ভূমিকম্প থেকে বাঁচতে আগেই যা করবেন
এ বছর ফেব্রুয়ারিতে দশকের সবচেয়ে মারাত্মক ভূমিকম্প হয় তুরস্ক এবং সিরিয়ায়। রিখটার স্কেলে এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। দুই দেশে এপর্যন্ত মোট ৪৫ হাজার মানুষ মারা গেছেন এই ভূমিকম্পে। এরপর ভারত, ইন্দোনেশিয়া, নিউজিল্যান্ড, পাপুয়া নিউ গিনি, রাশিয়ায়, জাপান, ইকুয়েডর, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
শুক্রবার (৫ মে) সকাল ৫টা ৫৭ মিনিট ৮ সেকেন্ডে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূকম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৩।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস-এর তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল প্রথমে ঢাকার দোহার উপজেলা উল্লেখ করা হলেও পরবর্তী সময়ে জানা যায় নারায়ণগঞ্জের রূপপুরে ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে এ ভূমিকম্প ঘটেছে।
আরও পড়ুন: জীব-জন্তু কি ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দিতে পারে?
তবে ভূমিকম্প থেকে বাঁচতে কয়েকটি কাজ করতে পারেন। যেহেতু ভূমিকম্প কখন আঘাত হানবে তা ভবিষ্যদ্বাণী করা সবসময় সহজ নয়, তাই বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনাকে সব সময় প্রস্তুত থাকতে হবে। অর্থাৎ ভূমিকম্প ঘটলে কী করতে হবে সে সম্পর্কে আগেই একটা পরিকল্পনা থাকা উচিত সবার।
চলুন জেনে নেওয়া যাক ভূমিকম্প থেকে বাঁচতে আগেই যেসব প্রস্তুতি নেবেন-
>> বাড়িতে একটি জরুরি প্যাক তৈরি রাখুন। সেখানে কিছু শুকনো খাবার, পানি, একটি টর্চ, প্রাথমিক চিকিৎসার একটি কিট এবং কিছু শুকনো খাবার রাখুন।
>> বাড়ির ভেতরে এবং বাইরে নিরাপদ স্থানগুলো চিহ্নিত করা জরুরি, যাতে ভূমিকম্পের সময় ভাবতে না হয় কোথায় আশ্রয় নেবেন আপনি। বাড়িতে ছোটদের এই বিষয়টি ভালো করে বুঝিয়ে দিন।
>> ভারী মালপত্র উপরে রাখবেন না, শেলফের নিচের দিকে রাখুন। ঝাঁকুনিতে এগুলো গায়ের ওপর যাতে না পড়ে যায়।
আরও পড়ুন: আগুন লাগলে কী করবেন?
>> বাড়ির গ্যাস লাইন, বৈদ্যুতিক লাইন মেরামত করে নিন এবং নিয়মিত পরীক্ষা করুন।
>> মাঝে মধ্যেই জরুরি প্রয়োজনে দৌড়ে বাড়ির বাইরে বের হওয়ার মহড়া দিন যেন কম্পন অনুভূত হলেই সবাই এক দৌড়ে বাইরে বের হতে পারেন। বিশেষ করে শিশুদের ভূমিকম্পের সময় কি করতে হবে তা শিখিয়ে দিন।
>> নিজের কর্মক্ষেত্রে, বাড়িতে এবং প্রতিবেশীদের এ বিষয়ে সচেতন করুন।
>> শুকনো খাবার ও জরুরি প্রাথমিক চিকিৎসার কিছু সরঞ্জাম হাতের কাছে রেখে দিন।
>> অন্ধকারে দেখার জন্য টর্চ রাখুন হাতের কাছে।
>> বিল্ডিং কোড মেনে ভবন নির্মাণ করুন।
কেএসকে/এএসএম