বিশ্বের সবচেয়ে ‘কালো মানুষ’ হতে যুবকের কাণ্ড!
জাপানের হাজিমে নামের একজন ইউটিউবারের কাণ্ডে হতবাক পুরো বিশ্ব। নিজেকে সবচেয়ে কালো মানুষ হিসেবে দেখতে চান তিনি। এজন্য তিনি যা করেছেন তা জানলে রীতিমতো চোখ কপালে উঠবে যে কারো।
যেখানে মানুষ ত্বক ফর্সা করার পেছনে খরচ করছে হাজার হাজার টাকা। সেখানে এই যুবক নিজেকে বানাতে চান বিশ্বের সবচেয়ে ‘কালো মানুষ’। এজন্য তিনি বেছে নেন বিশ্বের সবচেয়ে কালো বাণিজ্যিক পেইন্টকে। সেই পেইন্টের নাম ভ্যান্টা ব্ল্যাক। এই রং ৯৯.৪ শতাংশ দৃশ্যমান আলো শুষে নেওয়ার ক্ষমতা রাখে বলে দাবি নির্মাতা সংস্থার। দামেও এই রং আকাশ ছোঁয়া। খোলা বাজারে কিনতে পাওয়া যায় না এই রং।
হাজিমে মুসোউ ব্ল্যাক রংটিকেই বেছে নেন নিজের কার্যসিদ্ধ করতে। এই রঙে নিজের ঘরের সব কিছু ঢেকে ফেলেন। পুরো কার্যকলাপ শেয়ার করেন তার অনুসারীদের সঙ্গে। ইউটিউবে আপলোড করেন তার এই জার্নি। ঘরের সব কিছু কালো রঙে ঢেকে দেওয়ার পর একে মনে হচ্ছিল যেন আস্ত এক ‘ব্ল্যাক হোল’। কোনো আলোই সেখানে প্রবেশ করতে পারেনি।
শুধু ঘর নয়, এরপর নিজেকেও মুসোউ ব্ল্যাকে রঞ্জিত করেন হাজিমে। যদিও রং নির্মাতা সংস্থা কোয়ো ওরিয়ের কঠোর নির্দেশনা ছিল এই রং যেন ত্বকের সংস্পর্শে না আসে। তবে এসবের কিছুরই তোয়াক্কা করেননি হাজিমে। রেকর্ড গড়ার নেশায় বিপজ্জনক এই রং গায়ে মেখে নেন। এখানেই শেষ নয়, এরপর বাইরে গিয়ে ঘুরেও বেড়িয়েছেন। কিছু ছবি শেয়ার করেন তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে।
রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যায় তার পোস্ট করা ছবিগুলো। যেখানে দেখা গিয়েছে ঝলমলে রোদ্দুরের মধ্যেও ছায়ামানুষ হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন হাজিমে। হাজিমে এখনো বিশ্বরেকর্ড করতে পেরেছেন কি না সেবিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন হাজিমে।
মুসোউ ব্ল্যাক এর আগে গাড়ি থেকে ফল বিভিন্ন বস্তুর উপর ব্যবহার করা হয়েছে। তবে হাজিমেই প্রথম ব্যক্তি যিনি এটি তাদের শরীরে ব্যবহার করেন। হাজিমের এখনো শরীরে তেমন কোনো সমস্যা দেখা যায়নি বলেই দাবি করছেন এই ইউটিউবার।
সূত্র: ওডিটি সেন্ট্রাল
কেএসকে/এএসএম