চিকুনগুনিয়া থেকে বাঁচার উপায়
রাজধানী ঢাকায় গত দুইমাসে চিকুনগুনিয়া ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। ফলে চিকুনগুনিয়া জ্বরাক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। তাই প্রতিকারের আগে প্রতিরোধ গড়ে তোলা জরুরি। সেজন্য আমাদের সচেতন হতে হবে। আসুন জেনে নেই চিকুনগুনিয়া থেকে বাঁচার উপায়।
চিকুনগুনিয়া কী
চিকুনগুনিয়া মশাবাহিত একটি ভাইরাসের নাম। ডেঙ্গু রোগের ভাইরাস বহনকারী মশাই চিকুনগুনিয়া ভাইরাস বহন করে। গ্রামাঞ্চলে অনেকে একে ‘ল্যাংড়া জ্বর’ বলে।
রোগ শনাক্ত
গবেষণায় বলা হয়, ১৯৫২ সালে প্রথম তানজানিয়ায় রোগটি শনাক্ত হয়। এখন বিশ্বের প্রায় ৬০টি দেশে রোগটি দেখা যায়। ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশে এই রোগটির প্রকোপ প্রথম দেখা যায়।
প্রকোপ
ঢাকার ধানমন্ডি, কলাবাগান, গ্রীনরোড, হাতিরপুল, লালমাটিয়া, মালিবাগ প্রভৃতি এলাকায় চিকুনগুনিয়া রোগের প্রকোপ বেশি বলে ধারণা করছেন চিকিৎসকরা। এছাড়া নারীদের মধ্যে আক্রান্ত হওয়ার হার তুলনামূলক বেশি।
কারণ
এটাও এডিস মশা থেকেই হচ্ছে। বৃষ্টির পানি বাসাবাড়ির ছাদে বা বারান্দার টবে জমে থাকলে এডিস মশা ডিম পাড়ে। ফলে মশা বেড়েছে বলে রোগটিও বেড়েছে।
উপসর্গ
প্রথমদিন থেকেই রোগীর অনেক বেশি তাপমাত্রায় জ্বর ওঠে। কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। প্রায়ই তা একশ’ চার বা পাঁচ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় উঠে যায়। একইসঙ্গে প্রচণ্ড মাথা ব্যথা, শরীর ব্যথা, বিশেষ করে হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা হয়। জ্বর চলে যাওয়ার পর শরীরে লাল র্যাশ ওঠে। জ্বর ভালো হলেও অনেকদিন ধরে ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
প্রতিকার
* এই রোগের কোন নির্দিষ্ট প্রতিকার নেই।
* লক্ষণ দেখে চিকিৎসা ঠিক করা হয়।
সতর্কতা
১. যেহেতু মশার কারণে রোগটি ছড়ায়, তাই মশার কামড় থেকে বাঁচার ব্যবস্থা করতে হবে।
২. ঘরের বারান্দা, আঙিনা বা ছাদ পরিষ্কার রাখতে হবে।
৩. পানি যেন পাঁচদিনের বেশি জমে না থাকে।
৪. এসি বা ফ্রিজের নিচেও যেন পানি না থাকে।
৫. মশাটি দিনের বেলায় কামড়ায়, তাই দিনে কেউ ঘুমালে অবশ্যই মশারি ব্যবহার করবেন।
৬. মশা মারার জন্য স্প্রে ব্যবহার করা যেতে পারে।
৭. বাচ্চাদের হাফপ্যান্টের বদলে ফুলপ্যান্ট পরাতে হবে।
৮. সবার খেয়াল রাখতে হবে যেন মশা ডিম পাড়ার সুযোগ না পায়।
এসইউ/এমএস