ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ফিচার

আজকের এই দিনে

প্যারীচাঁদ মিত্রের জন্ম

ফিচার ডেস্ক | প্রকাশিত: ১১:৩৭ এএম, ২২ জুলাই ২০২৩

প্যারীচাঁদ মিত্র বাংলা সাহিত্যের প্রথম ঔপন্যাসিক। তার ছদ্মনাম টেকচাঁদ ঠাকুর। তিনি বাংলার নবজাগরণের অন্যতম নেতা ছিলেন। কলকাতা পাবলিক লাইব্রেরির লাইব্রেরিয়ানের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ফার্সি, বাংলা ও ইংরেজি ভালো জানতেন। বিশেষ করে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় বহু গ্রন্থ রচনা করে তিনি খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।

কলকাতায় ১৮১৪ সালের ২২ জুলাই এক বণিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। শৈশবে একজন গুরুমহাশয়ের নিকট বাংলা, পরে একজন মুন্সির নিকট ফারসি শিখেন। ইংরেজি লাভের জন্য হিন্দু কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হন। ঐ সময় ডিরোজিও নামে একজন বিখ্যাত অধ্যাপক ছিলেন হিন্দু কলেজে। তিনি তার শিষ্য ও ভাবশিষ্য ছিলেন।

প্যারীচাঁদ মিত্রের ‘আলালের ঘরের দুলাল’ উপন্যাসটি তার শ্রেষ্ঠ এবং বাংলা সাহিত্যের প্রথম উপন্যাস। ১৮৫৮ সালে প্রকাশিত এই উপন্যাসটির অন্যতম প্রধান চরিত্র ঠকচাচা। এখানে তিনি যে কথ্য ভাষা ব্যবহার করেছিলেন তা আলালী ভাষা নামে পরিচিতি লাভ করেছে। এই গ্রন্থটি ইংরেজিতেও অনুবাদ করা হয়েছিল।

এছাড়াও তার উল্লেখযোগ্য রচনাবলি হলো-অভেদী, আধ্যাত্মিকা, যৎকিঞ্চিৎ, রামারঞ্জিকা, বামাতোষিণী, গীতাঙ্কুর, কৃষি পাঠ, ডেভিড হেয়ারের জীবনচরিত, এত দ্দেশীয় স্ত্রীলোক দিগে পূর্বাবস্থা ইত্যাদি।

প্যারীচাঁদ নারীদের জন্য একটি মাসিক পত্রিকা সম্পাদনা করতেন। তার সহযোগী ছিলেন রাধানাথ শিকদার। এছাড়াও বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজও করতেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের সদস্য ছিলেন।

একই সঙ্গে তিনি পশু-ক্লেশ নিবারণী সভারও সদস্য ছিলেন। বেথুন সোসাইটি ও ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটির অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন প্যারীচাঁদ মিত্র। জ্ঞানান্বেষণ সভার সদস্য হন তিনি ১৮৩৮ সালে।

তার ইংরেজি ভাষায় রচিত লেখাসমূহ ছাপা হত ইংলিশম্যান, ইন্ডিয়ান ফিল্ড, ক্যালকাটা রিভিউ, হিন্দু প্যাট্রিয়ট, ফ্রেন্ড অব ইন্ডিয়া প্রভৃতি পত্রিকায়। তিনি পুলিশি অত্যাচারিতার বিরুদ্ধে লড়েছিলেন এবং সফলকামও হয়েছিলেন। তিনি স্ত্রী শিক্ষা প্রচারে যথেষ্ট সক্রিয়তার পরিচয় দেন।

তিনি বিধবাবিবাহ সমর্থন করতেন। তিনি বাল্যবিবাহ এবং বহুবিবাহের বিরোধিতা করেন। তিনি আমদানি ও রপ্তানি এবং চালের ব্যবসা করে প্রচুর অর্থোপার্জন করেন। ১৮৮৩ সালের ২৩ নভেম্বর তিনি কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।

কেএসকে/জেআইএম

আরও পড়ুন