রোত, তারকাদের বিচ্ছেদ বারবার হোচট খেতে বাধ্য করলেও আমরা উঠে দাঁড়িয়েছি। বিপদসংকুল পথেই দীপ্ত পায়ে হেঁটেছি। আমাদের সংস্কৃতির ওপর থাবা এসেছে- তবুও আমরা থমকে যাইনি। আমাদের বিনোদনের সফলতা-ব্যর্থতাও আমাদের নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে। আমাদের সাহিত্যাঙ্গনে নতুন বাঁক এসেছে। আমরা সমৃদ্ধ হয়েছি। আমরা হোচট পথে চলতে চলতে দুরন্ত পথিক হয়েছি।

বছর যাই যাই মুহূর্তে চলে বিদায়ী আয়োজন। হিসেব-নিকেশ, চুলচেড়া বিশ্লেষণ চলে মাসজুড়ে। যা কিছু ঘটেছে, তা আমাদের চোখের সামনেই। চোখ বুজলেই তা দেখতে পাই। তবুও স্মরণ করিয়ে দেওয়া, একটু আলোড়িত করা। আপনি না হয় চোখ বন্ধ করে নিজের সালতামামিটা নিজেই করে নিন। দেখুন কোথায় আপনি সফল আর কোথায় ব্যর্থ? খুঁজে বের করুন সফলতা ও ব্যর্থতার কারণ।

তবুও মনে হয়, বিগত বছরটা আমাদের ভালোই কেটেছে। হিসেবের খাতা খুলে দেখেছি- খুব বেশি ব্যর্থতার কিছু ছিল না। কিছু ভুল-ত্রুটি তো থাকতেই পারে। যেহেতু আমরা মানুষ। আর মানুষ হিসেবে ভুল করার অধিকার কেবল আমাদেরই আছে। ব্যর্থতা এবং সফলতার মাপকাঠিতে খুব বেশি ব্যর্থ নই আমরা। বরং সফলতার ঝুলিটা বরাবরই সমৃদ্ধ হয়েছে।

কবির ভাষায়, ‘রূপ রস ও গন্ধময়,/ পৃথিবী হতে বিদায় লয়,/ পুরাতন বর্ষ শেষ হয়।’ পুরাতনকে হাসি মুখেই বিদায় দিতে প্রস্তুত আমরা। প্রস্তুত শেষরজনী উদযাপনে। ২০১৭ সালের যাবতীয় ঘটনার আলোকপাত মূল উদ্দেশ্য নয়। ব্যক্তিজীবনে, সামাজিক প্রেক্ষাপটে, রাষ্ট্রীয় বা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যত অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য থমকে যাওয়ার কারণ না খুঁজে অশুভকে বিতাড়িত করে শুভক্ষণকে বরণ করবো। কবিগুরুর ভাষায় বলতে হয়, ‘মুছ যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা। অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।’

সবশেষেও কবির মতোই বলতে হয়, ‘মুকুলিত সব আশা,/ স্নেহ, প্রেম, ভালবাসা,/ জীবনে চির স্মৃতি হয়ে রয়। … পুরাতন বর্ষ বিদায় লয়।/নববর্ষের আগমন হয়।’ সব আশা-স্নেহ-ভালোবাসা স্মৃতি হয়ে থাকুক। আগামী আসুক পুষ্পশোভিত হয়ে। প্রজ্জ্বলিত সূর্যের আলোকচ্ছটায় আলোকিত হোক বিশ্ব। বিশ্বের যাবতীয় মানুষের কল্যাণ হোক। বাংলাদেশ উত্তরোত্তর সফলতার দিকে এগিয়ে যাক। বিদায় ২০১৭।

এসইউ/আরআইপি

আরও পড়ুন