ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ফিচার

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে শিক্ষার্থীদের ভাবনা

মামুনূর রহমান হৃদয় | প্রকাশিত: ০৩:৫৬ পিএম, ০৫ জুন ২০২৩

আজ ৫ জুন ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’। পরিবেশ নিয়ে জনসচেতনতার লক্ষ্যে প্রতি বছর এই দিনে পালিত হয় দিবসটি। বনভূমির পরিমাণ কমে যাওয়া, নদী দূষণ, মেরু অঞ্চলের বরফ গলা, তাপমাত্রা বৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে চিন্তিত গোটা মানব জাতি। তাই প্রকৃতিকে আগের রূপে ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে সরকার, পরিবেশবিদ, শিক্ষার্থী, সচেতন নাগরিকসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। বিশ্ব পরিবেশ দিবস নিয়ে কী ভাবছেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা! চলুন জেনে আসা যাক তাদের ভাবনা। তাদের কথা লেখায় ফুটিয়ে তুলেছেন মামুনূর রহমান হৃদয়।

পরিবেশ রক্ষায় প্রয়োজন জনসচেতনা
পুষ্প চৌধুরী, বাংলা বিভাগ

ভবিষ্যৎ পৃথিবী ও পরবর্তী প্রজন্মের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা দিন দিন পরিবেশের ক্ষতি করছি এবং প্রাকৃতিক সম্পদের অপব্যবহার করছি। নির্বিচারে গাছ কাটা, গাড়ির কালো ধোঁয়া, কলকারখানার ধোঁয়া, প্লাস্টিক ব্যবহার শেষে যেখানে-সেখানে ফেলা, শব্দ দূষণ ও প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারের অভাবে আমাদের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। তবে পরিবেশ পুনরুদ্ধার করতে জনসচেতনতা মূলক কর্মসূচি, সভা-সমাবেশ, সেমিনার পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

আরও পড়ুন: পরীক্ষায় পাস করতে গাছ লাগাতে হয় যে দেশে

সময় এসেছে বনায়ন বাড়ানোর
মো: নাফিজ আহমেদ, ইসলামের ইতিহাস

প্রকৃতির সঙ্গে মানুষ ওতপ্রোতভবে জড়িত। প্রকৃতি ছাড়া মানুষের জীবন অকল্পনীয়। তবে নগরায়ণ ও শিল্পায়নের ফলে দিন দিন প্রকৃতি হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। তাই বর্তমান প্রেক্ষাপটে প্রকৃতি সংক্ষরণ বিষয়টি অতীব গুরুত্বপূর্ণ। প্রকৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে বৃক্ষ। বৃক্ষকে বলা হয় মানুষের পরম বন্ধু। আমাদের প্রয়োজনীয় অক্সিজেন বৃক্ষ সরবরাহ করে এবং মানুষের ত্যাগ করা দূষিত কার্বন ডাই-অক্সাইড বৃক্ষ গ্রহণ করে। এছাড়া বৃক্ষ আমাদের ফলমূল দিয়ে থাকে। কিন্তু আমরা এই পরম বন্ধুকে প্রতিনিয়ত ধ্বংস করছি। অধিক জনসংখ্যার চাপে বন উজাড় করে তৈরি করছি বাসস্থান। তাই বন উজাড়ের বদলে সময় এসেছে বনায়ন বাড়ানোর।

রাসায়নিক পদার্থের অপব্যবহার রোধ জরুরি
ইপা রাণী দে , রসায়ন বিভাগ

বনায়ন কমে যাওয়ায় পৃথিবী হচ্ছে মরুভূমি, বাড়ছে তাপমাত্রা। অত্যাধিক তাপমাত্রায় অসুস্থ হচ্ছে মানুষ। মেরু অঞ্চলের বরফ গলে বাড়ছে ভূপৃষ্ঠে পানির উচ্চতা। এভাবেই অসচেতনতার ফলে নানাভাবে প্রকৃতিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছি আমরা। প্রকৃতির ক্রমবর্ধমান দূষণ নিয়ে চিন্তিত পরিবেশবিদরাও। যত্রতত্র শিল্প-কারখানা স্থাপন, নদীতে রাসায়নিক পদার্থ নিক্ষেপ পরিবেশ নষ্টের অন্যতম কারণ। এসবের প্রভাবে কার্বন-ডাই-অক্সাইড ছাড়াও বাড়ছে ক্ষতিকর মিথেন গ্যাসের পরিমাণ। ফলে ওজন স্তরের হচ্ছে ক্ষতি। তাই রাসায়নিক পদার্থের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার রোধ করা জরুরি।

আরও পড়ুন: বাড়ছে পরিবেশ দূষণ কমছে সচেতনতা

সবার সচেতনতা ও চেষ্টাই পারে প্রকৃতি পুনরুদ্ধার করতে
মো:রাব্বি সরকার ,অর্থনীতি বিভাগ

জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ভয়াবহ রূপ ধারণ করায় ঝুঁকিতে মানবজাতি। তাই গত কয়েক বছর ধরে গুরুত্বের সঙ্গে বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব পরিবেশ দিবস। চেষ্টা করছে পরিবেশ পুনরুদ্ধারের। এনিয়ে হয়েছে অনেক আলোচনা-সমালোচনা, গবেষণা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা। বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে বের করা হয়েছে নানা উপায় ও উদ্যোগ। যেমন: বৃক্ষরোপণ, শহরে ছাদ বাগান, নদীতে ময়লা ফেলা থেকে বিরত থাকা ইত্যাদি। এছাড়া যে যার অবস্থান থেকে বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধারে এগিয়ে আসলে সহজে এই বৈশ্বিক সমস্যার সমাধান সম্ভব। তাই আসুন বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধারে এক হই, সচেতন হই, পৃথিবীকে সবুজে ভরে উঠতে সহায়তা করি।

কেএসকে/এমএস

আরও পড়ুন