শিশুর হাতে মোবাইল দেয়ার আগে করণীয়
আমাদের দেশে ট্যাবে বা মোবাইল ফোনে ভিডিও দেখিয়ে বা গান শুনিয়ে শিশুদের খাওয়ানো বা ব্যস্ত রাখার প্রবণতা খুব বেশি। অথচ এতে শিশুটির যে অসম্ভব ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে তা বাবা-মায়েরা বুঝতেই পারেন না।
সম্প্রতি বাংলাদেশে গুলশান হামলার পর, কিশোর-কিশোরী ও তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এই মানসিক স্বাস্থ্য বা অবস্থা এবং শিশুর সামাজিক বিকাশ নির্ভর করে পরিবারের ওপরই। বাবা-মা শিশুকে যদি সময় দেন, তার সঙ্গে গল্প করেন, গান শোনান, তবে যে বন্ধন গড়ে ওঠে, তাদের ফোন বা ট্যাবে ব্যস্ত রাখলে সেটা কখনই সম্ভব নয়। এই যে বাবা-মায়ের সঙ্গে শিশুর বন্ধন গড়ে উঠছে না- তাতে ছোট্টবেলা থেকেই সে একা একা খেলা, কথা বলা, চিন্তা-ভাবনা করা শুরু করে।
কোনো ঘটনা ঘটলেও তা বাবা-মায়ের কাছে না বলে চেপে রাখার অভ্যাস হয়ে যায় তার। তারপর ধীরে ধীরে একটা সময় অসামাজিক হয়ে পড়ে, তারপর মা-বাবা, পরিবারের কাছ থেকে দূরে সরে যায় সন্তানটি। স্কুল-কলেজের বন্ধু-বান্ধবই তখন হয়ে ওঠে তার কাছে সব। অথবা পরবর্তীতে অন্য কোনো ব্যক্তি তাকে একটু স্নেহ, ভালোবাসা দিলে, ভালো কথা বললে, তার কথা শুনতে চাইলে, সেই ব্যক্তির জন্য জীবন বাজি রাখতেও প্রস্তুত হয়ে ওঠে সে। এমনকি সেই ব্যক্তি যদি তাকে মানুষ খুন করতে বলে, তাতেও সে দ্বিধা করে না।
ডয়েচে ভেলে/এএ/এবিএস