আজকের এই দিনে
ভ্লাদিমির লেনিনের জন্ম
ভ্লাদিমির লেনিন একজন মার্কসবাদী রুশ বিপ্লবী এবং কমিউনিস্ট রাজনীতিবিদ ছিলেন। লেনিন অক্টোবার বিপ্লবের বলশেভিকদের প্রধান নেতা ছিলেন। তিনি ১৯১৭ থেকে ১৯২৪ পর্যন্ত সোভিয়েত রাশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান এবং ১৯২২ থেকে ১৯২৪ সাল পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের সর্বাধিনায়ক ছিলেন।
লেনিন ১৮৭০ সালের ২২ এপ্রিল জার শাসিত রাশিয়ার সিমবির্স্ক শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রকৃত নাম ছিল ভ্লাদিমির ইলিচ উলিয়ানভ। ১৮৮৬ সালের জানুয়ারিতে, যখন লেনিন ১৫ বছর বয়সে ছিলেন, তখন তার পিতা মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণে মারা যান। পিতৃ বিয়োগ হলে তার মায়ের উপর সংসারের যাবতীয় দায়িত্ব এসে পড়ে। পরবর্তীকালে, তার আচরণ ভ্রান্ত ও বিরোধিতাপূর্ণ হয়ে ওঠে এবং তিনি ঈশ্বরের প্রতি তার বিশ্বাসকে ত্যাগ করেছিলেন। সাম্মানিক স্নাতক ডিগ্রি লাভ করে ১৮৮৭ সালে লেনিন কাজান বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন।
লেনিনকে বিংশ শতকের অন্যতম প্রধান ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিংশ শতাব্দীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের ব্যাপকভাবে বিবেচিত হয়েও, লেনিন ১৯৯১ সালে বিলোপ হওয়া অবধি সোভিয়েত ইউনিয়নের অভ্যন্তরে মরণোত্তরকালীন এক পরিব্যাপ্ত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের বিষয় ছিলেন। তাকে সোভিয়েত ইউনিয়নের জাতির জনক হিসেবে গণ্য করা হতো।
তিনি মার্কসবাদ-লেনিনবাদের পিছনের আদর্শিক ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছিলেন এবং এভাবে আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট আন্দোলনের উপর একটি লক্ষণীয় প্রভাব ফেলেছিলেন। বিতর্কিত এবং অত্যন্ত বিভাজক ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে লেনিনকে তার সমর্থকরা সমাজতন্ত্র এবং শ্রমিক শ্রেণির চ্যাম্পিয়ন হিসাবে দেখেন, অন্যদিকে বাম এবং ডান উভয় দিকের সমালোচকরা তাকে একটি কর্তৃত্ববাদী শাসনের প্রতিষ্ঠাতা ও নেতা হিসাবে তার ভূমিকার উপর জোর দিয়েছিলেন। তথাপি সোভিয়েত ইউনিয়নের জনক হিসেবে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত। এছাড়া লেনিন আন্তর্জাতিক সাম্যবাদী আন্দোলনের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব। ১৯২৪ সালের ২১ জানুয়ারি সোভিয়েত ইউনিয়নে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
কেএসকে/এমএস