ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ফিচার

ঈদ উপলক্ষে ব্যস্ত জামালপুরের সূচিশিল্পীরা

প্রকাশিত: ১০:৩১ এএম, ১৪ জুন ২০১৭

নকশী কাঁথা, শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, পাঞ্জাবি, সেরোয়ানিসহ জামালপুরের নারীকর্মীদের হাতে তৈরী নানা নকশী পণ্যের সুনাম ইতোমধ্যেই দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বাইরে। দেশ-বিদেশে চাহিদা বৃদ্ধির সাথে ব্যাপকভাবে প্রসার ঘটেছে এখানকার হস্তশিল্পের। আর ঈদকে সামনে রেখে এখানকার নকশী পণ্যের চাহিদাও অনেক গুণ বেড়ে গেছে। ঈদে নকশী সূচি পণ্যের বিপুল চাহিদা মেটাতে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন জেলার সূচিশিল্পীরা।

jamalpur

জামালপুর জেলায় সবমিলিয়ে অর্ধ লাখের বেশি নারীকর্মী জড়িয়ে আছে নকশী সূচিশিল্পের সঙ্গে। সুই-সুতায় নানা ডিজাইন, রং আর বর্ণে তারা ফুটিয়ে তুলছে নকশী কাঁথা, বেডকভার, শাড়ি, ফতোয়া, পাঞ্জাবি, সালোয়ার-কামিজসহ নানা সূচি পণ্য। উন্নতমানের এখানকার নকশী সূচি পণ্য ইতোমধ্যে ঢাকাসহ দেশের সব বড় শহরের বাজার দখল করেছে। একই হারে এই পণ্যের প্রসার ঘটেছে বিদেশেও। ঈদকে সামনে রেখে এখানকার নকশী পণ্যের বিপুল চাহিদা মেটাতে এখন দিন-রাত কাজে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে তাদের। বাড়তি দু’পয়সা আয়ের জন্য কর্মীরা কাজ করছে রাত জেগেও। নিজের খরচ আর ঈদে দু’পয়সা হাতে পাবার আশায় স্কুলছাত্রীরাও জড়িয়ে পড়েছে এ কাজে। এবার ঈদে দেশের বড় বড় শহরের শো-রুমের জন্য নতুন নতুন নকশী কাঁথা, বেডকভার, শাড়ি, লেহেঙ্গা, পাঞ্জাবি, সালোয়ার-কামিজ, ফতোয়া তৈরী হচ্ছে। এসব পণ্যের বিপুল চাহিদা মেটাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে মাঝারি উদ্যোক্তাদের। উদ্যোক্তারা বলছেন, সুতা ও কাপড়ের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবার উৎপাদন খরচ বেড়েছে। তবে দাম রয়েছে ক্রেতার নাগালের মধ্যেই। বিক্রিও হচ্ছে বেশ ভালো।

jamalpur

জামালপুর জেলা হস্তশিল্প সমিতির সহ-সভাপতি দেলুয়ারা বেগম জানান, এখানকার হস্তশিল্পজাত পণ্যের খ্যাতি সারাদেশে রয়েছে। অন্য বছরগুলোতে ভারতীয় পণ্যের প্রসারে হস্তশিল্পের উদ্যোক্তারা ক্ষতির শিকার হলেও এ বছর সেই প্রভাব পড়েনি। ঈদকে সামনে রেখে বেচাকেনাও ভালো হচ্ছে।

এবার জামালপুরের নকশী কাঁথা বিক্রি হচ্ছে ২০০০-৭০০০ টাকা, বেডকভার ১২০০-৫০০০ টাকা, কুশন কভার ৫০০-২০০০ টাকা, পিলু কভার ৫০০-১৭০০ টাকা, শাড়ি ১৫০০-১০,০০০ টাকা, পাঞ্জাবি সুতি ৮০০-৪০০০ টাকা, সিল্ক ১৫০০-৩৫০০ টাকা, থ্রিপিচ ৮০০-৫০০০ টাকা, টুপিচ ৮০০-২০০০ টাকা, ফতোয়া ৩০০-১৫০০ টাকা, কটি ৪০০-১০০০ টাকা, ওয়ালমেট ৪০০-৪০০০ টাকা, ব্যাগ ১৫০-৫০০ টাকা, পার্স ২৫-৩০০ টাকা, শিশু ফ্রক ৩০০-৭০০ টাকায়।

এসইউ/জেআইএম

আরও পড়ুন