আজকের এই দিনে
অ্যাঞ্জেলিনা জোলির জন্ম
অ্যাঞ্জেলিনা জোলি একজন মার্কিন অভিনেত্রী, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও মানবহিতৈষী। তার পুরো নাম অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ভইট। ১৯৭৫ সালের ৪ জুন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেসে জোলির জন্ম। তার মা-বাবা মার্শেলিন বার্ট্রান্ড ও জন ভইট উভয়েই ছিলেন পেশাদার অভিনয়শিল্পী।
ছোট থেকেই জোলির অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। ১৯৮২ সালে লুকিন’ টু গেট আউট চলচ্চিত্রে বাবা জন ভইটের সঙ্গে একটি শিশু চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র জগতে জোলির আবির্ভাব হয়। তবে পেশাদার চলচ্চিত্র অভিনেত্রী হিসেবে তার অভিষেক ঘটে স্বল্প বাজেটের ছবি সাইবর্গ ২-এ অভিনয়ের মাধ্যমে। তার অভিনীত প্রথম বড় মাপের ছবি হ্যাকারস মুক্তি পায় ১৯৯৫ সালে। এই ছবিতে তিনি নামভূমিকায় অভিনয় করেন।
এরপর অসংখ্য ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন জোলি। তার উল্লেখযোগ্য কিছু সিনেমা হলো- জর্জ ওয়ালেস, গার্ল, ইন্টারাপ্টেড, লারা ক্রফ্ট: টুম্ব রেইডার, মিস্টার অ্যান্ড মিসেস স্মিথ, অ্যানিমেশন সিনেমা কুং ফু পান্ডা, লাইফ অর সামথিং লাইক ইট, বিয়ন্ড বর্ডারস, ম্যালিফিসেন্ট, টেকিং লাইভস, স্কাই ক্যাপ্টেন অ্যান্ড দ্য ওয়ার্ল্ড অব টুমরো, আলেকজান্ডার ইত্যাদি।
চলচ্চিত্র জগতের বাইরে ২০০১ সালে তিনি জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার শুভেচ্ছাদূত মনোনীত হয়েছেন। বিশ্বব্যাপী মানবতার প্রচার, বিশেষ করে শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করার জন্য জোলি বিশেষভাবে সমাদৃত। জোলি তার মানবহিতৈষী কর্মকাণ্ডের জন্য বিশ্বব্যাপী একটি পরিচিতি ও স্বীকৃতি লাভ করেছেন। ২০০২ সালের আগস্টে তিনি চার্চ ওয়াল্ড সার্ভিসেস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড রিফিউজি প্রোগ্রাম প্রদত্ত প্রথম মানবহিতৌষী পুরস্কার এবং ২০০৩ সালে ইউনাইটেড নেশন্স করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন তাকে নতুন ঘোষিত পুরস্কার সিটিজেন অফ দ্য ওয়ার্ল্ড পুরস্কার প্রদান করে।
২০০৫ সালে তিনি ইউএনএ-ইউএসএ কর্তৃক গ্লোবাল হিউম্যানিটেরিয়ান পুরস্কার লাভ করেন। কম্বোডিয়ার রাজা নরোডোম শিয়ামনি ১২ আগস্ট ২০০৫ সালে তার দেশে পরিবেশ সংরক্ষণমূলক কাজ করার জন্য জোলিকে কম্বোডিয়ার সম্মানসূচক নাগরিকত্ব প্রদান করেন।
একাধিকবার তিনি ‘বিশ্বের সেরা সুন্দরী’ নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া তিনি তিনবার গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার, দুইবার স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার, একাডেমি পুরস্কার, এমি পুরস্কার, ন্যাশনাল বোর্ড অব রিভিউ পুরস্কার, বাফটা পুরস্কার, পিপল’স চয়েজ পুরস্কার পেয়েছেন।
কেএসকে/এমএস