আব্দুল কালামের জন্ম ও দেবীপ্রসাদ রায়চৌধুরীর প্রয়াণ
মানুষ ইতিহাস আশ্রিত। অতীত হাতড়েই মানুষ এগোয় ভবিষ্যৎ পানে। ইতিহাস আমাদের আধেয়। জীবনের পথপরিক্রমার অর্জন-বিসর্জন, জয়-পরাজয়, আবিষ্কার-উদ্ভাবন, রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজনীতি একসময় রূপ নেয় ইতিহাসে। সেই ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা স্মরণ করাতেই জাগো নিউজের বিশেষ আয়োজন আজকের এই দিনে।
১৫ অক্টোবর ২০২২, শনিবার। ৩০ আশ্বিন ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
এ পি জে আবদুল কালামের জন্ম
ভারতীয় বিজ্ঞানী, ভারতের একাদশ রাষ্ট্রপতি। ১৯৩১ সালের ১৫ অক্টোবর ব্রিটিশ ভারতের মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির রামেশ্বরমের তামিল মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পদার্থবিদ্যা বিষয়ে সেন্ট জোসেফস কলেজ থেকে এবং বিমান প্রযুক্তিবিদ্যা বিষয়ে মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) থেকে পড়াশোনা করেন। ১৯৯৮ সালে পোখরান-২ পরমাণু বোমা পরীক্ষায় তিনি প্রধান সাংগঠনিক, প্রযুক্তিগত ও রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করেন। ২০০২ সালে তিনি তৎকালীন শাসকদল ভারতীয় জনতা পার্টি ও বিরোধী দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সমর্থনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। পাঁচ বছর এ পদে আসীন থাকার পর শিক্ষাবিদ, লেখক ও জনসেবকের সাধারণ জীবন বেছে নেন। ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ভারতরত্নসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সম্মান ও পুরস্কার পেয়েছেন।
দেবীপ্রসাদ রায়চৌধুরীর প্রয়াণ
তিনি ভাস্কর, চিত্রশিল্পী এবং ললিতকলা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি। ১৮৯৯ সালের ১৫ জুন ব্রিটিশ ভারতে অবিভক্ত বাংলার (বর্তমানে বাংলাদেশে) রংপুরের তাজহাটে জন্ম। চিত্রাঙ্কন শিখেছিলেন বিখ্যাত বাঙালি চিত্রশিল্পী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছে। শ্রমের বিজয় এবং শহীদ স্মারকসহ ব্রোঞ্জের ভাস্কর্যের জন্য পরিচিত ছিলেন এবং আধুনিক ভারতীয় শিল্পের অন্যতম প্রধান শিল্পী হিসেবে তাকে বিবেচনা করা হয়। ডি. পি. রায়চৌধুরী ১৯৬২ সালে ললিত কলা একাডেমির একজন সহযোগী (ফেলো) নির্বাচিত হন। শিল্পক্ষেত্রে অবদানের জন্য ১৯৫৮ সালে ভারত সরকার তাকে তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মভূষণ প্রদান করে। এছাড়াও পেয়েছেন অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার (এমবিই) এর সদস্য, ললিত কলা একাডেমি রত্ন।
ঘটনা
১৬৭৬- ব্রিটেনের রাজার কাছ থেকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতে টাকা ও পয়সা মুদ্রণের অনুমতি লাভ করে।
১৮১৫- সেন্ট হেলেনা দ্বীপে সম্রাট নেপোলিয়ের নির্বাসন জীবন শুরু।
১৯৬৪- চীনের প্রথম পারমাণবিক বোমা পরীক্ষা হয়।
১৯৮৫- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে সংঘটিত মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ৩৯ জন ছাত্র, কর্মচারী ও অতিথি নিহত হয়েছিলো। তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য প্রতি বছর এই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবস পালন করা হয়।
১৯৯৩- নেলসন ম্যান্ডেলা এবং ডি ক্লার্ক উভয়ে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান।
জন্ম
১৮৯২- সাহিত্য সমালোচক শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৯২০- মার্কিন কথা সাহিত্যিক মারিও পুজো।
১৯৪৮- বাঙালি কল্পবিজ্ঞান লেখক সিদ্ধার্থ ঘোষ।
১৯৫৭- ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান অভিনেত্রী, পরিচালক ও প্রযোজক মীরা নায়ার।
১৯৮৮- বিশ্বকাপ জয়ী জার্মান ফুটবলার মেসুত ওজিল।
মৃত্যু
১৯১৭- ডাচ নৃত্য শিল্পী, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানি গুপ্তচর মাতা হারি।
১৯৩৮- বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনের প্রবক্তা আবুল হোসেন।
১৯৬২- ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী অতুলচন্দ্র ঘোষ।
২০১৮- ব্যবসায়ী এবং মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা পল অ্যালেন।
দিবস
বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস
বিশ্ব গ্রামীণ নারী দিবস
বিশ্ব সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস
জগন্নাথ হল ট্র্যাজেডি দিবস (বাংলাদেশ)
বিশ্ব ছাত্র দিবস (ভারত)
কেএসকে/এএসএম