ছবিতেই জীবিকা
সাগরের ঢেউ জাগে তীরে আছড়ে পড়ে। ভাটায় টান পড়ে সেই ঢেউ গহিন সাগরে মিলিয়ে যায়। জোয়ার-ভাটার ঢেউ খেলানোয় মন মাতে পর্যটকদের। পর্যটকেরা সাগরের বিশালতায় নিজের মন রাঙিয়ে মেতে ওঠেন জলকেলিতে।
সাগর পাড়ের প্রতিটা মুহূর্তই মধুর স্মৃতিময়। এমন স্মৃতিকে কি না ধরে রাখা যায়? মনের ফ্রেমের বাইরে ক্যামেরার ফ্রেমে বন্দি হয়ে মুহূর্তগুলো আরো প্রাণবন্ত করতে চলে নানা ঢঙে ফটোসেশন।
পর্যটকদের আনন্দঘন এমন মুহূর্তগুলো হাতের মুঠোয় বন্দি করে দেয় সাগরপাড়ের ফটোগ্রাফাররা। ক্যামরার ফ্রেমেই তাদের জীবন বন্দি। ক্যামরায় ক্লিক পড়লে পেটে ভাত, নইলে ওদের মাথায় হাত। সাগরের ঢেউ ওদের মন না রাঙালেও পর্যটকদের উতালা মন ওদের রাঙিয়ে তোলে।
পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে নিবন্ধিত অনেক আলোকচিত্রী কাজ করছেন বেশ কয়েক বছর ধরে। পর্যটকদের ছবি তোলাতেই তাদের জীবিকা। কিন্তু ছবি তোলায় আগের মতো আর ব্যবসা নেই।
দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজেরর সমুদ্র সৈকতে একজন নিবন্ধিত ফটোগ্রাফার হিসেবে পর্যটকদের ছবি তুলছেন সুমন আহমেদ। জাগো নিউজের এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমানে ভালো মানের ক্যামেরাসহ মোবাইল ফোন এখন সবার হাতে হাতে। তাই এখন সবাই মোবাইলের ক্যামারায় ছবি তোলে। পাশাপাশি অনেকেরই এখন ডিএসএলআর ক্যামেরা আছে। যে কারণে আমাদের দিয়ে এখন আর ছবি তুলতে চান না পর্যটকেরা।
তবে এখানে আসা অনেক শৌখিন পর্যটক শখ করে নানা এঙ্গেলে ছবি তুলে নেন। উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সাধারণত ছবি তুলে পর্যটকের মেমরি কার্ডে দিয়ে দেই। সেক্ষত্রে ৩ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকি। আর যদি কেউ ছবির প্রিন্ট আউট চায়, সেক্ষেত্রে প্রতি ছবির জন্য ১০ থেকে ১৫ টাকা নিয়ে থাকি।
আলাপকালেই সুমন আহমেদের ডাক পড়ে ছবি তুলে দেয়ার জন্য। সহধর্মিণীসহ ছবি তুলতে সৈকতে এসেছেন সিহাবুল ইসলাম। তিনি বলেন, আসলে এখানে আসার সময় আমরাও ক্যামেরা নিয়ে এসেছি। কিন্তু এখানে যারা ফটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করছে তারা খুব প্রোফেশনাল। ভালো ভালো, বিভিন্ন এঙ্গেলে ছবি তুলে নিতেই এদের কাছে এসেছি।
এএস/এমএমজেড/এনএইচ/পিআর