টেলি সামাদের জন্ম ও জাফর ইকবালের প্রয়াণ
মানুষ ইতিহাস আশ্রিত। অতীত হাতড়েই মানুষ এগোয় ভবিষ্যৎ পানে। ইতিহাস আমাদের আধেয়। জীবনের পথপরিক্রমার অর্জন-বিসর্জন, জয়-পরাজয়, আবিষ্কার-উদ্ভাবন, রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজনীতি একসময় রূপ নেয় ইতিহাসে। সেই ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা স্মরণ করাতেই জাগো নিউজের বিশেষ আয়োজন আজকের এই দিনে।
৮ জানুয়ারি ২০২৩, রোববার। ২৪ পৌষ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
টেলি সামাদ
বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের শক্তিশালী ও জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা। ১৯৪৫ সালের ৮ জানুয়ারি মুন্সীগঞ্জের (তৎকালীন বিক্রমপুর) সদর উপজেলার নয়াগাঁও গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার আসল নাম আবদুস সামাদ। তিনি টেলিভিশন ও মঞ্চ নাটকেও অভিনয় করেছিলেন। এছাড়াও তিনি ছিলেন গায়ক এবং সংগীত পরিচালক ছিলেন। ‘মনা পাগলা’ চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনার পাশাপাশি ৫০টির মত চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দেন। অভিনয়জীবনে চার দশকে ৬০০’র মত চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে আছে- জিরো ডিগ্রী, কুমারী মা, সাথী হারা নাগিন, মায়ের চোখ, আমার স্বপ্ন আমার সংসার, রিকসাওয়ালার ছেলে, মন বসে না পড়ার টেবিলে, কেয়ামত থেকে কেয়ামত, গোলাপী এখন ট্রেনে, ভাত দে, সুজন সখী, নাগরদোলা ইত্যাদি। ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
জাফর ইকবাল
বাংলাদেশী অভিনেতা ও সংগীতশিল্পী। ১৯৫০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকায় জন্ম তার। ১৯৬৬ সালে বন্ধুদের নিয়ে গঠন করেন ব্যান্ড গ্রুপ ‘র্যাম্বলিং স্টোন’ এবং প্রথম প্লে-ব্যাক করা গান নায়করাজ রাজ্জাক অভিনীত ‘বদনাম’ সিনেমার ‘হয় যদি বদনাম হোক আরও/ আমি তো এখন আর নই কারও’। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। বাংলা চলচ্চিত্রের স্টাইলিশ নায়কদের অন্যতম। তিনি প্রায় ১৫০টি সিনেমায় অভিনয় করেন। বেশিরভাগই ছিল ব্যবসা সফল। উল্লেখযোগ্য সিনেমা হলো- ভাইবন্ধু, অবুঝ হৃদয়, প্রেমিক, মিস লংকা, নয়নের আলো, আপন পর, সাধারণ মেয়ে, একই অঙ্গে এতরূপ, ফেরারি, মাস্তান, বাঁদী থেকে বেগম, সূর্য সংগ্রাম, ওগো বিদেশিনী, মেঘ বিজলী বাদল। জনপ্রিয় গান- সুখে থেকো ও আমার নন্দিনী হয়ে কারো ঘরনি, তুমি আমার জীবন, আমি তোমার জীবন। ১৯৯২ সালের ৮ জানুয়ারি তিনি মারা যান।
ঘটনা
১৬৫৪- ইউক্রেন রাশিয়ার সঙ্গে যোগ দেয়।
১৬৭৯- ফরাসি নাবিক ও পর্যটক সিয়্যর দ্য লা সাল নায়গ্রা জলপ্রপাতে পৌঁছান।
১৭৮০- ইরানের তেবরিজ শহরে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় ৮০ হাজার মানুষ নিহত হয়।
১৯৬৩- প্রথমবারের মতো লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির বিখ্যাত পেইন্টিং মোনালিসা আমেরিকার ন্যাশনাল গ্যালারী অব আর্টে প্রদর্শন।
১৯৭২- পাকিস্তানের কারগার থেকে শেখ মুজিবকে মুক্তি দান, লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।
১৯৯৬- জায়ারে পরিবহন বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১ হাজার নিহত হয়।
জন্ম
১৯০৯- ভারতীয় বাঙালি ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার ও শিশুসাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবী।
১৯২৪- ইংরেজ অভিনেতা, গায়ক, সুরকার এবং লেখক রন মুডি।
১৯২৬- কিংবদন্তি ভারতীয় ধ্রুপদী নৃত্যশিল্পী, গুরু এবং ওডিশি নৃত্যের উদ্গাতা কেলুচরণ মহাপাত্র।
১৯৩৫- প্রবাদপ্রতিম ভারতীয় বাঙালি অভিনেত্রী সুপ্রিয়া দেবী।
১৯৪২- ইংরেজ পদার্থবিদ স্টিফেন হকিং।
১৯৪৫- বাংলাদেশি কৌতুক অভিনেতা টেলি সামাদ।
মৃত্যু
১৮৮৪- ভারতের বাঙালি ব্রাহ্মনেতা, বক্তা ও বাঙালি হিন্দু সমাজের অন্যতম ধর্মসংস্কারক কেশবচন্দ্র সেন।
১৯৬৬- আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক বিমল রায়।
১৯৭২- বাংলার প্রখ্যাত শিশু-সাহিত্যিক কৃষ্ণদয়াল বসু।
১৯৮৩- স্বাধীনতা সংগ্রামী ও নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর সহযোগী সত্যরঞ্জন বকসি।
১৯৯২- বাংলাদেশি অভিনেতা জাফর ইকবাল।
২০১৩- বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ নির্মল সেন।
কেএসকে/এমএস