আলফ্রেড নোবেল ও আবুল কাসেম সন্দ্বীপের প্রয়াণ
মানুষ ইতিহাস আশ্রিত। অতীত হাতড়েই মানুষ এগোয় ভবিষ্যৎ পানে। ইতিহাস আমাদের আধেয়। জীবনের পথপরিক্রমার অর্জন-বিসর্জন, জয়-পরাজয়, আবিষ্কার-উদ্ভাবন, রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজনীতি একসময় রূপ নেয় ইতিহাসে। সেই ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা স্মরণ করাতেই জাগো নিউজের বিশেষ আয়োজন আজকের এই দিনে।
১০ ডিসেম্বর ২০২২, শনিবার। ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
আলফ্রেড নোবেল
বিজ্ঞানী ও নোবেল পুরস্কারের প্রবর্তক আলফ্রেড নোবেল। ১৮৩৩ সালে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। একজন সুয়েডীয় রসায়নবিদ, প্রকৌশলী, উদ্ভাবক এবং অস্ত্র নির্মাতা। ডায়নামাইট আবিষ্কার করেন। তিনি ব্যবসায়েও বিশেষ প্রসিদ্ধি অর্জন করেন। বিখ্যাত ইস্পাত নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোফোর্সের মালিক ছিলেন অনেকদিন। প্রতিষ্ঠানটিকে এক সময় অন্যতম বৃহৎ অস্ত্র নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেন। তার নামে ৩৫০টি ভিন্ন ভিন্ন পেটেন্ট ছিল, যার মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হচ্ছে ডায়নামাইট। মৃত্যুর আগে উইল করে তিনি তার সুবিশাল অর্থ-সম্পত্তি নোবেল ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার জন্য রেখে যান। উইলে আরও বলে যান, নোবেল ইনস্টিটিউটের কাজ হবে প্রতি বছর নোবেল পুরস্কারে অর্থ প্রদান করা। তার মৃত্যু হয় ১০ ডিসেম্বর ১৮৯৬ সালে।
আবুল কাসেম সন্দ্বীপ
একজন বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সংগঠক এবং প্রথম সংবাদপাঠক। ১৯৪৪ সালের ১ এপ্রিল চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬০-১৯৭০ সাল পর্যন্ত দৈনিক জমানা, সাপ্তাহিক জমানা, দৈনিক আজাদীতে সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে চট্টগ্রামের কালুরঘাটে স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র গঠিত হয়। তিনি এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। সাংবাদিকতায় একুশে পদক, বঙ্গবন্ধু স্বর্ণপদক, আজিজুর রহমান সাহিত্য পদক, চাঁদ সুলতানা সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন। ১৯৯৫ সালের ১০ ডিসেম্বর তিনি মারা যান।
ঘটনা
১৮৬৮- বিশ্বের প্রথম লাল ও সবুজ ট্রাফিক বাতি বসানো হয় লন্ডনের প্যালেস অব ওয়েস্টমিনস্টারের সামনে।
১৮৮৪- মার্ক টোয়েনের বর্ণবাদবিরোধী উপন্যাস ‘অ্যাডভেঞ্চার অব হাকলবেরি ফিন’ প্রকাশিত হয়।
১৯০১- আলফ্রেড নোবেলের অন্তিম ইচ্ছা অনুযায়ী নোবেল পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়।
১৯৪৮- জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ বিশ্ব মানবাধিকার ঘোষণা দেয় এবং মানুষের ব্যক্তিগত ও সামাজিক অধিকারের বিষয়টি অনুমোদন করে। এই দিন থেকেই বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালন করা শুরু হয়।
১৯৭১- সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন নিখোঁজ হন।
জন্ম
১৮১৫- কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ধারণার প্রবর্তক অ্যাডা লাভলেস।
১৮৭০- বাঙালি ইতিহাসবিদ স্যার যদুনাথ সরকার।
১৮৭৮- ভারতীয় আইনজীবী, স্বাধীনতা সংগ্রামী, রাজনীতিবিদ, ইতিহাসবিদ চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারী।
১৮৮৮- ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম সর্বকনিষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা প্রফুল্ল চাকী।
১৯২৯- বাঙালি সুরকার ও সংগীত পরিচালক সমর দাস।
মৃত্যু
১৯৭১- বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিন।
১৯৯৮- ভারতীয় স্বাধীনতা কর্মী কিরণময় সেন।
২০০১- ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা অশোক কুমার।
২০১২- বাংলাদেশের ১৩তম রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ।
দিবস
বিশ্ব মানবাধিকার দিবস।
ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ।
কেএসকে/এসইউ/জেআইএম