এটিএম বুথে জাল টাকা পেলে যা করবেন
সবার অলক্ষ্যেই ছড়িয়ে পড়ে জাল টাকা। জাল নোট ব্যবসায়ীরা সারাদেশেই সক্রিয়। তাই কারো কাছ থেকে টাকা নেওয়ার সময় যাচাই করে নেওয়াই উত্তম। কিন্তু কোনো এটিএম বুথ থেকে জাল বা অচল নোট বের হলে কী করা যায়?
বুথ থেকে জাল বা অচল নোট পেলে সেটা সত্যিই ঝামেলার। কারণ ওই টাকা যে এটিএম বুথ থেকে পেয়েছেন, তা প্রমাণ করবেন কীভাবে? তাহলে আসুন জেনে নেই সেক্ষেত্রে কী করা উচিত?
যাচাই করা
এটিএম থেকে টাকা বের হওয়ার পর গ্রাহকের প্রথম কাজ হচ্ছে- এটিএম বুথে দাঁড়িয়েই যাচাই করা। নিশ্চিত হতে হবে যে, নোট আসল এবং ব্যবহারযোগ্য কি না।
চিহ্নিত হলে
যদি কোনো জাল বা অচল নোট চিহ্নিত হয়, তাহলে এটিএম বুথে লাগানো সিসিটিভির সামনে সেই নোটটি এমনভাবে তুলে ধরা যাতে ক্যামেরায় টাকার নম্বরটির ছবি উঠে যায়। যদি সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকে, কিংবা খুঁজে না পাওয়া যায়, তাহলে জাল বা অচল নোটের বিষয়টি বুথের গার্ডকে জানান। যদি বুথের ভিতর কোনো হেল্প লাইন নম্বর থাকে তাহলে সেখানে ফোন করেও বিষয়টি জানানো উচিত।
থানা বা শাখা
এটিএম বুথ থেকে বের হয়ে নিকটবর্তী থানা এবং যে ব্যাংকের বুথ তাদের নিকটবর্তী শাখার সঙ্গে যোগাযোগ করা উত্তম।
জেনে নিতে পারেন এটিএম বুথ ব্যবহারে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন -
১. আপনি যখন এটিএম থেকে টাকা তুলবেন তখন অন্য কেউ যেন সেখানে না প্রবেশ করে।
২. টাকা তোলার সময় অন্য লোকের সাহায্য নেবেন না। এটিএম মেশিনে পিন দেওয়ার সময় হাত দিয়ে আড়াল করবেন।
৩. কার্ডে পিন নম্বর লিখবেন না। কাউকে আপনার কার্ড দেবেন না। পিন নম্বর বলবেন না। ব্যাংকের কর্মী, গ্রাহক, কেয়ার স্টাফ বা পরিবারের সদস্যদেরও কার্ড দেবেন না। মনে রাখবেন, কোনও ব্যাংক আপনার কাছ থেকে এ জাতীয় তথ্য জানতে চাইবে না।
৪. নতুন কার্ড নেওয়ার পর পুরনো কার্ড নষ্ট করে ফেলুন।
৫. টাকা তোলার পর স্লিপ সেই এটিএম বুথে ফেলে আসবেন না। এটিতে আপনার অ্যাকাউন্টের তথ্য রয়েছে।
৬. এটিএম মেশিনের স্ক্রিন যতক্ষণ না পুরনো অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি সেই স্থান ত্যাগ করবেন না।
৭. এটিএম কার্ডের ক্ষেত্রে কী কী সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত, সে সম্পর্কে অনেকগুলো উপায় রয়েছে তার মধ্যে প্রথম কাজ হল একটি নির্দিষ্ট সময় মেনে এটিএম পিন পরিবর্তন করা।
৮. আপনার মোবাইল নম্বর অবশ্যই এসএমএস অ্যালার্টের জন্য ব্যাংকের সঙ্গে যুক্ত করে রাখুন। যাতে কোনও সমস্যা হলে তা দ্রুত ধরা পড়ে।
এসইউ/আরআইপি