গিনেস বুকে দুমুখো বিড়াল
বিড়াল প্রজাতির মধ্যে একটি বিরল সদস্য দু’মুখো এই বিড়াল। নাম ফ্রাঙ্ক ও লুই। কোনো কোনো সময় একে বলা হয়ে থাকে ফ্রাঙ্কেন লুই। গত কয়েকদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাচাচুসেটসের বিশেষ এই বিড়ালটির বয়স ১৫ বছর পূর্ণ হল। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড-এ পৃথিবীর দীর্ঘজীবী বিড়ালের তালিকায় স্থান পেয়েছে এর নাম। রোমান গড জানুসের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়েছে জিনাজ ক্যাট। অবশ্য ইতিমধ্যে এটি ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে দু’মুখো বিড়াল নামে।
মিসৌরি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটিরিনারি মেডিসিন ও সার্জন বিভাগের বিড়াল বিষয়ক জেনিটিস্কের বিশেষজ্ঞ লেজলি লিওনজ বলেন, এ ধরনের বিড়াল আসলেই অতি বিরল। সাধারণত খুব বেশি দিন বাঁচে না, কারণ শারীরিকভাবে এরা সুস্থ হয় না। তবে ফ্রাঙ্ক এবং লুই-এর ক্ষেত্রে ঘটেছে ব্যতিক্রম । ইতিমধ্যে এটি জীবনের ১৫টি বছর পার করে ফেলেছে যা সত্যিই আশার আলো দেখিয়েছে।
লিওনজ আরও উল্লেখ করেন, জিনাজ ক্যাট কী কারণে দেখতে এমন হয়েছে তা এখনও পুরোপুরি জানা যায়নি, তবে ধারণা করা হয় এর পেছনে অবশ্যই জিনগত কোনো কারণ থাকতে পারে। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে আসল কারণ বের করা সম্ভব। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, জিনাজ বিড়াল অতিরিক্ত পরিমাণে সনিক হেজহজ প্রোটিন বহন করে, যা তার দৈহিক বৃদ্ধির সময় মুখের গড়নকে এমন বিকৃত করে দিয়ে থাকতে পারে। কোনো কোনো সময় দেখা গেছে ভ্রুণ গঠনের সময়েই এদের মুখ এবং চোখ পরস্পর থেকে দূরে চলে যেতে। ফ্রাঙ্ক ও লুই ছিল একটি র্যাগডল (বিকৃত চেহারার) বিড়াল। মাতৃগর্ভে জন্মের সময় জেনেটিক বা বংশগত ত্রুটির ফলে অথবা অজ্ঞাত অন্য যে কোনো কারণে এমন হয়েছে।
লিওনজ বলেন, ফ্রাঙ্ক ও লুই-এর মুখ দুটো হলেও এর মস্তিষ্ক একটি এবং মজার ব্যাপার হল, অন্য অঙ্গগুলি যেমন ইসোফ্যাগাস (মুখ থেকে পাকস্থলি পর্যন্ত ফাঁকা স্থান)-এর মধ্যে কোনো ভাগ নেই। ফলে ফ্রাঙ্ক ও লুই বেঁচে আছে। এই ক্ষেত্রে এর নিচের চোঁয়াল এবং ইসোফ্যাগাস থাকার কথা নয়। তিনি আরও বলে, যদি আপনার দুটো মুখ থাকত এবং উভয় মুখ দিয়েই খাবার খেতেন- আমি জানি না আপনি কী ধরনের অসুবিধা ভোগ করতেন। প্রাথমিকভাবে তার খাদ্য গ্রহণ এবং শ্বাসপ্রশ্বাসে কোনো অসুবিধা দেখা দেয়নি।