ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ফিচার

ওজন ঝরিয়ে ফিট বিশ্বের সবচেয়ে মোটা মানুষটি!

প্রকাশিত: ০১:০৮ পিএম, ১৫ জুন ২০১৫

ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে মোটা মানুষ। এক ধাক্কায় ৩০০ পাউন্ড ওজন কমিয়ে আবার হলেন সংবাদের শিরোনাম। কিন্তু ওজন ঝরালে দেখতে যে এমন কদর্য হয়ে উঠবেন, ধারণা ছিল না পল ম্যাসনের।

৯৮০ পাউন্ড থেকে ৬৫০ পাউন্ড! একধাক্কায় ৩০০ পাউন্ড কমানো আদৌ সহজ ছিল না পলের জন্য।

অস্ত্রোপচারের দৌলতে সেই অসাধ্যসাধনই করে ফেলেন পল ম্যাসন। কিন্তু, ওজন কমালে কি হবে, ঝুলে পড়া চামড়ায় গোটা শরীর হয়ে গেল আরও থলথলে। জ্বলন্ত মোমবাতির গা চুঁইয়ে মোম গলে গলে পড়ে জমাট বেঁধে গেলে যেমন দেখায়, তেমনই লাগছিল পলকে। তাই ওজন ঝরিয়েও খুব স্বস্তিতে ছিলেন না তিনি। যেন অকালবার্ধক্য চেপে বসেছিল।

প্রায় সাড়ে ৯ ঘণ্টার অস্ত্রোপচারে, সেই ঝুলে-পড়া চামড়া বাদ দিয়ে, পল এখন চনমনে। ফিরে পেয়েছেন স্বাভাবিক চেহারা। কমিয়ে ফেলেছেন আরও ৫০ পাউন্ড।

ফলে, এখন আর হুইলচেয়ারে করে ঘুরতে হচ্ছে না তাকে। নিজের পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াতে পারছেন। ঘুরছেন, ফিরছেন। বিছানায় শুতে আগের মতো আর কষ্ট নেই। ইচ্ছেমতো পাশ ফিরে, ঘুমোতে পারেন।

দ্বিতীয়বার অস্ত্রোপচারের জন্য বছর ৫৪-র পলকে ইংল্যান্ড থেকে উড়িয়ে আনা হয়েছিল ম্যানহাটনে। সেখানকার লেনক্স হিল হাসপাতালে চারজন প্লাস্টিক সার্জন মিলে তার অস্ত্রোপচার করেন। ছিলেন একজন জেনারেল সার্জনও।

বরাবরই খেতে ভালোবাসেন পল। খাওয়া মানে আবার ননস্টপ, এমনকি বিছানায় শুয়েও তার মুখ চলত। তার এই খাই খাই-ই শেষপর্যন্ত কাল হয়ে দাঁড়ায়। ওজন বাড়তে বাড়তে স্বাভাবিকতা হারায় শরীর। জবুথবু হয়ে পড়েন। খাওয়ায় রাশ টানতে শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের হাসপাতালে গ্যাসট্রিক বাইপাস সার্জারি করাতে হয়। তারপরই একধাক্কায় প্রায় ৩০০ পাউন্ড ওজন কমে যায় পলের। কিন্তু জটিলতা তৈরি হয় ঝুলে পড়া চামড়া নিয়ে।

যার জন্যই গত মে-তে ম্যানহাটনে এনে অস্ত্রোপচার। যার নেতৃত্বে অস্ত্রোপচার হয়েছে, সেই জেনিফার ক্যাপলা, বিস্মিত। এমন জটিল অপারেশন আগে করতে হয়নি তাকে। জেনিফারের কথায়, এটা ছিল আমার কাছে চ্যালেঞ্জ। কারণ, ঝুলে পড়া চামড়ায় থাকা রক্তের শিরা-উপশিরা বাদ দেওয়া ঝুঁকির ছিল। একটু এদিক ওদিক হলে, রক্তক্ষরণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারত।

অস্ত্রোপচারের পর এখন ম্যাসাচুসেটসে রয়েছেন ম্যাসন। নিজের কাজ নিজেই করছেন। নিজের হাতে বাগান সাজাচ্ছেন। ঘুরতে বেরোচ্ছেন পোষা কুকুর ডিউককে নিয়ে। কদিন আগেও ভাবতেই পারতেন না এসব।

পল ম্যাসনের কথায়, গত তিরিশ বছরে এই প্রথমবার সিনেমা হলে গিয়ে স্ত্রীকে পাশে বসিয়ে ছবি দেখলাম। এমনটা যে ফের সম্ভব, সত্যি ভাবিনি।

এসআরজে