অপূর্ব-দোলার অন্যরকম বিয়ে
ঢাকার রাজপথে ছাদবিহীন ওয়েডিং ট্যাক্সিতে করে বিয়ের অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন বর-কনে। এমন দৃশ্য দেখে চমকে উঠছেন সড়কের দু’পাশের পথচারীরা। আগের দিনে পালকিতে, গরুর গাড়িতে, ঘোড়ার গাড়িতে বর-কনে যেত। কিন্তু ছাদবিহীন ট্যাক্সিতে বর-কনে যাচ্ছেন এমন দৃশ্যের সঙ্গে পরিচিত নন বাংলাদেশের মানুষ।
সম্প্রতি এমন ব্যতিক্রমী আয়োজন ছিল গুলশান শুটিং ক্লাবে অপূর্ব খন্দকার ও তাসমিয়া দোলার বিয়ের অনুষ্ঠানে। নতুন কিছু করার ভাবনা থেকেই অপূর্ব খন্দকার ও তাসমিয়া দোলা নিজেদের বিয়েতে অন্যরকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন।
অনন্য এ আয়োজন ছিল বিয়ের প্রবেশ গেইট থেকে শুরু করে সব কিছুতেই। বিশেষ করে ওয়েডিং ট্যাক্সি পরিবহন, প্রি-ওয়েডিং পোস্টার, লাইভ ব্যান্ড শো, ফেসবুক, প্রজেক্টর স্লাইড শো, ওয়েডিং কেক, আহসান মঞ্জিলের থিমে স্টেজে।
প্রবেশ গেইট
প্রবেশ গেইট করা হয়েছে গতানুগতিক ধারার বাইরে। লাইফ সাইজ কাট আউট দিয়ে। এখানে বর-কনের সালামরত ছবি কাট আউট করে সাজানো হয়েছে।
ওয়েডিং ট্যাক্সি
এখানে ব্যবহার করা হয়েছে পুরানো দিনের বেবি ট্যাক্সি। যার নাম দেওয়া হয়েছে ওয়েডিং ট্যাক্সি। এই ট্যাক্সিকে আকর্ষণীয় করতে ছাদ খুলে ফেলা হয়। নতুন করে সিট কভার ও রং পরিবর্তন করা হয়। এলইডি লাইট দিয়ে সাজানো হয়। এই ওয়েডিং ট্যাক্সি দেশীয় বিয়ের অনুষ্ঠানে এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে।
প্রি-ওয়েডিং পোস্টার
এখানে ছিল ভিন্ন সময়ে সিনেমার বিখ্যাত পাঁচ জুটির পোস্টার ফটো। সেই সঙ্গে সিনেমার পোস্টারের আদলে বর-কনের ফটোশ্যুট।
ফেসবুক
ফেসবুকের আদলে লাইফ সাইজ ডিজিটাল প্রিন্টের ফেসবুক তৈরি করা হয়। সেখানে ছবির অংশটি ফাঁকা রাখা হয়, যাতে সেখানে ছবি ও সেলফি তোলা যায়। বর্তমানে ফেইসবুক আর সেলফির যুগে এটা সবার নজর কাড়ে।
লাইভ ব্যান্ড শো
অনেকে বিয়ের অনুষ্ঠানে এসে কিছু সময় পর বিরক্ত হয়ে যান, বিশেষ করে বয়স্করা। তাদের জন্য আয়োজন করা হয় লাইভ সংগীতের। সেখানে রাখা হয় পুরনো দিনের গান, ক্ল্যাসিক গান ও ইংরেজি গান।
ওয়েডিং কেক
পশ্চিমা সংস্কৃতির কিছু প্রভাব আমাদের লাইফস্টাইলেও চলে এসেছে। তেমনই আয়োজন ছিল এখানে। বর-কনে একটি তিনতলা ওয়েডিং কেক কেটে তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানকে উদযাপন করেন।
প্রজেক্টর স্লাইড শো
অনুষ্ঠানের একপাশে ছিল প্রজেক্টরের মাধমে স্লাইড শো। এখানে বর-কনের ছোটবেলা থেকে বড় হয়ে ওঠার বিভিন্ন সময়ের ছবি প্রদর্শন করা হয়েছিল। দুই পরিবারের সদস্যরা ছবিগুলো দেখে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন। স্মৃতিচারণ করেন পুরনো দিনের।
আহসান মঞ্জিলের থিমে স্টেজ
গতানুগতিক ফুলের ডেকারেশন বাদ রেখে স্টেজ ডিজাইন করা হয়। রোমিও-জুলিয়েটের বাড়ি আর আহসান মঞ্জিলের থিম কেন্দ্র করে স্টেজ ডিজাইন করলেন অপূর্ব খন্দকার। যেখানে বর-কনের নামের প্রথম বর্ণ দিয়ে তৈরি করা হয় লেগো।
মনোরম এই অনুষ্ঠানের ধারণা এবং পরিকল্পনার দায়িত্বে ছিলেন বিয়ের কনে তাসমিয়া দোলা। বাস্তবায়নে ছিলেন বর অপূর্ব খন্দকার।
এসইউ/পিআর