আঞ্জুমান আরার জন্ম ও চাষী নজরুলের প্রয়াণ
মানুষ ইতিহাস আশ্রিত। অতীত হাতড়েই মানুষ এগোয় ভবিষ্যৎ পানে। ইতিহাস আমাদের আধেয়। জীবনের পথপরিক্রমার অর্জন-বিসর্জন, জয়-পরাজয়, আবিষ্কার-উদ্ভাবন, রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজনীতি একসময় রূপ নেয় ইতিহাসে। সেই ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা স্মরণ করাতেই জাগো নিউজের বিশেষ আয়োজন আজকের এই দিনে।
১১ জানুয়ারি ২০২৩, বুধবার। ২৭ পৌষ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
আঞ্জুমান আরা বেগম
একজন বাংলাদেশি সংগীতশিল্পী। ১৯৪২ সালের ১১ জানুয়ারি বর্তমান বাংলাদেশের (তৎকালীন বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত) বগুড়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চলচ্চিত্র, টেলিভিশন এবং মঞ্চের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। সংগীতে অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০০৩ সালে একুশে পদকে ভূষিত করে। ১৯৬৪ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত প্রথম গানে কণ্ঠ দেন। চান্দনী ভিগি ভিগি হাওয়া, তুমি আসবে বলে, আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল, কে স্মরণের প্রান্তরে, খোকনসোনা, বৃষ্টি যখন, সাথী রঙের- তার উল্লেখযোগ্য গান। ২০০৪ সালের ২৯ মে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
চাষী নজরুল ইসলাম
বাংলাদেশের একজন চলচ্চিত্র পরিচালক ছিলেন। ১৯৪১ সালের ২৩ অক্টোবর বিক্রমপুর শ্রীনগর থানার সমষপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬১ সালে তখনকার খ্যাতিমান পরিচালক ফতেহ লোহানীর সঙ্গে আসিয়া চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর প্রখ্যাত সাংবাদিক ও চলচ্চিত্রকার ওবায়েদ উল হকের সহকারী হিসাবে ‘দুইদিগন্ত’ চলচ্চিত্রে কাজ করেন। ১৯৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধের পর তিনিই প্রথম নির্মাণ করেন মুক্তিযুদ্ধভিক্তিক চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’। তার উল্লেখযোগ্য আরও কিছু সিনেমা হলো- সংগ্রাম, বাজিমাত, ভালো মানুষ, দেবদাস, চন্দ্রনাথ,শুভদা, হাঙর নদী গ্রেনেড, হাছন রাজা, মেঘের পরে মেঘ, শাস্তি, সুভা, ধ্রুবতারা, দুই পুরুষ ইত্যাদি। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।
ঘটনা
১৬১৩- মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে সুরাটে কারখানা স্থাপনের অনুমতি দেন।
১৬৯৩- ইতালির সিসিলিতে মাউন্ট এটনার অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সৃষ্ট শক্তিশালী ভূমিকম্পে সিসিলি ও মাল্টায় ব্যপক ধ্বংসযজ্ঞ।
১৮৭৯- এ্যাংলো-জুলু যুদ্ধ শুরু।
১৯২২- মানবদেহে ডায়াবেটিস রোগের জন্য প্রথমবারের মতো ইনসুলিন ব্যবহার।
১৯৭২- মঙ্গোলিয়া এবং পূর্ব জার্মানি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে।
১৯৭২- বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি অস্থায়ী সংবিধান আদেশ জারি করেন। এই ঘোষণা অনুযায়ী একটি গণপরিষদ গঠিত হয়।
জন্ম
১৮৫৯- ব্রিটিশ ভারতের সাবেক গভর্নর জেনারেল ও ভাইসরয় লর্ড কার্জন।
১৮৬৬- ভারতীয় আলোকচিত্র শিল্পী লক্ষ্মীনারায়ণ রায়চৌধুরী।
১৮৮১- বিপ্লবী, সাংবাদিক ও সম্পাদক মাখনলাল সেন।
১৯১১- বিচারপতি সৈয়দ মাহবুব মোরশেদ।
১৯২১- লেখিকা নীলিমা ইব্রাহিম।
১৯৪১- বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী শেফালী ঘোষ।
১৯৪২- একুশে পদক বিজয়ী বাংলাদেশি সংগীতশিল্পী আঞ্জুমান আরা বেগম।
মৃত্যু
১৯২৮- ইংরেজ ঔপন্যাসিক টমাস হার্ডি।
২০০৮- নিউজিল্যান্ডের র্বতারোহী এবং অভিযাত্রী এডমন্ড হিলারি।
২০১৪- বাংলাদেশের বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
২০১৫- প্রখ্যাত বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম।
২০২১- সাংবাদিক মিজানুর রহমান খান।
২০২২- বাংলাদেশি চিত্রশিল্পী মাহমুদুল হক।
কেএসকে/জেআইএম