ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ফিচার

কৃত্রিম দাঁত কেমন করে এলো!

প্রকাশিত: ১০:৩৩ এএম, ২২ মার্চ ২০১৫

দাঁত যেন মুখের খুঁটি। দাঁত মুখের আকৃতি দেয়। দাঁতের প্রথম ও প্রধান কাজ হলো খাদ্য চিবুনো। এছাড়াও দাঁত কথা বলার সাহায্য করে। বুড়ো বসসে স্বাভাবিক নিয়মে দাঁত পড়ে। আবার রোগ বা আঘাতজনিত কারণেও দাঁত পড়ে নষ্ট হয়। দাঁতের অতি-পরিচিত একটি রোগ ডেন্টাল-কেরিজ। এর মানে দাঁতের ক্ষয়রোগ। এতে দাঁত কালো হয়ে ভেঙ্গে যায়। দাঁতে গর্ত হয়। মূলশুদ্ধ গোটা দাঁত নষ্ট হয়ে গেলে সেটা তুলে ফেলতে হয়। তখনই প্রয়োজন দাঁত লাগানোর। এই  কৃত্রিম দাঁতও মুখের সৌন্দর্য বাড়ায়। খাদ্যবস্তুকে চিবুতে সাহায়্য করে। ভূমিকা রাখে কথা বলাতেও।

কৃত্রিম দাঁতের ব্যবহার অতি প্রাচীন। খৃষ্টপূর্ব ৭০০ অব্দে উত্তর ইটালীর এটরুসকান জাতি মৃত মানুষ বা বন্য প্রাণী হতে দাঁত সংগ্রহ করত। প্রকৃতি হতে পাওয়া সেসব দাঁত তেমন খারাপ ছিল না। তাই উনবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত সেগুলো মানুষের কাছে জনপ্রিয় ছিল। এরি ফাঁকে মানুষ জানতে পারল পোরসেলিনের কথা। পোরসেলিন এক প্রকার ধাতু। এর স্থায়িত্ব তুলনামূলকভাবে অন্যান্য জিনিস হতে বেশি। তখন থেকেই শুরু হলো পোরেসেলিন নির্মিত দাঁত নিয়ে গবেষণা। ১৯৮৮ খৃষ্টাব্দে সর্বপ্রথম ফ্রান্সে পুরো সেট পোরসেলিন নির্মিত কৃত্রিম দাঁত তৈরি হয়।

তারপর একটানা কেটে গেল বহু বছর। ১৯৫২ খৃস্টাব্দে ফরাসী বিজ্ঞানীর শক্ত রাবার ‘ভলকানাইট’ হতে কৃত্রিম দাঁত বানাতে শুরু করে। তুলনামূলকভাবে সেগুলি খুবই মজবুত ও টেকসই ছিল। আধুনিক কৃত্রিম দাঁত পোরেসেলিন বা শক্ত প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি।

এইচএন/পিআর