বন্যার্তদের জন্য বইমেলা
দিগন্তবিস্তৃত পানি। তার মধ্যে গলা উঁচিয়ে আছে মানুষ, তারও চেয়ে উঁচুতে নিজের সন্তান আর প্রিয় গৃহপালিত পশুটিকে ধরে। এই ভালোবাসা শুধু মানুষের পক্ষেই সম্ভব। এভাবেই মানুষের বিপদে এগিয়ে আসে মানুষ, করুণ দৃশ্যগুলো হয়ে ওঠে স্বর্গীয়।
বন্যার এই মহা বিপজ্জনক সময়ে কয়েক তরুণের উদ্যোগে আয়োজিত হতে যাচ্ছে বইমেলা। মেলায় বিক্রয়লব্ধ পুরো অর্থ দুর্গত অঞ্চলের বন্যার্তদের মাঝে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানা যায়।
২৫ আগস্ট শুক্রবার দুপুর ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত শাহবাগে বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে। এই আয়োজনে সবাই সহযোগিতার হাত বাড়াতে পারেন। ইতিমধ্যে বন্যার্তদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন বেশকিছু লেখক ও প্রকাশনী।
লেখক-প্রকাশক-পাঠকদের মধ্যে আয়োজক হলেন- জগলুল হায়দার, আশরাফ জুয়েল, রাসেল রায়হান, জব্বার আল নাঈম, কাদের বাবু, মামুন সারওয়ার। আয়োজকরা জাগো নিউজকে জানান, মানুষ মানুষের জন্য, তাই বন্যাদুর্গতদের পাশে থাকতে চাই। বন্যার সময় তারা যে বিপদে ছিলেন, তার চেয়ে অনেক বেশি বিপদে পড়বেন এখন। কেননা কারো ঘর নেই, কারো খাবার নেই। কারো জমির ফসল ডুবে গেছে। কারো গরু-ছাগল মরে গেছে। দুর্গত মানুষের পাশে থাকতেই এ আয়োজন।
আরও পড়ুন- এবারও বন্যার্তদের পাশে জাগো নিউজ
তারা জানান, তাদের এই ক্ষুদ্র আয়োজনের মাধ্যমে যদি কিছু পরিবার মাথা গোঁজার মতো অবস্থান করতে পারে, তা হবে সবার আনন্দের বিষয়। বইমেলা আয়োজন করে বিক্রয়লব্ধ পুরো অর্থ সাধারণের মাঝে বিলিয়ে দিতে চান। সেইসঙ্গে বইয়ের প্রতি উৎসাহী করে তোলাও তাদের লক্ষ্য।
আয়োজক প্রকাশনীগুলো হলো- ঐতিহ্য, বিশ্বসাহিত্য ভবন, বাবুই, দেশ পাবলিকেশন, বাঙালি, অমর প্রকাশনী, সিদ্দিকীয়া পাবলিকেশন্স, পঙ্খিরাজ, পরিবার পাবলিকেশন্স, ইনভেলাপ, কালো, ছায়াবীথি, জেব্রাক্রসিং, তৃতীয় চোখ, পূর্বপশ্চিম, লাটাই, ছড়া আনন্দ, দাঁড়িকমা প্রকাশনী।
বই কেনার পাশাপাশি নগদ অর্থসহায়তা দিয়েও বন্যার্তদের পাশে থাকতে পারেন। আর্থিক সাহায্য পাঠাতে পারেন বিকাশ (০১৮১৬১৫৯৩২৬, ০১৬১৫৩৩১০৯৮, ০১৯১১১৩১২৮১, ০১৯৪৫৫৯৯৯১৩) নম্বরে। এছাড়া ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, মো. আবদুল কাদের ১০৫-১০১-৮৩৩৭২ এবং অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড, জব্বার আল নাঈম ০২০০০০৮৯৪০২৫৪ এর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে।
এসইউ/পিআর