কিভাবে নতুন ব্যাংক হিসাব খুলবেন?
দেশে এক ব্যাক্তি নানা ধরনের ব্যাংক একাউন্ট (ব্যাংক হিসাব) খুলতে পারেন। এসব হিসাব খোলার নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে। ব্যাংকভেদে এই নিয়মের কিছুটা তারতম্য রয়েছে। নিচে কিছু সাধারণ নিয়ম বর্ণনা করা হল যা প্রায় সব ব্যাংকের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
একক এবং যৌথ হিসাব (সঞ্চয়ী এবং চলতি হিসাব)
• ব্যাংকের নির্দিষ্ট আবেদনপত্র (সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তার সামনে স্বাক্ষর করতে হবে)
• পরিচিতিদানকারী ব্যক্তি দ্বারা স্বাক্ষরিত দুইটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
• নমুনা স্বাক্ষর (সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তার সামনে স্বাক্ষর করতে হবে)
• প্রাক্কলিত লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য এবং
• নিচের যে কোন একটি পরিচিতিমূলক দলিল (পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, জাতীয় পরিচয় পত্র, সামরিক বাহিনীর আই.ডি. কার্ড, কর্মরত প্রতিষ্ঠানের ছবি ও স্বাক্ষরযুক্ত পরিচয় পত্র, যেকোন স্থানীয় সরকার সংস্থা যেমন ইউনিয়ন পরিষদ অথবা ওয়ার্ড কমিশনার কর্তৃক প্রদত্ত সনদপত্র অথবা ট্রেড লাইসেন্স। অর্থাৎ যে সব দলিলে ছবি ও স্বাক্ষর রয়েছে)। দলিল অবশ্যই নির্ভরযোগ্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সত্যায়িত হতে হবে
• টিন নম্বর
• মনোনীত উত্তরাধিকারী ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের (নমিনি) এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, যা হিসাবধারী কর্তৃক সত্যায়িত হতে হবে
সকল অনুলিপি সংশ্লিষ্ট ব্যাংক অফিসার কর্তৃক সত্যায়িত হতে হবে
একক মালিকানাধীন ব্যবসায়িক হিসাব
• ব্যাংকের নির্দিষ্ট আবেদনপত্র (সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তার সামনে স্বাক্ষর করতে হবে)
• পরিচিতিদানকারী ব্যক্তি দ্বারা সইকৃত দুইটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
• নমুনা স্বাক্ষর (সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তার সামনে স্বাক্ষর করতে হবে)
• স্থানীয় সরকার সংস্থা যেমন সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা অথবা ইউনিয়ন কাউন্সিল কর্তৃক ইস্যুকৃত ট্রেড লাইসেন্সের কপি
• বাড়ি কেনা অথবা আমদানি রপ্তানি সংক্রান্ত কাজে বাংলাদেশে ব্যাংকের প্রয়োজনীয় অনুমতির প্রমাণ
• টি.আই.এন. সার্টিফিকেট
যদি ট্রেড লাইসেন্সে আবেদনকারীর ছবি ও স্বাক্ষর না থাকে তবে ছবি সহ কোন প্রত্যয়নপত্র যা আবেদনকারীর ব্যবসায়ের মালিকানা বা অংশীদারিত্ব প্রমাণ করে।
লিমিটেড কোম্পানী হিসাব
• ব্যাংকের নির্দিষ্ট আবেদনপত্র (সংশ্লিষ্ট ব্যাংকারের সামনে স্বাক্ষর করতে হবে)
• কোম্পানির মেমোরেন্ডাম ও আর্টিকেল অব এসোসিয়েশন এর প্রত্যায়িত অনুলিপি
• ইনকর্পোরেশন সার্টিফিকেট
• পাবলিক লিমিটেড কোম্পানীর ক্ষেত্রে ব্যবসা শুরুর সার্টিফিকেট
• হিসাব খোলা ও পরিচালনার জন্য সকল অংশীদারের যথাযথ অনুমতি ও একাউন্ট পরিচালনাকারীর প্রত্যয়নপত্র দেখাতে হবে
• নির্দিষ্ট ফরমে পরিচালকগণের নাম ও ঠিকানা
• স্বাক্ষরকারীগণের ছবি
• ট্রেড লাইসেন্সের কপি
• আবেদন পত্রে ও আবেদনকারীদের ছবির পিছনে পরিচিতিদানকারীর স্বাক্ষর
• হিসাব পরিচালনাকারীদের নামের তালিকা, নিয়োগপত্র ও নমুনা সাক্ষর
• একক অথবা যৌথ মালিকানাধীন হিসাবের ক্ষেত্রে বর্ণিত নিয়ম অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের সকল পরিচালক ও মালিকের পরিচিতিমূলক তথ্য।
যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব
• ব্যাংকের নির্দিষ্ট আবেদনপত্র (সংশ্লিষ্ট ব্যাংকারের সামনে স্বাক্ষর করতে হবে)
• অংশীদারিত্বের চুক্তিপত্র
• অংশীদারদের ঠিকানা সহ নামের তালিকা
• অংশীদারদের সভায় গৃহীত নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত সমূহের অনুলিপি
• ট্রেড লাইসেন্সের কপি
• স্বাক্ষরকারীগণের/ অংশীদারদের ছবি
• নমুনা স্বাক্ষর (সংশ্লিষ্ট ব্যাংকারের সামনে স্বাক্ষর করতে হবে)
• আবেদন পত্রে ও আবেদনকারীদের ছবির পিছনে পরিচিতিদানকারীর স্বাক্ষর
• ব্যক্তিগত হিসাব খোলার ক্ষেত্রে বর্ণিত নিয়মানুসারে সকল পরিচালক ও অংশীদারদের পরিচিতিমূলক তথ্য প্রদান করতে হবে। হিসাব খোলা ও পরিচালনার জন্য সকল অংশীদারের যথাযথ অনুমতি ও হিসাব পরিচালনাকারীর প্রত্যয়নপত্র দেখাতে হবে
• প্রকৃত ব্যবসা ও অংশীদারিত্বের প্রমাণ হিসেবে সর্বশেষ পরিচালনা রিপোর্ট ও অডিট রিপোর্ট (যেখানে প্রযোজ্য) প্রদর্শন করতে হবে
• ব্যবসায় ও অংশীদারিত্বের প্রকৃতি সম্পর্কে তথ্য যা হিসাব খোলার উদ্দেশ্যকে সমর্থন করে
বৈদেশিক মুদ্রা হিসাব কিভাবে খুলবেন?
বৈদেশিক মুদ্রা হিসাবে নির্দিষ্ট কোন বৈদেশিক মুদ্রায় টাকা জমা রাখা যায় এবং প্রয়োজনে তা টাকাতে রূপান্তর করা যায়। প্রবাসী বাংলাদেশি, বিদেশী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ বৈদেশিক মুদ্রা হিসাব খোলার আবেদন করতে পারেন।
বৈদেশিক মুদ্রা হিসাব খোলার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য-
বৈদেশিক মুদ্রা হিসাব খোলার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ম্যানেজারের কাছে নিচের তথ্য সহ আবেদন করতে হয়-
• কোন মুদ্রায় এটি পরিচালিত হবে
• নাম
• পাসপোর্ট নম্বর
• পাসপোর্ট ইস্যুর তারিখ
• পাসপোর্ট ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষের নাম
• বিদেশে বর্তমান ঠিকানা
• বাংলাদেশে বর্তমান ঠিকানা
• টেলিফোন নাম্বার
• নমিনির ঠিকানা