লালবাতি জ্বললেই সব গাড়ি থেমে যায় হ্যানয়ে
ভিয়েতনামের হ্যানয় শহরে বড় যানবাহন তেমন চলাচল করে না। অধিকাংশ মানুষ নিজস্ব মোটরবাইক, স্কুটিতে চালাচল করে। রাস্তায় খেয়াল করলে দেখা যায় কেউ কেউ একটি মোটরসাইকেলেই বউ-বাচ্চাসহ ঘুরছেন কিংবা প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছেন।
হ্যানয় শহরের রাস্তাগুলো অনেকটা ঢাকা শহরের মতোই। তবে পার্থক্য হলো এখানকার রাস্তায় যানবাহনের এত চাপ নেই। তবে মজার ব্যাপার হলো হ্যানয় শহরের রাস্তার মোড়ে ঢাকা শহরের মতো ট্রাফিক পুলিশ নেই। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ট্রাফিক থাকলেও তারা অলস সময় পার করছেন। কারণ হ্যানয় শহরের অধিকাংশ মানুষ ট্রাফিক আইন মেনে চলেন। রাস্তায় লালবাতি জ্বলার সঙ্গে সঙ্গে সবাই গাড়ি থামিয়ে ফেলেন। হ্যানয়ের প্রতিটি সড়কের একই চিত্র।
তবে এখানকার রাস্তা কিছুটা পাবর্ত্য এলাকার মতো উচু নিচু। কিছু এলাকায় রয়েছে ছোট ছোট অলিগলি। যা দেখলে মনে হবে পুরান ঢাকার বিভিন্ন অলিগলির মতো। এখানকার পরিবহন ব্যবস্থা ততো উন্নত নয়। এটিকে ভিয়েতনামের অর্থনৈতিক উন্নয়নের বড় বাধা হিসেবেও ধরা হয়। যদিও ভিয়েতনামের সড়ক ব্যবস্থা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক ভালো।
পরিবহনকারী যানবাহনগুলো অতি সম্প্রতি অনেক পুরনো ছিল। এগুলো বেশিরভাগই ছিল ১৯৫০-এর দশকে নির্মিত সোভিয়েত ট্রাক। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় রেল ব্যবস্থার ব্যাপক ক্ষতি হয় এবং তহবিলের অভাবে এটিকে ঠিক মতো মেরামত বা সম্প্রসারণ করা যায়নি। তবে ট্রেনগুলো দেখতে বেশ সুন্দর।
১৯৯০-এর দশকের শেষ দিকে ভিয়েতনাম সরকার দেশের ট্রাক ব্যবস্থা ও রেল ব্যবস্থা আধুনিকীকরণ করার কাজ হাতে নেয়। তবে এখনও দেশের বেশির ভাগ পণ্য নদী ও খালপথে বার্জের মাধ্যমে পরিবহন করা হয়।
আন্তর্জাতিক পরিবহনের জন্য বন্দরগুলোর মধ্যে হাইফং, দা নং এবং হো চি মিন শহর উল্লেখযোগ্য। তবে এগুলোর প্রায় সবই আধুনিক সরঞ্জামের অভাব রয়েছে।
বর্তমানে ভিয়েতনামে মোট ২,৬৫২ কিমি দীর্ঘ রেলপথ ও ১৭,২৯৫ কিমি দীর্ঘ জাতীয় সড়কপথ আছে। ১৭টি বেসামরিক বিমানবন্দর আছে, যার মধ্যে ৩টি আন্তর্জাতিক।
বিএ