হকারদের প্রস্তুতি বিনোদনকেন্দ্র ঘিরে
স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি চলে গেছেন রাজধানী ঢাকার অর্ধেকের বেশি মানুষ। রাজধানী এখন ফাঁকা। ফুটপাতে মানুষ, রাস্তায় গাড়ির চাপে যে শহরে চলাফেরা করা দায় সেই শহরের রাস্তাঘাট এখন খাঁ খাঁ করছে। সড়কগুলোতে একটি-দুটি গাড়ি চলে যাচ্ছে দ্রুত গতিতে। চিরচেনা যানজটের ছিটেফোঁটাও এখন নেই ঢাকার রাস্তাগুলোতে।
তবে রাজধানীতেই রয়ে গেছেন এমন মানুষের সংখ্যাও কিন্তু কম নয়। ঈদ উদযাপনে তারাও পিছিয়ে থাকেন না।
ঈদে ঢাকার অন্যতম আকর্ষণ বিনোদন কেন্দ্রগুলো। কেউ চলে যান ঢাকার বাইরে, কেউ বা আবার শিশু পার্ক, শাহবাগ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনা পার্ক, টিএসসি, জাতীয় জাদুঘর, ঢাকা চিড়িয়াখানা, বোটানিক্যাল গার্ডেন, শিশু মেলাসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে চলে যান।
আর বিনোদন কেন্দ্রে মানুষ ভিড় করবেন- এই আশায় নানা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন হকাররাও। ঈদেরি দিনের এই বিক্রির আশায় তাদের অনেকে বাড়ি যাননি। ঈদের দিন সকাল থেকে হকাররা তাদের নানা পণ্য সাজিয়ে বসে গেছেন। শাহবাগ ও আশপাশ ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
সরজমিনে দেখা গেছে বরফ পানির সঙ্গে লবণ, ট্যাং ও চিনি মিশিয়ে বোতলে সাজিয়ে শরবত বিক্রেতার প্রস্তুতি, আমড়া কেটে পরিস্কার করে ধোয়ার কাজ করছেন আমড়া বিক্রেতা, পপকর্ন ব্যবসায়ী পপকর্ন প্যাকেটে তুলছেন, ফুচকা ব্যবসায়ী তার ফুচকার ভ্যান সাজানো শেষ করে প্রস্তুতি নিয়ে দাঁড়াচ্ছেন, ফুল বিক্রেতা ফুলের মালা গেঁথে অপেক্ষা করছেন ক্রেতার।
রাজপথের শাহবাগ মোড়ে লেবু মিশিয়ে পানির শরবত বিক্রেতা চাঁদপুরের শরিফ উদ্দিন জাগো নিউজকে জানান, গত কয়েকদিন বৃষ্টি থাকলেও আজ হঠাৎ তীব্র রোদ থাকায় মনে হচ্ছে শরবত বিক্রি বেশি হবে। আপনি যদি আশপাশে থাকেন কতক্ষণ পরে আসলে দেখবেন অবস্থা।
ঈদের এক দিন আগে থেকেই ঢাকা মহানগরীতে ঈদের প্রভাব ছিল লক্ষ্য করার মতো। কয়েকদিন ধরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, সঙ্গে কখনো হালকা আবার কখনো ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। রোজার শেষ দিকে আষাঢ়ের অবিরাম বৃষ্টিতে জীবনযাত্রায় নেমেছিল দুর্ভোগ। তবে এর মাঝেও উৎসব আয়োজনের বিষয়ে এক রতিও কম ছিল না মুসলমানদের মাঝে।
এফএইচ/এনএফ/পিআর