মশা যাদের আক্রমণ করে না
রক্তের গন্ধ পেলেই দলে দলে ছুটে আসে মশা। কিন্তু সবাইকে একভাবে আক্রমণ করে না। মানুষের মতো মশাও নাকি যাচাই-বাছাই করে নিজের খাবার খাই। লন্ডনের স্কুল অফ ট্রপিকাল মেডিসিনের গবেষকরা এমনটাই দাবি করেছেন। পরিসংখ্যান বলছে কমপক্ষে ২০ শতাংশ মানুষের রক্ত মশাদের জন্য ডিলিশিয়াস! বাকিদের রক্তও মশা খাবে না এমনটা নয়। গবেষকরা বলছেন, লম্বা, বেঁটে না মোটা তার থেকেও মশা বেশি নজর দেয় গন্ধে!
মশার গন্ধ বিচার!
যাদের শরীরে কায়রামোনস রাসায়নিক বেশি থাকে তারা মশার বেশি পছন্দ। উল্টোদিকে অ্যালামোনস রাসায়নিক শরীরে বেশি থাকলে মশা ফিরেও তাকায় না। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ঘামের সঙ্গে শরীরে ব্যাকটিরিয়া বাসা বাঁধলে, সে গন্ধও পছন্দ মশাদের। দেহে কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ বেশি হলেও মশার কাছে তা ডিলিশিয়াস। সেই কারণেই বড় চেহারার মানুষদের বেশি মশা কামড়ায়। গর্ভবতী মহিলাদের শরীর থেকে বেশি কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ হয় বলে মশারা তাদের বেশি পছন্দ করে। ঘামে ল্যাকটিক অ্যাসিড, অ্যামোনিয়া, ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি থাকলেও মশারা আকর্ষিত হয়।
গরম শরীরে বেশি হুল!
যাদের শরীরের তাপমাত্রা বেশি, তাদের মশা বেশি পছন্দ করে। এই কারণেই মশা সব সময় পছন্দ করে গর্ভবতী মহিলাদের।
নেশাড়ু মশা!
নেশার প্রতি মশার টানও কিন্তু কম নয়। গবেষকদের একাংশের দাবি, বিয়ার খেলে মশা বেশি কামড় দেয়। আসলে যে মদ খেলেই করলে ঘামে ইথানলের মাত্রা বেড়ে যায়। বাড়ে শরীরের তাপমাত্রাও। যা দেখে ছুটে আসে মশার দল।
কোন রক্ত বেশি পছন্দ?
ব্লাড গ্রুপ দেখে মশা তার পছন্দ ঠিক করে। মশার সব থেকে পছন্দের O গ্রুপের রক্ত। A গ্রুপের রক্ত থেকে এই রক্ত দুগুণ বেশি পছন্দের।
জিনের পছন্দ
জিন দেখেও নাকি মশা নিজের খাদ্য তালিকা পছন্দ করে। আইডেন্টিকাল টুইনসদের উপর পরীক্ষা করে দেখা গেছে, হয় দুজনকেই মশা পছন্দ করে। অথবা দু জনকেই অপছন্দ করে।
রং বিচার
গাঢ় রঙের পোশাক পরলে মশা বেশি কামড় দেয়, এ কথাতো সবাই জানেন। তাই, মশারও কিন্তু মর্জি-মেজাজ রয়েছে। বর্ণ-গন্ধ-স্বাদ বিচার করে, ভালো লাগলে তবেই সে হুল ফোটায়।
জেএইচ/পিআর