ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ফিচার

আজকের এই দিনে

লাকী আখান্দের প্রয়াণ দিবস

ফিচার ডেস্ক | প্রকাশিত: ১১:৪৮ এএম, ২১ এপ্রিল ২০২৩

লাকী আখান্দ বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত সুরকার, সংগীত পরিচালক ও গায়ক। ১৯৮৪ সালে সরগমের ব্যানারে লাকি আখন্দের প্রথম একক অ্যালবাম লাকী আখান্দ প্রকাশিত হয়। তিনি ব্যান্ড দল হ্যাপী টাচের সদস্য। তার সংগীতায়জনে করা বিখ্যাত গানের মধ্যে রয়েছে এই নীল মনিহার, আবার এলো যে সন্ধ্যা এবং আমায় ডেকো না। তিনি বাংলাদেশি জাতীয় রেডিও নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ বেতারের সংগীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন।

১৯৫৬ সালের ৭ জুন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) ঢাকার পাতলা খান লেনে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র ৫ বছর বয়সেই তিনি তার বাবার কাছ থেকে সংগীত বিষয়ে হাতেখড়ি নেন। তিনি ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত টেলিভিশন এবং রেডিওতে শিশুশিল্পী হিসেবে সংগীত বিষয়ক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। তিনি মাত্র ১৪ বছর বয়সেই এইচএমভি পাকিস্তানের সুরকার এবং ১৬ বছর বয়সে এইচএমভি ভারতের সংগীত পরিচালক হিসেবে নিজের নাম যুক্ত করেন।

১৯৭৫ সালে লাকী আখান্দ তার ছোট ভাই হ্যাপী আখন্দের একটি অ্যালবামের সংগীতায়োজন করেন। অ্যালবামটিতে ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’ ও ‘কে বাঁশি বাজায়রে’ গানে কণ্ঠ দেন হ্যাপী আখন্দ, ‘স্বাধীনতা তোমাকে নিয়ে’ ও ‘পাহাড়ি ঝর্ণা’ গানে কণ্ঠ দেন হ্যাপী ও লাকী দুজনে, এবং লাকী নিজে ‘নীল নীল শাড়ি পরে’ ও ‘হঠাৎ করে বাংলাদেশ’ গানে কণ্ঠ দেন।

এছাড়াও তার জনপ্রিয় গানগুলো হলো-এই নীল মনিহার, আবার এলো যে সন্ধ্যা, আমায় ডেকো না, কে বাঁশি বাজায়রে, মামুনিয়া মামুনিয়া, যেখানে সীমান্ত তোমার, আগে যদি জানতাম, নিলা, পলাতক আমি, ঘুমিয়ে পড় ইত্যাদি। ১৯৬৯ সালে লাকী আখান্দ পাকিস্তানি আর্ট কাউন্সিল হতে ‘বাংলা আধুনিক গান’ বিভাগে পদক লাভ করেন।

তবে তার সংগীতচর্চা বন্ধ হয়ে যায় তার ছোট ভাই হ্যাপী আখন্দ ১৯৮৭ সালে মারা যাওয়ার পর। তিনি প্রায় এক যুগ পরে ১৯৯৮ সালে পরিচয় কবে হবে ও বিতৃষ্ণা জীবনে আমার অ্যালবামের সংগীতায়োজনের মাধ্যমে গানের ভুবনে ফিরে আসেন। ১৯৬৯ সালে লাকী আখান্দ পাকিস্তানি আর্ট কাউন্সিল হতে ‘বাংলা আধুনিক গান’ বিভাগে পদক লাভ করেন। ২০১৭ সালের ২১ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

কেএসকে/জেআইএম

আরও পড়ুন