ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ফিচার

মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানবেন যেভাবে

প্রকাশিত: ০২:১৩ এএম, ২৯ মার্চ ২০১৭

আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধকে তুলে ধরতে হবে। জাগ্রত করতে হবে তাদের চেতনা। তাদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানাতে কতগুলো পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে। আসুন জেনে নেই কীভাবে ছড়িয়ে দেওয়া যায় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস।

মুক্তিযুদ্ধের স্থাপনা
জাতীয় স্মৃতিসৌধ, মুজিবনগর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, অপরাজেয় বাংলা, বধ্যভূমি, শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ, জাগ্রত চৌরঙ্গী, শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ময়মনসিংহ, স্মৃতি অম্লান, সাবাস বাংলাদেশ, কামালপুর স্মৃতিসৌধসহ আমাদের দেশে অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে। এসব ঐতিহাসিক স্থাপনা সপরিবারে ভ্রমণ করা যায়। এছাড়া তরুণ প্রজন্মকে এসব স্থাপনা ও স্থাপনার পেছনের ইতিহাস জানিয়ে দেওয়া যায়।

মুক্তিযুদ্ধের বই
বাংলা সাহিত্যের একটি বড় অংশজুড়ে বিস্তার করে আছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বই। গল্প, উপন্যাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, গবেষণা, স্মৃতিচারণ, দিনপঞ্জি, সম্মুখসমরের অভিজ্ঞতা, নির্যাতন ও গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, দলিলপত্র, বিদেশিদের দৃষ্টিতে স্বাধীনতা আন্দোলনসহ বিভিন্ন বিষয়ের বই আছে। এসব বই থেকে আমরা জানতে পারি সেই সময়ের নির্মম দিনগুলোর কথা। যার ফলে আমাদের তরুণ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক গভীরতা প্রকাশ পাবে।

মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র
বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকে বিভিন্ন সময়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বিভিন্ন চলচ্চিত্র নির্মিত হয়ে আসছে। সুস্থ ধারার চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে একটি বড় অংশজুড়ে আছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক চলচ্চিত্র। যাতে যুদ্ধের ভয়াবহতা উঠে এসেছে। কিছু চলচ্চিত্রে প্রত্যক্ষভাবে উপস্থাপন না করে এর ভয়াবহতাকে উপস্থাপন করা হয়েছে। উপস্থাপন করা হয়েছে শরণার্থী বা পালিয়ে বেড়ানো মানুষের জীবনাবেগকে। কিছু চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে যুদ্ধ-উত্তরকালীন ও যুদ্ধ পরবর্তী বাংলাদেশের প্রভাব, রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি এবং বাস্তবতা নিয়ে। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র, বিদেশিদের নির্মাণে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধসহ নাটক এবং গান নির্মিত হয়েছে।

মুক্তিযোদ্ধাদের মুখে গল্প
তরুণ প্রজন্মকে একত্রিত করে মুক্তিযোদ্ধাদের মুখ থেকে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনা যেতে পারে। শোনা যেতে পারে সেই সময়ের নির্মম দিনগুলোর কথা। বিভিন্ন সময়ে কোনো প্রতিষ্ঠান, সংগঠন বা পরিবারের পক্ষ থেকে আয়োজন করা যেতে পারে এমন অনুষ্ঠান।

কেননা আমাদের উচিত তরুণ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরা। নির্দিষ্ট দিবসের বাইরেও ইতিহাসের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। যাতে তাদের চেতনা জাগ্রত হয়। জাগ্রত হয় বিবেক।

এসইউ/আরআইপি

আরও পড়ুন