মানুষ বাঁচবে ৫০০ বছর
উপমহাদেশে আশির্বাদ করে বলা হয়- শতায়ু হও, অথবা একশো বছর বাঁচো। কিন্তু বাস্তবতা বলে, বেশিরভাগ মানুষই শতকের কোঠা ছুঁতে পারেন না। কালেভদ্রে দুয়েকজন সে চৌকাঠ পেরোলে রীতিমতো সংবাদ হয়ে যায়।
যুগে যুগে বার্ধক্য রোধ করে মৃত্যু পিছিয়ে দিতে কতই না চেষ্টা হয়েছে। কত বিচিত্র আচার আর কুসংস্কার জন্ম নিয়েছে মানুষের আরও বাঁচার ইচ্ছেকে পুঁজি করে। শোনা যায়, মিশরের কিংবদন্তির রাণী ক্লিওপেট্রা যুবক প্রেমিকদের রক্তে গোসল করতেন যৌবন ধরে রাখার জন্য। ভারতে গোমূত্র সেবনের কথাও শোনা যায়।
গবেষকরাও বসে থাকেননি হাত গুটিয়ে। পরীক্ষা নিরীক্ষা চলেছে শত শত বছর ধরে। কিন্তু সাফল্য ধরা দেয়নি।
এই যখন প্রেক্ষাপট, কেউ যদি বলে একশো নয়, পাঁচশো বছর পর্যন্ত বাঁচবে মানুষ!
বুজরুকি নয়, রীতিমতো টেক জায়ান্ট গুগল এই নিয়ে আটঘাঁট বেঁধেছে এবার। তাদের মনোযোগের জায়গা বয়ঃবৃদ্ধির শারীরিক প্রভাবগুলো ঠেকানো, যা মানুষকে ক্রমশ মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়।
গুগলের এই প্রকল্পের কর্তাব্যক্তিরা বিশ্বাস করেন, বিজ্ঞানের পক্ষে এখন সত্যিই সম্ভব কল্পনাকে সত্যি করা। আয়ু বাড়ানোও তাহলে অসম্ভব হবে কেন?
গুগল ভেঞ্চারের প্রেসিডেন্ট বিল মারিসের মুখেই শোনা যাক-
“২০ বছর আগেও ক্যান্সারের চিকিৎসা অন্ধের মতো করা হতো। জিনোমের গঠন অজানা ছিল বলে। এখন আর সে অবস্থা নেই। স্টেম সেল প্রতিস্থাপন ক্যান্সারের মতো রোগের চিকিৎসার চেহারা বদলে দিয়েছে। শিগগিরই কেমো থেরাপি হয়ে যাবে প্রাথমিক চিকিৎসা পর্যায়ের এবং ক্যান্সারের চিকিৎসা হবে যন্ত্রনামুক্ত”।
একইভাবে রোগ-জরা প্রতিহত করে মানুষ পাঁচশ বছর অনায়াসে বাঁচবে- এ ধারণাকে রীতিমতো জোর গলায় সত্য করার প্রত্যয় গুগলের। একাজে লাখ লাখ ডলার বিনিয়োগও করা শুরু করেছে তারা।
গুগল নামটির সঙ্গে যে আস্থার বিষয়টি জড়িত, সে কারণে এবার হয়তো মানুষ আশায় বুক বাঁধতেই পারে।
এসআরজে