ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ফিচার

পুতিনের বিভিন্ন রূপ (দেখুন ছবিতে)

প্রকাশিত: ০৮:০৮ এএম, ০১ জুন ২০১৭

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তি। ফোর্বস ম্যাগাজিনের বিবেচনায় ২০১৬ সালে তিনি এ খ্যাতি অর্জন করেন। বিশ্বের শক্তিশালী ব্যক্তিটির বিভিন্ন রূপ দেখুন ছবিতে।

কেজিবি থেকে ক্রেমলিন
kgb-krmlin
১৯৭৫ সালে ভ্লাদিমির পুতিন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের নিরাপত্তা সংস্থা কেজিবিতে যোগ দেন। আশির দশকে তিনি কেজিবি এজেন্ট হিসেবে জার্মানির ড্রেসডেনে কর্মরত ছিলেন। বার্লিন ওয়ালের পতনের পর রাশিয়ায় ফিরে গিয়ে বরিস ইয়েলসিনের ক্রেমলিনে প্রবেশ করেন। ইয়েলসিন তার উত্তরসূরি হিসেবে পুতিনের নাম ঘোষণা করলে তার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথ প্রশস্ত হয়।

প্রথম প্রেসিডেন্সি
1st-presidency
বড় পদে যাওয়ার আগ পর্যন্ত রাশিয়ার সাধারণ মানুষ পুতিনকে একদম চিনতো না। ১৯৯৯ সালের আগস্টে চেচনিয়ার একদল সশস্ত্র মানুষ রাশিয়ার দাগেস্তান দখল করে নিলে পুতিন আলোচনায় আসেন। প্রেসিডেন্ট ইয়েলসিন তখন তাকে চেচনিয়াকে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে আনার দায়িত্ব দেন। সে বছর বর্ষবরণের আগের রাতে ইয়েলসিন অপ্রত্যাশিতভাবে পদত্যাগ করেন এবং পুতিনকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব দেন।

কঠোর পুরুষ
still-man
সোচিতে একটি প্রীতি হকি গেমে পুতিনের দল ১৮-৬ গোলে জয়লাভ করে। এরমধ্যে আটটি গোলই করেছেন স্বয়ং প্রেসিডেন্ট!

মুক্তচিন্তায় বাধা
bakswadhinata
পুতিন বিরোধীদের এক ব়্যালিতে এভাবে মুখে টেপ লাগিয়ে তার উপরে পুতিন লিখে হাজির হয়েছিলেন এক প্রতিবাদকারী। ২০১৩ সালে সে দেশের রাষ্ট্রীয় সংবাদসংস্থা রিয়া নোভোস্টিকে সংস্কারের ঘোষণা দেয় ক্রেমলিন এবং সেটির দায়িত্ব উগ্র পশ্চিমাবিরোধী মতের জন্য পরিচিত এক ক্রেমলিনপন্থির হাতে তুলে দেওয়া হয়। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্সের প্রেস ফ্রিডম সূচকে ১৭৮টি দেশের মধ্যে রাশিয়ার অবস্থান ১৪৮তম।

পুতিন কাজে বিশ্বাসী
vabmurti
রাশিয়ায় অনেকে বিশ্বাস করেন পুতিন কাজে বিশ্বাসী। এ ভাবমূর্তি গড়তে গিয়ে গণমাধ্যমে মাঝেমাঝেই ঊর্ধ্বাঙ্গ অনাবৃত ঘৌড়সওয়ারের বেশে বা জুডোতে প্রতিপক্ষকে ধরাশায়ী করার বেশে পুতিনের ছবি প্রকাশ হয়। রাশিয়ায় স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে পারায় পুতিনের প্রশংসা করেন অনেকে। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে একনায়কতন্ত্রের অভিযোগও রয়েছে।

অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া
konthorodh
২০০৭ সালে পুতিনের ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টি ব্যাপক ভোটে জয়লাভ করে। তখন সমালোচকরা দাবি করেন, ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া মুক্ত এবং গণতান্ত্রিক ছিল না। পুতিনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধের অভিযোগে আয়োজিত এক বিক্ষোভ থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। সেই বিক্ষোভ ব়্যালিতে একটি পোস্টারে লেখা ছিল, ‘ধন্যবাদ, না!’

সাজানো নাটক
drama
ক্রাইমিয়ার সেভাস্টোপোলে একটি ছোট সাবমেরিনের মধ্যে দেখা যাচ্ছে পুটিনকে। বলা হয়ে থাকে, কৃষ্ণ সাগরের গভীরে তিনি গিয়েছিলেন এই সাবমেরিনে করে। এরকম ছবি মাঝেমাঝেই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। কখনো তিনি বুনো বাঘকে কাবু করেন চেতনানাশক দিয়ে কিংবা ওড়ের বিলুপ্তপ্রায় সারসের সঙ্গে। এভাবে এক দুঃসাহসী অভিযাত্রীর বেশে পুতিনকে উপস্থাপন করা হয়।

সূত্র : ডয়েচে ভেলে

এসইউ/জেআইএম

আরও পড়ুন