ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ফিচার

বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত কাচারি ঘর

এন কে বি নয়ন | ফরিদপুর | প্রকাশিত: ০৩:১৫ পিএম, ১০ মে ২০২৪

ব্রিটিশ ভারত থেকে শুরু করে পাকিস্তান আমল পর্যন্ত বাংলার অবস্থা সম্পন্ন ব্যক্তিদের ঐতিহ্যের প্রতীক ছিল কাচারি ঘর। কিছু সংখ্যক মানুষ কাচারি ঘর নির্মাণে টিন ব্যবহার করলেও অধিকাংশ ব্যবহার করতেন ছন। তখনকার দিনে ছনের ঘর ছিল আরামদায়ক। কাচারি ঘরগুলো মূল বাড়ি থেকে একটু বাইরে তৈরি করা হতো। দূরত্বটা এতটুকু রাখা হতো যাতে বাড়ির নারীদের কণ্ঠ কাচারি ঘর পর্যন্ত না পৌঁছায়।অথবা কাচারি ঘরের কথাগুলো অন্দর মহলে না যায়।

এমনই একটি ঐতিহ্যবাহী কাচারি ঘরের সন্ধান মিলেছে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের গুনবহা গ্রামের কাজী বাড়িতে। শতবর্ষী কাচারি ঘরটি কালের বিবর্তনে জৌলুস হারালেও আছে গৌরবময় ইতিহাস। আছে নানা লোক কাহিনি। এই কাচারি ঘরে এসেছেন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম, পল্লীকবি জসীম উদদীন, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, ভারতের শিক্ষামন্ত্রী, কবি হুমায়ুন কবীর, চৌধুরী ইউসুফ আলী মোহন মিয়া। তবে সবচেয়ে বেশি এ বাড়িতে বা এই কাচারি ঘরে যিনি এসেছেন, তিনি হলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

এ ছাড়া এসেছেন আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাল প্রধান কৌসুলী আব্দুস সালাম খান, বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদের ডাক ও তার প্রতিমন্ত্রী কে এম ওবায়দুর রহমান, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শিক্ষামন্ত্রী এম এ মজিদ খান, বর্তমান সরকারের বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী কর্নেল ফারুক খান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমত কাদীর গামা, তাঁর বড় ভাই বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদের ফরিদপুর-১০ আসনের সংসদ সদস্য নুরুল কাদীর জুনু, একই সংসদের ৪ নাম্বার আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন, অভিনেতা অমল বোসের ছোটবেলার অভিনয়ের রিহার্সালের সুতিকাগার ছিল এই কাচারি ঘর। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে নিহত হওয়ার পর আত্মগোপনে থাকার অনেকটা সময় এই কাচারি ঘরে কেটেছে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহমানের। বিএনএমের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহ মো. আবু জাফরও ছাত্রজীবনে এই কাচারি ঘরে অনেকটা সময় কাটিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পঞ্চাশের দশকেও অঞ্চলটি ছিল বৃহত্তর যশোর জেলার অন্তর্গত। গুনবহা কাজী বাড়ির সন্তান কাজী আব্দুল হক ছিলেন একাধারে কয়েকবারের নির্বাচিত জেলা চেয়ারম্যান ও কংগ্রেস দলের জেলা সভাপতি। কাজী আব্দুল হকের বড় ভাই কাজী আব্দুল মজিদের উদ্যোগে বাড়িতে একটি ছনের আটচালা কাচারি ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কথিত আছে, কাচারি ঘরটি তৈরি করতে কয়েক সেট মিস্ত্রি তিনি বদল করেছিলেন। শুধু দিনের পর দিন কাজ শুরু করার কারণে। সর্বশেষ একদল মিস্ত্রি তাদের অস্ত্রপাতি ধার দিতে সময় নিয়েছিলেন ৬ সপ্তাহ অর্থাৎ ৪২ দিন। বাঁশের সাজ, বেতের বাঁধন, শাল-সুন্দরীর খুঁটি আর ছনের ছাউনিতে কাচারি ঘর দাঁড় করাতে সময় লাগে কয়েক বছর। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে শত শত লোক আসতো কাচারি ঘর নির্মাণের কাজ দেখতে।

বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত কাচারি ঘর

সরেজমিনে জানা যায়, শতবর্ষী কাচারি ঘরটি আজ আর নেই। ছন এবং কারিগরের অভাবে আটচালা কাচারি ঘরটি টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। তবে বহু স্মৃতিময় ভিটায় প্রায় ৪০ বছর ধরে দাঁড়িয়ে আছে টিনের প্রতীকী কাচারি ঘর। সেই সময়ের কিছু শাল কাঠের খুঁটি, কাঠ ও লোহার রড এখনো স্মৃতি হিসেবে রয়েছে। কাচারি ঘরটিতে এখন আর আড্ডা, গল্প, বৈঠক হয় না। জমির ফসল ও পরিবারের বিভিন্ন জিনিসপত্র রাখা হয়। যা অনেকটা অযত্ন-অবহেলায় পুরোনো স্মৃতি বুকে নিয়ে ঠাঁয় দাড়িয়ে আছে। তবে এই কাচারি ঘরের জৌলুস ও উপযোগিতা না থাকলেও ছনের কাচারি ঘরে এসেছেন বৃটিশ ভারতসহ দেশের স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গ।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, আগেকার দিনে মুসলিম পরিবারের কাচারি ঘর, হিন্দু সমাজে বৈঠকখানা থাকতো। এখানেই চলতো সামাজিক সালিশ-দরবার, বিয়ের অনুষ্ঠান, পথচারীদের রাত্রিযাপন, এমনকি গ্রামবাসী এসব জায়গায় বসেই আঞ্চলিক বা জাতীয় পর্যায়ের মনোনয়ন বা ভোটের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতো। আজকে যেমন ঘরে ঘরে টিভি বা হাতে হাতে বিনোদন মাধ্যম, দেশ স্বাধীনের পূর্ব থেকে স্বাধীনতা-উত্তর আশির দশক পর্যন্ত গ্রামের মানুষের বিনোদনের অন্যতম স্থান ছিল গ্রামের বিত্তবানদের বাড়ির কাচারি ঘর। সেখানে পুঁথিপাঠ, লুডু, বাঘবন্দিসহ নানা খেলায় সময় পার করতো গ্রামের একশ্রেণির বেকার এবং বয়স্ক ব্যক্তিরা। বাড়ির ভেতর থেকে তাদের জন্যে আসতো নাস্তা। খাবারও আসতো মাঝেমধ্যে। নব্বইয়ের দশকে যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং আকাশ সংস্কৃতির উন্নয়নের সাথে সাথে কাচারি ঘরের সংস্কৃতি মানুষের ড্রইংরুমে ঢুকে গেছে।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, যেদিন কাচারি ঘরের উদ্বোধন হবে; সেদিন মানুষের ঢল নেমেছিল। এত সাধনার কাচারি ঘরে হাজার হাজার মানুষের সামনেই ঘরের ছনের কাজ করা ঘরামি আগুন ধরিয়ে দিলেন। সবাই হায় হায় করতে লাগলেন। ঘরামি তাদের দুঃখে মুচকি হাসতে লাগলেন। কিছুক্ষণ পর দেখা গেলো আগুনের মাঝ থেকে কাচারি ঘর দিব্যি হাসছে। ময়লা আবর্জনা পুড়ে কাচারি ঘর সবাইকে হতবাক করে দাঁড়িয়ে রইলো। যখন আগুন নিভে গেল; তখন হাজারো হাতের করতালিতে মুখরিত হয়ে উঠলো এলাকা। অন্দর মহলের নারীরা কেবল আগুনের লেলীহান শিখা প্রত্যক্ষ করেন এবং করতালির আওয়াজ শুনেছিলেন।

কলকাতা মেডিকেল কলেজের মেধাবী ছাত্র ডাক্তার কেশব লাল সাহার বাল্যবন্ধু ছিলেন কাজী আব্দুল হকের ভাতিজা কাজী ফজলুল মতিন রাজা। তিনি ছিলেন কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক। ডা. কেশব লাল সাহার শ্রুতি থেকে জানা যায়, ১৯২৬ সালে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন। বোয়ালমারীর মিলন সংঘে ছিল তাঁর মতবিনিময় অনুষ্ঠান। তাঁর সম্মানে ভোজের আয়োজন হয়েছিল গুনবহার ঐতিহ্যবাহী কাচারি ঘরে। বিদ্রোহী কবির সফরসঙ্গী ছিলেন পল্লীকবি জসীম উদদীন। ১৯২৯ সালে কৃষক প্রজাপার্টির কেন্দ্রীয় সম্মেলন হয়েছিল বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী থানার দেউলি গ্রামে। সেখানে এসেছিলেন শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক। তাঁর সাথে ছিলেন ভারতের শিক্ষামন্ত্রী, ফরিদপুরের গৌরব কবি হুমায়ুন কবীর। এ ছাড়া ছিলেন চৌধুরী ইউসুফ আলী মোহন মিয়া, নাট্যকার এম এ ওয়াহিদ টিপু মিয়া (স্বাধীনতা যুদ্ধে বিতর্কিত)। এদিন ছাড়াও কবি হুমায়ুন কবির এবং চৌধুরী ইউসুফ আলী মোহন মিয়া অনেকবার এ বাড়িতে এসেছেন। ওই দুই পরিবারের সাথে ছিল কাজী পরিবারের আত্মিক সম্পর্ক। সবচেয়ে বেশি এই কাচারি ঘরে এসেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কাজী আব্দুল হকের কনিষ্ঠ ভাতিজা কাজী মুজিবুর রহমান ছিলেন তাঁর বাল্য সহচর। ছাত্রলীগ সংগঠিত করতে তাঁকে বহুবার আসতে হয়েছে এ এলাকায়। যখন এখানে এসেছেন, রাতযাপনের নির্দিষ্ট ঠিকানা ছিল গুনবহা কাজী বাড়ি।

আরও পড়ুন

স্থানীয় বাসিন্দা ও কৃষক মহিউদ্দিন (৭৭) জাগো নিউজকে বলেন, ‘ছোটবেলায় আমি নিজে সেই পুরোনো কাচারি ঘরটি দেখেছি। দেশ-বিদেশের নামকরা ব্যক্তিরা এখানে এসেছেন। এখন পুরোনো কাচারিটি না থাকলেও অনেক স্মৃতি রয়ে গেছে।’

কবি, কথাসাহিত্যিক সমর চক্রবর্তী জাগো নিউজকে বলেন, ‘একসময় দেশের শিক্ষা বিস্তারেও কাচারি ঘরের অপরিসীম ভূমিকা ছিল। তখনকার দিনে মোড়ে মোড়ে স্কুল-কলেজ ছিল না। দুই-চার থানার মধ্যে একটা হাইস্কুল আর জেলা সদরে থাকতো কলেজ। বর্ধিষ্ণু দু’চারটা থানায় ছিল দুয়েকটা কলেজ। কাচারি ঘরগুলোই দূর-দূরান্তের শিক্ষার্থীদের লজিং মাস্টার হিসাবে থেকে শিক্ষা লাভের সুযোগ করে দিয়েছে। বিখ্যাত পণ্ডিতজনের শিক্ষাজীবন কেটেছে লজিং মাস্টার হিসেবে কোনো না কোনো কাচারি ঘরে।’

কাজী বাড়ির সন্তান কবি ও সাংবাদিক কাজী হাসান ফিরোজ জাগো নিউজকে বলেন, ‘কাচারি ঘরটি ছিল আমাদের শৈশবের বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দু। গরমের রাতে মনে হয়েছে গ্রামটাই কাচারি ঘরে উঠে এসেছে। আমাদের শৈশবে আব্দুর রহমান, শাহ মো. আবুজাফরের মতো নেতাদের কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। আব্দুর রহমান ভাই ছিলেন আমাদের পরিবারের সদস্যের মতো। ন্যাপ ভাসানী নেতা অ্যাডভোকেট মিঞা সাদেকুর রহমান তো ছিলেন একই গ্রামের সন্তান এবং কাজী আব্দুল হক ছিলেন তাঁর হাই স্কুলের শিক্ষক।’

তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেবেলায় ৭০ এর নির্বাচনে দেখেছি আব্দুস সালাম খান সাহেব ভোট চাইতে এসেছেন। তিনি ওই বাড়ির ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ছিলেন। তিনি এলে কাচারি ঘর থেকে বাড়ির দুই সন্তান আবু দায়েন কাজল (জিয়া ও এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের পুরোধা ছাত্রনেতা ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, সরকারি ইয়াছিন কলেজের ভিপি), কাজী ইমদাদুল হক লুলু (জিয়া ও এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের ছাত্রনেতা, বোয়ালমারী সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি, বোয়ালমারী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি) সুর তুলতেন, ইলিশ মাছের ত্রিশ কাঁটা, বোয়ালমাছের দাড়ি, সালাম পাগলা চাকর খাটে শেখ সাহেবের বাড়ি। আমরা তখন অনেক ছোট হলেও তাঁদের সাথে সুর মিলাতাম।’

বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত কাচারি ঘর

তিনি আরও বলেন, ‘কালের আবর্তে কাচারি ঘরের স্থান দখল করেছে বাড়ির ড্রইং রুম আর কমিউনিটি সেন্টার। এই কাচারি ঘর প্রাঙ্গণে প্রতি বছর নাটক-থিয়েটার হতে দেখেছি। কাচারি ঘর বিলুপ্তির সাথে মহল্লার মানুষে মানুষে আন্তরিকতারও ঘাটতি হয়েছে।’

গুনবহা কাজী বাড়ির সন্তান, সোসাইটি ডেভেলপমেন্ট কমিটির (এসডিসি) নির্বাহী পরিচালক কাজী আশরাফুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, ‘শত বছরের পুরোনো কাচারি ঘরটি এখন আর নেই। তবে এখন যে কাচারি ঘরটি আছে তার বয়সও প্রায় ৪০ বছরের মতো। ছোটকালে পুরোনো কাচারি ঘরটি আমি নিজে দেখেছি। তখন আমার বয়স প্রায় ২০ বছর। সেই কাচারি ঘরের কিছু স্মৃতি এখনো আছে। তবে ওই সময়ের কিছু সাদাকালো ছবি থাকলেও এখন আর নেই, নষ্ট হয়ে গেছে।’

ঘোষপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দীন আহমেদ জানান, ১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনে মাগুরা মহকুমার একটি আসনের আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রার্থী ছিলেন এম এ খালেক (সাবেক মন্ত্রী), তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন যুক্তফ্রন্টের মৌলভী কফিল উদ্দিন (কংগ্রেসের ভলেন্টিয়ার)। সেই নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমান (মুজিব ভাই) টুঙ্গিপাড়া থেকে বাইসাইকেল চালিয়ে গুনবহা থেকে কাজী মুজিবুর রহমানকে সাথে করে ময়না ইউনিয়নের ঠাকুরপুর বাজারে জনসভা করেন। সেখান থেকে দলীয় নির্বাচনী প্রোগ্রামে যোগ দিতে বাইসাইকেল চালিয়ে যান কামারখালী। কামারখালী যাত্রায় সহযোগী ছিলাম আমি এবং কাজী মুজিবুর রহমান (নবু কাজী)। খালেক সাহেব ১৮৮ ভোটে জয়লাভ করেন।

এম এ খালেক এই কাচারি ঘরে এসেছেন। মৌলভী কফিল উদ্দিনের এটি ছিল ফুফা শ্বশুরবাড়ি। অপ্রিয় হলেও সত্য, কফিল উদ্দিনের ফুফা শ্বশুরবাড়ির কেউ তাঁর সমর্থক ছিলেন না। তাঁরা করতেন আওয়ামী মুসলিম লীগ।

এ ব্যাপারে বিএনএমের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মো. আবু জাফর জাগো নিউজকে বলেন, ‘এই বাড়িতে এবং কাচারি ঘরটিতে মহান ব্যক্তিদের আগমন ঘটেছে। আমি নিজেও কাচারি ঘরটিতে অনেক সময় কাটিয়েছি। আমার অনেক স্মৃতিও রয়েছে।’

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহমান বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার পর বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে থাকার অনেকটা সময় এই কাচারি ঘরে কেটেছে আমার।’

এসইউ/এএসএম

আরও পড়ুন